ঢাকা ০২:২৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তিতা করলার উপকারীতা, জেনে নিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:২৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৪১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করলায় আছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম আর কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট লৌহ, প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আঁশ। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এন্টি অক্সিডেন্ট; বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখে, শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে।

করলা অন্ত্রনালী কর্তৃক গ্লুকোজ শোষণ কমায়। রক্তের সুগার কমাতে করলা ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকর। অনেক গবেষণাই করলাকে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণ করেছে। করলায় কমপক্ষে তিনটি উপাদান আছে যেগুলো রক্তের সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিসে উপকার করে। এগুলো হচ্ছে চ্যারান্টিন, ইনসুলিনের মত পেপটাইড এবং এলকালয়েড।

তিতা করলা অগ্নাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষ ‘বিটা সেল’-এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তাই করলা অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ করায় বলে ধারণা করা হয়। করলা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমায়। করলা এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইম বা আমিষ বৃদ্ধি করে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোর সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোষের ভিতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের সুগার কমে যায়।

রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় কিন্তু ভাল কলোস্টেরল এইচ.ডি.এল বাড়ায়, রক্তচাপ কমায়, কৃমিনাশক, ভাইরাস নাশক-হেপাটাইটিস এ, হারপিস ভাইরাস, ফ্লু, ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যকর। এছাড়াও ক্যান্সাররোধী-লিভার ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, মেলানোমা, ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

ল্যাক্সেটিভ-পায়খানাকে নরম রাখে, কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে, জীবাণুনাশী-বিশেষ করে ই-কোলাই নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া করলা নানা রকম skin Disease কমায়। করল্লার জুস লিভারের কম ক্ষমতা বাড়াতে ও রক্ত পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

(লেখক: নূর ই জান্নাত ফাতেমা, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশিয়ানিস্ট, প্রাভা হেলথ, ঢাকা।)

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

তিতা করলার উপকারীতা, জেনে নিন

আপডেট টাইম : ০১:২৬:০৮ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ৯ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ করলায় আছে পালং শাকের চেয়ে দ্বিগুণ ক্যালসিয়াম আর কলার চেয়ে দ্বিগুণ পটাশিয়াম। আছে যথেষ্ট লৌহ, প্রচুর ভিটামিন এ, ভিটামিন সি এবং আঁশ। ভিটামিন এ এবং ভিটামিন সি এন্টি অক্সিডেন্ট; বার্ধক্য ঠেকিয়ে রাখে, শরীরের কোষগুলোকে রক্ষা করে।

করলা অন্ত্রনালী কর্তৃক গ্লুকোজ শোষণ কমায়। রক্তের সুগার কমাতে করলা ওষুধের চেয়েও বেশি কার্যকর। অনেক গবেষণাই করলাকে ডায়াবেটিস চিকিৎসায় কার্যকর প্রমাণ করেছে। করলায় কমপক্ষে তিনটি উপাদান আছে যেগুলো রক্তের সুগার কমিয়ে ডায়াবেটিসে উপকার করে। এগুলো হচ্ছে চ্যারান্টিন, ইনসুলিনের মত পেপটাইড এবং এলকালয়েড।

তিতা করলা অগ্নাশয়ের ইনসুলিন নিঃসরণকারী কোষ ‘বিটা সেল’-এর সংখ্যা বৃদ্ধি করে। তাই করলা অগ্নাশয় থেকে ইনসুলিন নিঃসরণ করায় বলে ধারণা করা হয়। করলা ইনসুলিন রেজিস্টেন্স কমায়। করলা এডিনোসিন মনোফসফেট অ্যাকটিভেটেড প্রোটিন কাইনেজ নামক এনজাইম বা আমিষ বৃদ্ধি করে রক্ত থেকে শরীরের কোষগুলোর সুগার গ্রহণ করার ক্ষমতা বাড়িয়ে দেয়। শরীরের কোষের ভিতর গ্লুকোজের বিপাক ক্রিয়াও বাড়িয়ে দেয়। ফলে রক্তের সুগার কমে যায়।

রক্তের চর্বি তথা ট্রাইগ্লিসারাইড কমায় কিন্তু ভাল কলোস্টেরল এইচ.ডি.এল বাড়ায়, রক্তচাপ কমায়, কৃমিনাশক, ভাইরাস নাশক-হেপাটাইটিস এ, হারপিস ভাইরাস, ফ্লু, ইত্যাদির বিরুদ্ধে কার্যকর। এছাড়াও ক্যান্সাররোধী-লিভার ক্যান্সার, লিউকোমিয়া, মেলানোমা, ইত্যাদি প্রতিরোধ করে।

ল্যাক্সেটিভ-পায়খানাকে নরম রাখে, কোষ্ঠ-কাঠিন্য দূর করে, জীবাণুনাশী-বিশেষ করে ই-কোলাই নামক জীবাণুর বিরুদ্ধে কার্যকর ভূমিকা রাখে। এছাড়া করলা নানা রকম skin Disease কমায়। করল্লার জুস লিভারের কম ক্ষমতা বাড়াতে ও রক্ত পরিশোধনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

(লেখক: নূর ই জান্নাত ফাতেমা, ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশিয়ানিস্ট, প্রাভা হেলথ, ঢাকা।)