ঢাকা ১১:০৬ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

৩ মাসে মন্ত্রিসভার সেরা ৫ মন্ত্রী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:৫৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৯
  • ২৩৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের তিনমাস পূর্ণ হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। তিনমাস কেমন করলাে নতুন মন্ত্রিসভা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, নতুন মন্ত্রিসভা গত তিনমাসে রুটিন কাজেও সময় ব্যয় করছে। সামনে যে সমস্যা এসেছে সেই সমস্যা গুলাে সমাধানের চেষ্টা করেছে। তবে, মন্ত্রীদের মধ্যে আপকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রবণতাই ছিলাে বেশী।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা খুব একটা দেখা যায়নি। আবার অন্যদিকে, বর্তমান মন্ত্রী সভা ৯০ দিনে ক্লিন ইমেজ বজায় রেখেছে। দুর্নীতি বা অন্যায় হস্তক্ষেপের কোন অভিযােগ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে উঠেনি। দুএকটি ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ মন্ত্রী বাক-সংযমী  ছিলেন। এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক বড় অর্জন। ৯০ দিনে মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়ন করে সেরা ৫ মন্ত্রী নির্বাচন করেছে বাংলা ইনসাইডার। তবে এই মূল্যায়নে নেই প্রধানমন্ত্রী। কারণ, তার দূরদৃষ্টি বিচক্ষনতা এবং কর্ম নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত এবং সব বিতর্কের উর্ধ্বে।

১. ডা: দীপু মনি (শিক্ষামন্ত্রী) : দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে নাজুক মন্ত্রনালয় গুলাের একটি ছিলাে শিক্ষামন্ত্রনালয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা মানেই ছিলাে প্রশ্নপত্র ফাঁস। নানা কেলেংকারী। বিগত মন্ত্রী অস্থির হতেন, কথা বলতেন কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারতেন না। যদিও তার আন্তরিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিলাে না। ডা: দীপু মনি দায়িত্ব নিয়েই এস এস সি পরীক্ষার চ্যালেঞ্জের মুখে পরেন।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা গােটা জাতির জন্য এক বিরাট স্বস্তির বিষয়। এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখানেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন অভিযােগ উঠেনি। এই নব্বই দিনে এম, পিওর দাবীতে বেসরকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে পরেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই একটি আন্দোলন নিস্ক্রিয় করলেন একজন মন্ত্রী। এজন্য বাংলা ইনসাইডারের বিবেচনায় সেরা পাঁচের অন্যতম ডা: দীপু মনি।

২. আসাদুজ্জামান খান কামাল: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতাে জটিল এবং একটি স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন কোন বিতর্ক ছাড়াই। মাদক চোরাকারবারিদের আর্তসর্মপন করানাে, দেশে সর্বহারার নামে সন্ত্রাসীদের আত্মসর্মপনের উদ্যোগ তাকে প্রশংসিত করেছে। তাছাড়া চকবাজার এবং বনানীর অগ্নিকান্ডে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফায়ার সার্ভিসের কাজ প্রশংসিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে তার কৌশলী অবস্থান ছিলাে বিচক্ষন।

৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (প্রতিমন্ত্রী নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়); আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের তরুন মন্ত্রীদের অন্যতম। দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি নদী উদ্ধারে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে আলােচিত এবং প্রশংসিত হয়েছেন। বিশেষ করে প্রভাবশালীদের তদ্বির, ভয় উপেক্ষা করে যেভাবে নদী উদ্বারের কাজ চলছে, তা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এজন্য তিনি বাংলা ইনসাইডারের বিবেচনায় সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছেন।

৪. ড: হাছান মাহমুদ, তথ্যমন্ত্রী; তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সংগে একটি সেতুবন্ধন তৈরীর কাজ করছেন। বিশেষ করে বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন প্রচারের নিষেধাজ্ঞা কঠোর ভাবে আরােপের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।

৫.শ.ম রেজাউল করিম: পূর্ত মন্ত্রী; প্রথমবারের মতাে মন্ত্রী হয়েই তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বনানীর ঘটনার পর তার বক্তব্য মানুষের নজর কেড়েছে। তার সততা ও দৃঢ়চিত্ত মনােভাব অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু তার কথাও কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয় কতটুক হয় সেটা দেখার বিষয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

ভুলে শিশুর ভালো চোখে অস্ত্রোপচার

৩ মাসে মন্ত্রিসভার সেরা ৫ মন্ত্রী

আপডেট টাইম : ১২:৫৮:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ৭ এপ্রিল ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ তৃতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগ সরকারের তিনমাস পূর্ণ হচ্ছে। ৭ জানুয়ারি বর্তমান মন্ত্রিসভা গঠিত হয়েছে। তিনমাস কেমন করলাে নতুন মন্ত্রিসভা? রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা বলছে, নতুন মন্ত্রিসভা গত তিনমাসে রুটিন কাজেও সময় ব্যয় করছে। সামনে যে সমস্যা এসেছে সেই সমস্যা গুলাে সমাধানের চেষ্টা করেছে। তবে, মন্ত্রীদের মধ্যে আপকালীন ব্যবস্থা গ্রহণের প্রবণতাই ছিলাে বেশী।

দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা খুব একটা দেখা যায়নি। আবার অন্যদিকে, বর্তমান মন্ত্রী সভা ৯০ দিনে ক্লিন ইমেজ বজায় রেখেছে। দুর্নীতি বা অন্যায় হস্তক্ষেপের কোন অভিযােগ মন্ত্রীদের বিরুদ্ধে উঠেনি। দুএকটি ব্যতিক্রম বাদে অধিকাংশ মন্ত্রী বাক-সংযমী  ছিলেন। এটা বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে এক বড় অর্জন। ৯০ দিনে মন্ত্রীদের কাজের মূল্যায়ন করে সেরা ৫ মন্ত্রী নির্বাচন করেছে বাংলা ইনসাইডার। তবে এই মূল্যায়নে নেই প্রধানমন্ত্রী। কারণ, তার দূরদৃষ্টি বিচক্ষনতা এবং কর্ম নিষ্ঠা প্রশ্নাতীত এবং সব বিতর্কের উর্ধ্বে।

১. ডা: দীপু মনি (শিক্ষামন্ত্রী) : দ্বিতীয় মেয়াদে আওয়ামী লীগের সবচেয়ে নাজুক মন্ত্রনালয় গুলাের একটি ছিলাে শিক্ষামন্ত্রনালয়। মাধ্যমিক এবং উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা মানেই ছিলাে প্রশ্নপত্র ফাঁস। নানা কেলেংকারী। বিগত মন্ত্রী অস্থির হতেন, কথা বলতেন কিন্তু সমস্যার সমাধান করতে পারতেন না। যদিও তার আন্তরিকতা নিয়ে কোন প্রশ্ন ছিলাে না। ডা: দীপু মনি দায়িত্ব নিয়েই এস এস সি পরীক্ষার চ্যালেঞ্জের মুখে পরেন।

মাধ্যমিক পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন ঘটনা ঘটেনি। এটা গােটা জাতির জন্য এক বিরাট স্বস্তির বিষয়। এখন উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা চলছে। এখানেও প্রশ্নপত্র ফাঁসের কোন অভিযােগ উঠেনি। এই নব্বই দিনে এম, পিওর দাবীতে বেসরকারী শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে পরেছিলেন শিক্ষামন্ত্রী। এই প্রথম প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপ ছাড়াই একটি আন্দোলন নিস্ক্রিয় করলেন একজন মন্ত্রী। এজন্য বাংলা ইনসাইডারের বিবেচনায় সেরা পাঁচের অন্যতম ডা: দীপু মনি।

২. আসাদুজ্জামান খান কামাল: স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী হিসেবে দ্বিতীয় মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মতাে জটিল এবং একটি স্পর্শকাতর মন্ত্রণালয় সামলাচ্ছেন কোন বিতর্ক ছাড়াই। মাদক চোরাকারবারিদের আর্তসর্মপন করানাে, দেশে সর্বহারার নামে সন্ত্রাসীদের আত্মসর্মপনের উদ্যোগ তাকে প্রশংসিত করেছে। তাছাড়া চকবাজার এবং বনানীর অগ্নিকান্ডে তার মন্ত্রণালয়ের অধীনে ফায়ার সার্ভিসের কাজ প্রশংসিত হয়েছে। বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যাপারে তার কৌশলী অবস্থান ছিলাে বিচক্ষন।

৩. খালিদ মাহমুদ চৌধুরী (প্রতিমন্ত্রী নৌ পরিবহন মন্ত্রণালয়); আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক। দলের তরুন মন্ত্রীদের অন্যতম। দায়িত্ব গ্রহণ করে তিনি নদী উদ্ধারে সাহসী পদক্ষেপ নিয়ে আলােচিত এবং প্রশংসিত হয়েছেন। বিশেষ করে প্রভাবশালীদের তদ্বির, ভয় উপেক্ষা করে যেভাবে নদী উদ্বারের কাজ চলছে, তা সকলের প্রশংসা কুড়িয়েছে। এজন্য তিনি বাংলা ইনসাইডারের বিবেচনায় সেরা পাঁচে স্থান পেয়েছেন।

৪. ড: হাছান মাহমুদ, তথ্যমন্ত্রী; তথ্যমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব নিয়ে তিনি গণমাধ্যমের সংগে একটি সেতুবন্ধন তৈরীর কাজ করছেন। বিশেষ করে বিদেশী চ্যানেলে বাংলাদেশী বিজ্ঞাপন প্রচারের নিষেধাজ্ঞা কঠোর ভাবে আরােপের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছেন।

৫.শ.ম রেজাউল করিম: পূর্ত মন্ত্রী; প্রথমবারের মতাে মন্ত্রী হয়েই তিনি মন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বনানীর ঘটনার পর তার বক্তব্য মানুষের নজর কেড়েছে। তার সততা ও দৃঢ়চিত্ত মনােভাব অনেকের প্রশংসা কুড়িয়েছে। কিন্তু তার কথাও কাজের ক্ষেত্রে সমন্বয় কতটুক হয় সেটা দেখার বিষয়।