ঢাকা ১২:৩৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২৪, ৩০ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

প্রযুক্তির ব্যবহারে আমরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৫
  • ৩৪৩ বার

প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। মোবাইল ফোনের প্রায় ১২ কোটি গ্রাহক কথোপকথন ও তথ্য আদান-প্রদান ছাড়াও মানুষ মুহূর্তেই টাকা লেনদেন করছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বাসার বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে কিছু দিন আগেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন আর নেই সেই বিড়ম্বনা।
স্বল্প সময়ে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সেবা পাওয়াও হয়েছে সহজ। তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত প্রসার ঘটায় এবং হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে যাওয়ায় জনগণের মধ্যেও ডিজিটাল সেবা পাওয়ার চাহিদা বেড়ে গেছে। অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো পণ্য কেনাকাটার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ঘরে বসেই। এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার মতো জাতীয় পরীক্ষার ফল পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ফোনে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারনেটে ফরম সংগ্রহ ও জমা দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে। অনলাইনে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে পাসপোর্টের ফরম গ্রহণ ও জমা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। সরকারের সব সেবা সংস্থার ফরম নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ওয়েবসাইট। সেখান থেকে মুহূর্তেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে যেকোনো ফরম। মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে জনগণের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা এর ফলে কমেছে। একইভাবে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবাও।
বিপুল হারে এটিএম বুথ চালু হওয়ায় জনগণ সপ্তাহে যেকোনো দিন যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে। বাংলাদেশে এখন অনলাইন পেশাজীবীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে। প্রযুক্তির অনুকূল পরিবেশ ও বাংলাদেশ সরকারের নানাবিধ সুযোগের কারণে এটি করা সম্ভব হয়েছে। এসব অনলাইন পেশাজীবী করমুক্তভাবে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছেন, যা দেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।
চীন, জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে মাতৃভাষার ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এসেছে। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মানুষও তথ্যপ্রযুক্তিকে মাতৃভাষায় ব্যবহারের উপযোগী করে নিয়েছে। আমরা মাতৃভাষার মাধ্যমে এর ব্যবহার করে আরো এগিয়ে যেতে পারি। সর্বক্ষেত্রে বাংলার প্রচলন- এ দাবি দীর্ঘ ৬০ বছরের। সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার এখনো নিশ্চিত হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

প্রযুক্তির ব্যবহারে আমরা

আপডেট টাইম : ১১:০৭:২১ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৯ অক্টোবর ২০১৫

প্রযুক্তির ব্যবহারে এগিয়ে যাচ্ছে ডিজিটাল বাংলাদেশ। মোবাইল ফোনের প্রায় ১২ কোটি গ্রাহক কথোপকথন ও তথ্য আদান-প্রদান ছাড়াও মানুষ মুহূর্তেই টাকা লেনদেন করছে মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে। বাসার বিদ্যুৎ বিল জমা দিতে কিছু দিন আগেও ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যাংকে লাইনে দাঁড়িয়ে থাকতে হতো। এখন আর নেই সেই বিড়ম্বনা।
স্বল্প সময়ে প্রয়োজনীয় রাষ্ট্রীয় সেবা পাওয়াও হয়েছে সহজ। তথ্যপ্রযুক্তির দ্রুত প্রসার ঘটায় এবং হাতে হাতে মোবাইল ফোন পৌঁছে যাওয়ায় জনগণের মধ্যেও ডিজিটাল সেবা পাওয়ার চাহিদা বেড়ে গেছে। অনলাইনের মাধ্যমে যেকোনো পণ্য কেনাকাটার সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে ঘরে বসেই। এসএসসি-এইচএসসি পরীক্ষার মতো জাতীয় পরীক্ষার ফল পাওয়া যাচ্ছে মোবাইল ফোনে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার জন্য মোবাইল ফোনের মাধ্যমে রেজিস্ট্রেশন করা যাচ্ছে। কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারনেটে ফরম সংগ্রহ ও জমা দেয়ার পদ্ধতি চালু করেছে। অনলাইনে দেশের যেকোনো প্রান্ত থেকে পাসপোর্টের ফরম গ্রহণ ও জমা দেয়া সম্ভব হচ্ছে। সরকারের সব সেবা সংস্থার ফরম নিয়ে তৈরি করা হয়েছে ওয়েবসাইট। সেখান থেকে মুহূর্তেই সংগ্রহ করা যাচ্ছে যেকোনো ফরম। মধ্যস্বত্বভোগীদের হাতে জনগণের প্রতারিত হওয়ার আশঙ্কা এর ফলে কমেছে। একইভাবে মোবাইল ফোনে পাওয়া যাচ্ছে স্বাস্থ্যসেবাও।
বিপুল হারে এটিএম বুথ চালু হওয়ায় জনগণ সপ্তাহে যেকোনো দিন যেকোনো সময় প্রয়োজনীয় অর্থ সংগ্রহ করতে পারছে। বাংলাদেশে এখন অনলাইন পেশাজীবীর সংখ্যা জ্যামিতিক হারে বেড়ে চলছে। প্রযুক্তির অনুকূল পরিবেশ ও বাংলাদেশ সরকারের নানাবিধ সুযোগের কারণে এটি করা সম্ভব হয়েছে। এসব অনলাইন পেশাজীবী করমুক্তভাবে বাংলাদেশে বৈদেশিক মুদ্রা নিয়ে আসছেন, যা দেশের অর্থনীতির এক গুরুত্বপূর্ণ চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে।
চীন, জাপান, রাশিয়া, জার্মানি, সুইডেন, ফ্রান্স প্রভৃতি দেশে তথ্যপ্রযুক্তিতে মাতৃভাষার ব্যবহারে গুরুত্বপূর্ণ সাফল্য এসেছে। থাইল্যান্ড, সিঙ্গাপুর, মালয়েশিয়ার মানুষও তথ্যপ্রযুক্তিকে মাতৃভাষায় ব্যবহারের উপযোগী করে নিয়েছে। আমরা মাতৃভাষার মাধ্যমে এর ব্যবহার করে আরো এগিয়ে যেতে পারি। সর্বক্ষেত্রে বাংলার প্রচলন- এ দাবি দীর্ঘ ৬০ বছরের। সব ক্ষেত্রে বাংলা ভাষার ব্যবহার এখনো নিশ্চিত হয়নি।