ঢাকা ০২:৪১ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

শেষ হলো ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ ১৭ দিনে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯
  • ৩৭৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত ১৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ শেষ হলো গতকাল শনিবার। চালকদের ট্রাফিক আইন মানা, পথচারীদের রাস্তা পারাপারসহ সচেতনতা বাড়াতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষের উদ্যোগ নেয় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এই উদ্যোগের পর বাসচালক-যাত্রী এবং পথচারীরা অনেকটাই সচেতন হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। গতকাল ছুটির দিনেও সড়কে পুলিশের সঙ্গে তৎপর ছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৬ দিনে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ চলাকালে মামলা হয়েছে ৯৫ হাজার ৮৩৫টি এবং চার কোটি ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ট্রাফিক বিভাগ।

মামলার মধ্যে রয়েছে বাস ও মিনিবাসের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার তিনটি, ট্রাকের বিরুদ্ধে ৫৩১, কাভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে ২০ হাজার ৮২৬, সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে ১২ হাজার ৪৭, ট্যাক্সি ক্যাবের বিরুদ্ধে ২৪, কার ও জিপের বিরুদ্ধে ৯ হাজার ৬৯৪, মাইক্রোবাসের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৪১৭, পিকআপের বিরুদ্ধে চার হাজার ২৫, হিউম্যান হলারের বিরুদ্ধে ২৭৯, মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার ৭৫৩ এবং অন্যান্য গাড়ির বিরুদ্ধে এক হাজার ৭৮১টি। এ ছাড়া ৪০৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১২ হাজার ৪২০টি গাড়ি রেকারিং হয়। এ ছাড়া গত শুক্রবার দিনভার অভিযান চালিয়ে চার হাজার ২৩০ মামলা এবং ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানকালে ১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৪৩৬ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৭ দিনে এক লাখ ৬৫টি মামলা ও পাঁচ কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। পথচারীরা বলছেন, শুধু জরিমানা ও মামলা করলেই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরবে না, সবাইকে সচেতন হতে হবে। সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করতে হবে। সম্মিলিত চেষ্টা করলেই সুন্দর একটি নগরী গড়ে তোলা সম্ভব। ট্রাফিক পক্ষ শেষে গতকাল শনিবারও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে চার হাজার ২৩০ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা-মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

এ ছাড়াও অভিযানকালে ১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৪৩৬ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, উল্লেখযোগ্য মামলার মধ্যে রয়েছে উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৬৪৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করার দায়ে ৫১টি, হুটার ও বিকনলাইট ব্যবহার করার জন্য সাতটি, মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস লাগানোর জন্য ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে এক হাজার ৬৯১টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা ও ৫০টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। সেই সাথে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে চালকের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দেয়া হয়।

গত শুক্রবার দিনভর ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল করিম বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা তৎপর। টার্মিনালে গিয়ে বিভিন্ন সেশন করেছি। এবার গণপরিবহনের চালকদের আমাদের মতো করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। মোটরবাইক চালকদের একটা লেভেল আছে, তাদের কথা বলে শুনানো যায়। কিন্তু গণপরিবহন চালকদের বলে শুনানো যায় না। তাদের দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি তো একদিনে ভেঙে দেয়া যায় না।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

শেষ হলো ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ ১৭ দিনে ৫ কোটি টাকা জরিমানা

আপডেট টাইম : ১১:২৩:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ৩ ফেব্রুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাজধানীর সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে গত ১৫ জানুয়ারি শুরু হওয়া ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ শেষ হলো গতকাল শনিবার। চালকদের ট্রাফিক আইন মানা, পথচারীদের রাস্তা পারাপারসহ সচেতনতা বাড়াতে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষের উদ্যোগ নেয় ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ। এই উদ্যোগের পর বাসচালক-যাত্রী এবং পথচারীরা অনেকটাই সচেতন হয়েছেন বলে দাবি পুলিশের। গতকাল ছুটির দিনেও সড়কে পুলিশের সঙ্গে তৎপর ছিলেন স্বেচ্ছাসেবীরা। ডিএমপি সূত্রে জানা গেছে, গত ১৫ জানুয়ারি থেকে ৩০ জানুয়ারি পর্যন্ত ১৬ দিনে ট্রাফিক শৃঙ্খলা পক্ষ চলাকালে মামলা হয়েছে ৯৫ হাজার ৮৩৫টি এবং চার কোটি ৯২ লাখ ৪২ হাজার ৭৫০ টাকা জরিমানা আদায় করেছে ট্রাফিক বিভাগ।

মামলার মধ্যে রয়েছে বাস ও মিনিবাসের বিরুদ্ধে ১৫ হাজার তিনটি, ট্রাকের বিরুদ্ধে ৫৩১, কাভার্ড ভ্যানের বিরুদ্ধে ২০ হাজার ৮২৬, সিএনজিচালিত অটোরিকশার বিরুদ্ধে ১২ হাজার ৪৭, ট্যাক্সি ক্যাবের বিরুদ্ধে ২৪, কার ও জিপের বিরুদ্ধে ৯ হাজার ৬৯৪, মাইক্রোবাসের বিরুদ্ধে দুই হাজার ৪১৭, পিকআপের বিরুদ্ধে চার হাজার ২৫, হিউম্যান হলারের বিরুদ্ধে ২৭৯, মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে ৪০ হাজার ৭৫৩ এবং অন্যান্য গাড়ির বিরুদ্ধে এক হাজার ৭৮১টি। এ ছাড়া ৪০৭টি গাড়ি ডাম্পিং ও ১২ হাজার ৪২০টি গাড়ি রেকারিং হয়। এ ছাড়া গত শুক্রবার দিনভার অভিযান চালিয়ে চার হাজার ২৩০ মামলা এবং ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়।

অভিযানকালে ১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৪৩৬ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। এ নিয়ে গত ১৭ দিনে এক লাখ ৬৫টি মামলা ও পাঁচ কোটি ১২ লাখ ৮৬ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করা হয়। পথচারীরা বলছেন, শুধু জরিমানা ও মামলা করলেই সড়কে শৃঙ্খলা ফেরবে না, সবাইকে সচেতন হতে হবে। সড়কে খোঁড়াখুঁড়ি বন্ধ করতে হবে। সম্মিলিত চেষ্টা করলেই সুন্দর একটি নগরী গড়ে তোলা সম্ভব। ট্রাফিক পক্ষ শেষে গতকাল শনিবারও রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করে চার হাজার ২৩০ মামলা দায়ের করা হয়েছে। এতে ২০ লাখ ৪৪ হাজার ৫০ টাকা জরিমানা করেছে ঢাকা-মেট্রোপলিটন পুলিশের ট্রাফিক বিভাগ।

এ ছাড়াও অভিযানকালে ১৩টি গাড়ি ডাম্পিং ও ৪৩৬ টি গাড়ি রেকার করা হয়েছে। ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ সূত্র জানায়, উল্লেখযোগ্য মামলার মধ্যে রয়েছে উল্টোপথে গাড়ি চালানোর কারণে ৬৪৬টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, হাইড্রোলিক হর্ন ব্যবহার করার দায়ে ৫১টি, হুটার ও বিকনলাইট ব্যবহার করার জন্য সাতটি, মাইক্রোবাসে কালো গ্লাস লাগানোর জন্য ৯টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা, ট্রাফিক আইন অমান্য করার কারণে এক হাজার ৬৯১টি মোটরসাইকেলের বিরুদ্ধে মামলা ও ৫০টি মোটরসাইকেল আটক করা হয়। সেই সাথে গাড়ি চালানোর সময় মোবাইল ফোন ব্যবহার করার অপরাধে চালকের বিরুদ্ধে ১১টি মামলা দেয়া হয়।

গত শুক্রবার দিনভর ডিএমপির ট্রাফিক বিভাগ কর্তৃক অভিযান পরিচালনা করে এসব মামলা ও জরিমানা করা হয়। ডিএমপির অতিরিক্ত কমিশনার (ট্রাফিক) মীর রেজাউল করিম বলেন, সড়কে শৃঙ্খলা ফেরাতে আমরা তৎপর। টার্মিনালে গিয়ে বিভিন্ন সেশন করেছি। এবার গণপরিবহনের চালকদের আমাদের মতো করে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করব। মোটরবাইক চালকদের একটা লেভেল আছে, তাদের কথা বলে শুনানো যায়। কিন্তু গণপরিবহন চালকদের বলে শুনানো যায় না। তাদের দীর্ঘ দিনের সংস্কৃতি তো একদিনে ভেঙে দেয়া যায় না।