ঢাকা ১০:০১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমে ৬ হাজার ১৯৭টি পাখি বেড়েছে এ বছর

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০১:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৯
  • ৩০১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৮ সাল থেকে বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমে ৬ হাজার ১৯৭টি পাখি বেড়েছে এ বছর। চলতি বছর ৩৯ প্রজাতির ১১ হাজার ৬১৫টি পাখি পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে এই পাখির সংখ্যা ছিল ৩৮ প্রজাতির ৫ হাজার ৪১৮টি। তবে ২০১৭ সালে বাইক্কা বিল জলাভূমিতে এ জলচর পাখির সংখ্যা ছিল ৪১ প্রজাতির ১০ হাজার ৭১৩টি। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের সিএনআরএস কার্যালয়ে ২৮-২৯ জানুয়ারি বাইক্কা বিলে অনুষ্ঠিত পাখিশুমারির তথ্য দেন আন্তর্জাতিক পাখি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড. পল থমসন। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহযোগিতা ও এশিয়ান ওয়াটারবার্ড ক্যানসাসের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে এ জলচর পাখিশুমারি।

তিনি আরো বলেন, বাইক্কা বিলের এ পাখিশুমারিতে এবার বালিহাঁস ২৮১টি, পাতি তিলিহাঁস ২২২০টি, গেওয়ালা বাটান ২২ হাজার ৮০টি, খয়রা কাস্তেচরা ২৮৮টি, উত্তুরে লেঞ্জাহাঁস ২৯১টি, রাজ শরালি ৩৯৮টি এবং পাতি শরালি ৮৬০টি পাওয়া গেছে।

পৃথিবীব্যাপী ‘বিপন্ন’ পাখিদের মধ্যে বাইক্কা বিলে বড় গুটি ঈগল, পালাসি কুরা ঈগল, উদয়ী গয়ার, কালামাথা কাস্তেচরা এবং মরচেরং ভূতিহাঁস পাওয়া গেছে বলে জানান ড. পল থমসন।

‘খয়রা কাস্তেচরা’ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রথম এই পাখিটি দেখা যায়। তখন গণনা করা হলেছিল মাত্র ২৫টি। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো, গত বছর অর্থাৎ, ২০১৮-তে এই পাখিটি পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ২টি। আর এ বছর এক্কেবারে ২৮৮টি।

বাইক্কাবিলের চারপাশে প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে গড়ে উঠেছে কৃত্রিম মাছের খামার। ফলে মানুষের বিচরণ বেড়েছে। কৃত্রিম মাছের খামারগুলো জলচর পাখিদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে জানান আন্তর্জাতিক পাখি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক পল থমসন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমে ৬ হাজার ১৯৭টি পাখি বেড়েছে এ বছর

আপডেট টাইম : ০১:০৭:৪৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ৩০ জানুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৮ সাল থেকে বাইক্কা বিল অভয়াশ্রমে ৬ হাজার ১৯৭টি পাখি বেড়েছে এ বছর। চলতি বছর ৩৯ প্রজাতির ১১ হাজার ৬১৫টি পাখি পাওয়া গেছে। ২০১৮ সালে এই পাখির সংখ্যা ছিল ৩৮ প্রজাতির ৫ হাজার ৪১৮টি। তবে ২০১৭ সালে বাইক্কা বিল জলাভূমিতে এ জলচর পাখির সংখ্যা ছিল ৪১ প্রজাতির ১০ হাজার ৭১৩টি। মঙ্গলবার (২৯ জানুয়ারি) শ্রীমঙ্গলের সিএনআরএস কার্যালয়ে ২৮-২৯ জানুয়ারি বাইক্কা বিলে অনুষ্ঠিত পাখিশুমারির তথ্য দেন আন্তর্জাতিক পাখি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক ড. পল থমসন। বাংলাদেশ বার্ড ক্লাবের সহযোগিতা ও এশিয়ান ওয়াটারবার্ড ক্যানসাসের অংশ হিসেবে পরিচালিত হয়েছে এ জলচর পাখিশুমারি।

তিনি আরো বলেন, বাইক্কা বিলের এ পাখিশুমারিতে এবার বালিহাঁস ২৮১টি, পাতি তিলিহাঁস ২২২০টি, গেওয়ালা বাটান ২২ হাজার ৮০টি, খয়রা কাস্তেচরা ২৮৮টি, উত্তুরে লেঞ্জাহাঁস ২৯১টি, রাজ শরালি ৩৯৮টি এবং পাতি শরালি ৮৬০টি পাওয়া গেছে।

পৃথিবীব্যাপী ‘বিপন্ন’ পাখিদের মধ্যে বাইক্কা বিলে বড় গুটি ঈগল, পালাসি কুরা ঈগল, উদয়ী গয়ার, কালামাথা কাস্তেচরা এবং মরচেরং ভূতিহাঁস পাওয়া গেছে বলে জানান ড. পল থমসন।

‘খয়রা কাস্তেচরা’ সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশে ২০১৩ সালে প্রথম এই পাখিটি দেখা যায়। তখন গণনা করা হলেছিল মাত্র ২৫টি। আরো আশ্চর্যের বিষয় হলো, গত বছর অর্থাৎ, ২০১৮-তে এই পাখিটি পাওয়া গিয়েছিল মাত্র ২টি। আর এ বছর এক্কেবারে ২৮৮টি।

বাইক্কাবিলের চারপাশে প্রাকৃতিক জলাভূমিগুলো ধ্বংস হয়ে গেছে। সেখানে গড়ে উঠেছে কৃত্রিম মাছের খামার। ফলে মানুষের বিচরণ বেড়েছে। কৃত্রিম মাছের খামারগুলো জলচর পাখিদের নিরাপত্তার ক্ষেত্রে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে জানান আন্তর্জাতিক পাখি বিশেষজ্ঞ ও গবেষক পল থমসন।