ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঘুষ নেয়ার ঘটনায় সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯
  • ২৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে দুই যুবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল গাজীকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল রাকিব জানান, শনিবার সরেজমিনে অভিযোগের তদন্ত শেষে এএসআই সাইফুল গাজীর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল রাকিব আরও বলেন, অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে সাইফুল গাজীকে চরামদ্দি ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই যুবককে আটকের পর অর্থ লেনদেনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অধিকতর তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুদুজ্জামান বলেন, এএসআই সাইফুল গাজীকে চরামদ্দি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করে বাকেরগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে দুই যুবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার বিষয়টি ওসি মাসুদুজ্জামান আগে থেকেই জানতেন। ঘটনার শিকার দুই যুবকের পরিবার এমনটাই দাবি করেছেন।

এমনকি অভিযুক্ত এএসআই সাইফুল গাজীও সাংবাদিকদের বলেন, মামলা নেয়া বা না নেয়ার দায়িত্ব ওসির।

জানা গেছে, ওসির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১১টার দিকে মোহন ও রনি নামক দুই যুবক বরিশাল নগরীতে কাজ শেষে চরামদ্দি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। চরামদ্দি বোর্ড স্কুলের সামনে তাদের আটক করেন পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সাইফুল গাজী। তাদের দেহ তল্লাশির সময় পকেটে এক পুঁটলি গাঁজা ঢুকিয়ে দিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে এএসআই সাইফুলকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হলে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মাদক বিষয়ক নিয়মিত মামলা না দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের রায়ে দুই যুবক আড়াই হাজার টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল রাকিব ওইদিনই সরেজমিনে অভিযোগকারী দুই যুবক মোহন ও রনি এবং তাদের স্বজনদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ঘুষ নেয়ার ঘটনায় সেই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার

আপডেট টাইম : ১২:১৬:১৪ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৪ জানুয়ারী ২০১৯

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে দুই যুবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার ঘটনায় অভিযুক্ত বরিশালের বাকেরগঞ্জ থানার সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) সাইফুল গাজীকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইনে সংযুক্ত করা হয়েছে।

এ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল রাকিব জানান, শনিবার সরেজমিনে অভিযোগের তদন্ত শেষে এএসআই সাইফুল গাজীর বিরুদ্ধে এ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হয়।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল রাকিব আরও বলেন, অভিযোগের তদন্তের স্বার্থে সাইফুল গাজীকে চরামদ্দি ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করে জেলা পুলিশ লাইন্সে সংযুক্ত করা হয়েছে। ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়া প্রসঙ্গে তিনি বলেন, দুই যুবককে আটকের পর অর্থ লেনদেনের বিষয়টি প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হওয়া গেছে। অধিকতর তদন্ত শেষে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

তবে বাকেরগঞ্জ থানার ওসি মোঃ মাসুদুজ্জামান বলেন, এএসআই সাইফুল গাজীকে চরামদ্দি অস্থায়ী ক্যাম্প থেকে প্রত্যাহার করে বাকেরগঞ্জ থানায় আনা হয়েছে।

অভিযোগ রয়েছে, মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয় দেখিয়ে দুই যুবকের কাছ থেকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ নেয়ার বিষয়টি ওসি মাসুদুজ্জামান আগে থেকেই জানতেন। ঘটনার শিকার দুই যুবকের পরিবার এমনটাই দাবি করেছেন।

এমনকি অভিযুক্ত এএসআই সাইফুল গাজীও সাংবাদিকদের বলেন, মামলা নেয়া বা না নেয়ার দায়িত্ব ওসির।

জানা গেছে, ওসির মাধ্যমে ঘুষ গ্রহণের বিষয়টি ধামাচাপা দেয়ার চেষ্টাও করা হয়।

প্রসঙ্গত, গত ৭ জানুয়ারি সোমবার বেলা ১১টার দিকে মোহন ও রনি নামক দুই যুবক বরিশাল নগরীতে কাজ শেষে চরামদ্দি গ্রামের বাড়িতে ফিরছিলেন। চরামদ্দি বোর্ড স্কুলের সামনে তাদের আটক করেন পুলিশ ক্যাম্পের এএসআই সাইফুল গাজী। তাদের দেহ তল্লাশির সময় পকেটে এক পুঁটলি গাঁজা ঢুকিয়ে দিয়ে মাদক মামলায় ফাঁসানোর ভয়ভীতি দেখানো হয়। পরে এএসআই সাইফুলকে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দেওয়া হলে দুই যুবকের বিরুদ্ধে মাদক বিষয়ক নিয়মিত মামলা না দিয়ে ভ্রাম্যমাণ আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালতের রায়ে দুই যুবক আড়াই হাজার টাকা করে মোট ৫ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্তি পান। জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল রাকিব ওইদিনই সরেজমিনে অভিযোগকারী দুই যুবক মোহন ও রনি এবং তাদের স্বজনদের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।