কিশোরগঞ্জ-১ আসনে নৌকা-ধানের শীষের লড়াই

হাওর বার্তা ডেস্কঃ কমিশনের নির্দেশে রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনী প্রচারের আনুষ্ঠানিক কোলাহল শেষ হয়েছে শুক্রবার (২৮ ডিসেম্বর) সকাল আটটায়। রোববার (৩০ ডিসেম্বর) সারা দেশে কাঙ্খিত ভোট। তবুও থেমে নেই নিরব জনসংযোগ। কর্মীরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে এখনো ভোট চাচ্ছেন। ভোটারেরা কষছেন শেষ মুহূর্তের ভোটের হিসাব-নিকাশ।

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর ও হোসেনপুর) আসনে নির্বাচনে জয়ের ব্যাপারে শতভাগ আশাবাদী ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।

থাইল্যান্ডে চিকিৎসাধীন থাকায় সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম সশরীরে নির্বাচনী প্রচারণায় অংশ নিতে পারেননি। তাঁর পক্ষে পরিবারের সদস্য হিসেবে নির্বাচনী প্রচারণা চালিয়েছেন তিন ভাই মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ সাফায়েতুল ইসলাম, ড. সৈয়দ মঞ্জুরুল ইসলাম, ড. সৈয়দ শরীফুল ইসলাম, দুই বোন ডা. সৈয়দা জাকিয়া নূর লিপি ও সৈয়দা রাফিয়া নূর রূপা এবং চাচাতো ভাই এ্যাডভোকেট সৈয়দ আশফাকুল ইসলাম টিটু।

পরিবারের সদস্যদের সাথে নির্বাচনী প্রচারণায় সরব ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগ ও দুই উপজেলার আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দসহ অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতারা। এছাড়া ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনাও সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের পক্ষে প্রচারণায় অংশ নিয়েছেন।

পরিবার ও আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের বক্তব্য, সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এক অনুভূতির নাম। বাংলাদেশে সৎ ও স্বচ্ছ রাজনীতির প্রতীক সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম। সুস্থ সৈয়দ আশরাফের চেয়ে অসুস্থ সৈয়দ আশরাফ আরো বেশি শক্তিশালী। অসুস্থতার কারণে সৈয়দ আশরাফ মাঠে অনুপস্থিত থাকলেও এবার আরো বেশি ভোটের ব্যবধানে তিনি বিজয়ী হবে।

ব্যক্তি ইমেজের কারণে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এবারো বিপুল ভোটের ব্যবধানে বিজয়ী হবেন, এমন আশাবাদ আওয়ামী লীগের বেশিরভাগ নেতাকর্মীদেরও।

অন্যদিকে এ আসনে বিএনপির প্রার্থী সাবেক ঢাকা বিভাগীয় স্পেশাল জজ রেজাউল করিম খান চুন্নু। তিনি নেতাকর্মীদের সাথে নিয়ে প্রচারণা চালিয়েছেন। তাঁর প্রচারণায় এই নির্বাচনকে তিনি বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মুক্ত করা এবং লন্ডনে রাজনৈতিক আশ্রয়ে থাকা তারেক রহমানকে দেশে ফিরিয়ে আনার নির্বাচন উল্লেখ করে ভোট প্রার্থনা করেছেন।

বিএনপির নেতাকর্মীরাও বলছেন, খালেদা জিয়াকে মুক্ত করার নির্বাচন এটা। নির্বাচন সুষ্ঠু হলে এবং ভোটের দিন আইনশৃংখলা বাহিনী ও প্রশাসন নিরপেক্ষ থাকলে এবং সাধারণ মানুষ ভোট দিতে পারলে ধানের শীষের পক্ষে এ আসনে ভোট বিপ্লব ঘটবে।

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে পাঁচ প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন। তাঁরা হলেন, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি (নৌকা), বিএনপি প্রার্থী মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু (ধানের শীষ), বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি প্রার্থী মো. এনামুল হক (কাস্তে), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) প্রার্থী মুহ. আবদুর রহমান এ্যাডভোকেট (তারা) এবং ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ প্রার্থী মো. মহিউদ্দিন (হাতপাখা)। তবে এই আসনের জেএসডি প্রার্থী মুহ. আবদুর রহমান এ্যাডভোকেট আওয়ামী লীগ প্রার্থী সৈয়দ আশরাফুল ইসলামের সমর্থনে নিজের প্রার্থিতা প্রত্যাহার করে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে মোট ভোটার ৪ লাখ ৩০ হাজার ১৯৩ জন। এর মধ্যে ২ লাখ ১৭ হাজার ৯২জন পুরুষ ভোটার এবং ২ লাখ ১৩ হাজার ১০১জন মহিলা ভোটার।

সূত্রঃ কিশোরগঞ্জ নিউজ

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর