হাওর বার্তা ডেস্কঃ নির্বাচন কমিশনার ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) শাহাদাত হোসেন চৌধুরী বলেছেন, সশস্ত্রবাহিনী এই নির্বাচনে শুধু স্টাইকিং ফোর্স হিসেবেই থাকবে না, কোনো ধরনের অরাজক পরিস্থিতি হলে অবশ্যই তা সেনাবাহিনী প্রতিহত করতে পারবে।
তিনি বলেন, সিআরপিসির ১২৭ থেকে ১৩২ ধারা অনুযায়ী তারা দায়িত্ব পালন করবে। নির্বাচনী পরিবেশ নিয়ন্ত্রণে পুলিশ, র্যাব ও বিজিবি ব্যর্থ হলে তখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে সশস্ত্রবাহিনী কাজ করবে।
বৃহস্পতিবার শাহাদাত হোসেন চৌধুরী আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন।
এসময় এনআইডির ডিজি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল সাইদুল ইসলামও উপস্থিত ছিলেন। পরে মেজর রাজু আহমদ আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কিভাবে মোতায়েন করা হয়েছে তা মানচিত্রের মাধ্যমে তুলে ধরেন।
শেষ মুহূর্তে অনেকেই আদালতের আদেশে প্রার্থিতা ফিরে পাচ্ছেন এই বিষয়ে কমিশন কি করবে জানতে চাইলে শাহাদাত হোসেন বলেন, আদালতের আদেশ আমরা মেনে চলবো। শেষ মুহূর্তে সেই রকম যদি আদেশ আসে তার জন্য আমাদের প্রস্তুতি রয়েছে। আমাদের হেলিকপ্টার স্ট্যান্ডবাই করা আছে। সময়মত নির্ধারিত কেন্দ্রে ব্যালট পেপার পৌঁছে দিতে পারবো। অন্যান্য সামগ্রীও পৌঁছে যাবে।
তিনি বলেন, নির্বাচনে উত্তেজনাকর পরিস্থিতি আছে বলে আমি মনে করি না। রাজনৈতিক চাপ ও উত্তেজনা বিরাজ করতে পারে।
শাহাদাত হোসেন বলেন, সারাদেশের নির্বাচন তদারকির জন্য নির্বাচন কমিশনে একটি কন্ট্রোল রুম স্থাপন করা হয়েছে। কন্ট্রোল রুমে সশস্ত্রবহিনীসহ সব বাহিনীর সদস্যরা ইতোমধ্যেই কাজ শুরু করে দিয়েছেন। এখান ৩০০টি আসনে সশস্ত্র বাহিনী থেকে নেয়া এইএফ রেডিও সেটের মাধ্যমে রিটার্নিং অফিসারের সঙ্গে যোগাযোগ ইতোমধ্যেই স্থাপিত হয়েছে। এখান থেকেই তিনশ’টি আসনের সরাসরি তদারক করা হবে। কোনো ধরণের ঘটনা কোনো কেন্দ্রে ঘটলে এখান থেকেই সে ব্যাপারে পদক্ষেপ নেয়া হবে।
তিনি বলেন, ৬টি আসনে ইলেক্ট্রনিক ভোটিং মেশিন (ইভিএম) ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে। এখন চলছে মক ভোটিং। সার্বিক দিক থেকে আমাদের প্রস্তুতি ভাল। পুরো নির্বাচনে প্রায় ৫ লাখের বেশি আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে।
বিভিন্ন হামলার অভিযোগ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, অনেক অভিযোগের কোনো সত্যতা পাওয়া যায়নি। যেসব পাওয়া গেছে সেগুলোর সমাধান আসন থেকে করা হবে, ইসি থেকে নয়। সেখানে এসব ব্যাপারে ১২২টি ইলেক্ট্রোরাল ইনকোয়ারি কমিটি করা হয়েছে। তারাই এসব সমস্যার সমাধান করবেন।