ঢাকা ০৬:০২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধের পথে এগিয়ে নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান : রাষ্ট্রপতির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮
  • ৪৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দলমত নির্বিশেষে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। আগামীকাল রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে নিতে দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে-এ আমার প্রত্যাশা।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। বীর বাঙালি রচনা করে এক গৌরবময় বিজয়গাঁথার। বিজয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই দিনে তিনি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন।

তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তিনি শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে তিনি এ যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানা চড়াই-উতরাই এর মধ্য দিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত।

আবদুল হামিদ বলেন, সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, পেয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এবং তাদের পছন্দমতো প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পায়।

তিনি আশা করেন, এবারের নির্বাচনে জনগণ সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীদের নির্বাচিত করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখবে। ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের বিজয় সুদৃঢ় হোক, তিনি এ প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। তিনি এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারসহ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে নিতে আমি দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে-এ আমার প্রত্যাশা।’

সূত্র : বাসস

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সিএনজি স্টেশন বন্ধ রাখার সময় কমছে ২ ঘণ্টা

দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধের পথে এগিয়ে নিতে দেশবাসীর প্রতি আহ্বান : রাষ্ট্রপতির

আপডেট টাইম : ১০:৪৯:০৭ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, লাখো শহীদের আত্মত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত স্বাধীনতার সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিতে দলমত নির্বিশেষে সম্মিলিত প্রচেষ্টার বিকল্প নেই। আগামীকাল রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার এক বাণীতে তিনি এ কথা বলেন।

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে নিতে দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেন, ‘সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে-এ আমার প্রত্যাশা।’

রাষ্ট্রপতি বলেন, ১৬ ডিসেম্বর, মহান বিজয় দিবস। ১৯৭১ সালের এই দিনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর আত্মসমর্পণের মধ্য দিয়ে বিশ্ব মানচিত্রে অভ্যুদয় ঘটে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের। বীর বাঙালি রচনা করে এক গৌরবময় বিজয়গাঁথার। বিজয়ের এই মাহেন্দ্রক্ষণে দেশবাসী ও প্রবাসে বসবাসরত সকল বাংলাদেশিকে তিনি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান।

মো. আবদুল হামিদ বলেন, বাঙালি জাতির শ্রেষ্ঠ অর্জন স্বাধীনতা। দীর্ঘ আন্দোলন সংগ্রাম ও নানা চড়াই-উতরাই পেরিয়ে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ বাঙালি জাতির অবিসংবাদিত নেতা জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতার ঘোষণা দেন। তাঁর আপসহীন নেতৃত্ব ও দিক নির্দেশনায় দীর্ঘ ন’মাস সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে চূড়ান্ত বিজয় অর্জিত হয়। এই দিনে তিনি শ্রদ্ধাবনতচিত্তে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে স্মরণ করেন।

তিনি গভীর শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করেন মুক্তিযুদ্ধে আত্মোৎসর্গকারী বীর শহিদদের, যাঁদের সর্বোচ্চ ত্যাগের বিনিময়ে স্বাধীনতা অর্জিত হয়। তিনি শ্রদ্ধা জানান বীর মুক্তিযোদ্ধা, মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক-সমর্থক, বিদেশি বন্ধু, যুদ্ধাহত ও শহীদ পরিবারের সদস্যসহ সর্বস্তরের জনগণকে, যাঁরা বিজয় অর্জনে প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অবদান রেখেছেন। জাতি তাঁদের অবদান শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করে।

তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু একটি সুখী-সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশের অর্থনীতি ও অবকাঠামো পুনর্গঠনের মাধ্যমে তিনি এ যাত্রা শুরু করেছিলেন। কিন্তু ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্টের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের ফলে দেশে গণতন্ত্র ও উন্নয়নের অগ্রযাত্রা থমকে দাঁড়ায়। উত্থান ঘটে স্বৈরশাসন ও অগণতান্ত্রিক সরকারের। দীর্ঘ আন্দোলন-সংগ্রাম এবং নানা চড়াই-উতরাই এর মধ্য দিয়ে দেশে আজ গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠিত।

আবদুল হামিদ বলেন, সরকারের যুগোপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়ন ও বাস্তবায়নের ফলে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে নিম্ন মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে, পেয়েছে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উন্নীত হওয়ার স্বীকৃতি। নিজস্ব অর্থায়নে বাস্তবায়িত পদ্মা সেতু এখন দৃশ্যমান। বাস্তবায়িত হচ্ছে মেট্রোরেল, এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ের মতো মেগা প্রকল্প। মহাকাশে বঙ্গবন্ধু স্যাটেলাইট-১ উৎক্ষেপণের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ আজ অভিজাত স্যাটেলাইট ক্লাবের গর্বিত সদস্য। ধারাবাহিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জন, স্বাস্থ্য, শিক্ষা, নারীর ক্ষমতায়ন, মাথাপিছু আয় বৃদ্ধিসহ আর্থসামাজিক প্রতিটি সূচকে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে। উন্নয়নের এ অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকলে ২০৪১ সালের মধ্যেই বাংলাদেশ বিশ্বে একটি উন্নত-সমৃদ্ধ দেশে পরিণত হবে।

রাষ্ট্রপতি বলেন, বিজয়ের মাস ডিসেম্বরে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় নির্বাচনের মাধ্যমেই জনগণ ক্ষমতা প্রয়োগ করে এবং তাদের পছন্দমতো প্রার্থী নির্বাচনের সুযোগ পায়।

তিনি আশা করেন, এবারের নির্বাচনে জনগণ সৎ, যোগ্য ও দেশপ্রেমিক প্রার্থীদের নির্বাচিত করে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতিকে অব্যাহত রাখবে। ভোট উৎসবের মধ্য দিয়ে দেশে গণতন্ত্রের বিজয় সুদৃঢ় হোক, তিনি এ প্রত্যাশা করেন।

তিনি বলেন, ‘সবার সাথে বন্ধুত্ব, কারোর সাথে বৈরিতা নয়’, জাতির পিতা ঘোষিত এ মূলমন্ত্রকে ধারণ করে দেশের পররাষ্ট্রনীতি পরিচালিত হচ্ছে। মিয়ানমার থেকে জোরপূর্বক বিতাড়িত ও নির্যাতিত লক্ষ লক্ষ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দিয়ে বাংলাদেশ বিশ্ব দরবারে মানবতার এক অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। বাংলাদেশ এ সমস্যার শান্তিপূর্ণ সমাধানে বিশ্বাসী। তিনি এ সমস্যার স্থায়ী সমাধানে দ্রুত কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণের জন্য মিয়ানমারসহ জাতিসংঘ এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানান।

মুক্তিযুদ্ধের লক্ষ্য ও চেতনা বাস্তবায়নে নিজ নিজ অবস্থান থেকে আরও বেশি অবদান রেখে দেশ ও জাতিকে সমৃদ্ধ আগামীর পথে এগিয়ে নিতে আমি দেশবাসীর প্রতি তিনি আহ্বান জানান।

তিনি বলেন, ‘সবার সম্মিলিত প্রচেষ্টায় আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলায় পরিণত হোক, মহান বিজয় দিবসে-এ আমার প্রত্যাশা।’

সূত্র : বাসস