গ্রীষ্ম ঋতুতে জন্ম নেয়া শিশুরা অন্যদের চেয়ে একটু বেশিই স্বাস্থ্যবান এবং লম্বা হয় বলে ক্যামব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণায় বলা হয়েছে।
জন্মের সময় একটু বেশি ওজন নিয়ে জন্ম হয় এসব শিশুদের। সেই সঙ্গে প্রাপ্ত বয়সে তাদের উচ্চতাও বেশি থাকে বলে জানিয়েছে গবেষকরা।
মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলের (এমআরসি) ইপিডিমিওলজি ইউনিট জানায়, গর্ভবতী মায়েরা বেশি সময় সূর্যের আলো পাওয়ার কারণে এমনটি হতে পারে। তবে এজন্য আরও পরীক্ষা প্রয়োজন।
নারী এবং পুরুষের বৃদ্ধি বিষয়ক ব্রিটিশ এক জার্নালে এই গবেষণাপত্রটি প্রকাশ করা হয়েছে।
সিনিয়র লেখক এবং গবেষক ডা. জন পেরি বলেন, ‘এই গবেষণা সত্যি হলে বাবা-মার বয়স এবং তাদের স্বাস্থ্য সন্তানের ভবিষ্যতে তেমন প্রভাব ফেলবে না। অর্থাৎ এখন থেকে সন্তানের জন্মের মাসই বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলে বিবেচিত হবে।’
এই গবেষণায় বলা হয়েছে যেসব শিশু জুন, জুলাই এবং আগস্টে জন্ম নেয় তারা অন্যদের চেয়ে বেশি স্বাস্থ্যবান এবং লম্বা হয়। এছাড়াও যেসব মেয়ে শিশু গ্রীষ্মে জন্ম হয় তারা অন্যদের চেয়ে বিলম্বে ঋতুবতী হয়। অর্থাৎ এটি প্রাপ্ত বয়সে উন্নত যৌন জীবন পেতে সহায়তা করে।
ডা. পেরি আরও বলেন, আমাদের গবেষণা প্রমাণ করে জন্মের মৌসুমের উপর ভবিষ্যত স্বাস্থ্য এবং সুস্থতা অনেকাংশে নির্ভর করে। তবে এক্ষেত্রে এখনো অনেক গবেষণা বাকি।
প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, গর্ভকালীন সময় অধিক ভিটামিন ডি গ্রহণের কারণে গর্ভবতী শিশুর সহনশীলতা বাড়ে। এক্ষেত্রে মানবদেহে ভিটামিন ডি প্রবেশ এবং প্রাপ্তবয়স পর্যন্ত এই সহনশীলতা নিয়ে কাজ করবেন গবেষকরা।