ঢাকা ০৮:৪৯ অপরাহ্ন, শনিবার, ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী এক ইউনিয়নে দুই সহোদরসহ চার প্রার্থী

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৮
  • ৪৬২ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ, বিএনপি থেকে দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান কাকন, জাতীয় পার্টি থেকে এরশাদ হোসাইন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে নূরুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে মো. লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) থেকে মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. সালাউদ্দিন রুবেল, জাকের পার্টি থেকে মো. আব্দুল জব্বার এবং স্বতন্ত্র থেকে মো. আনিসুজ্জামান খোকন।

মনোনয়ন পত্র জমাদানকারী ১০ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তিন প্রার্থীসহ চার প্রার্থীর বাড়িই এক ইউনিয়নে। আলোচিত এই ইউনিয়নের নাম চান্দপুর। ইউনিয়নটি কটিয়াদী উপজেলার।

চান্দপুর ইউনিয়নের চার প্রার্থীর মধ্যে আবার দুই সহোদরও রয়েছেন। তারা হলেন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনিসুজ্জামান খোকন। দুই সহোদরের মধ্যে মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন বড় এবং মো. আনিসুজ্জামান খোকন ছোট। চান্দপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা মরহুম সৈয়দ জামালের ছেলে মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রয়াত অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল মান্নানের কাছে পরাজিত হন। অন্যদিকে তার ছোট ভাই মো. আনিসুজ্জামান খোকন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একান্ত সহকারী ছিলেন। তিনি বিএনপির মনোনয়নে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মো. আনিসুজ্জামান খোকন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে সেখানকার রাজনৈতিক-সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন।

এই দুই সহোদরের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ এবং এই আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান কাকনও চান্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ এর বাড়ি ইউনিয়নের মিরের পাড়া গ্রামে। বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুলিশের আইজি ছিলেন। এরপর মহাজোট সরকারের আমলে তাকে মরক্কোর অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করা হয়। একই আমলে অ্যাম্বাসেডর থেকে ফিরিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালে নভেম্বরে সরকারি চাকরি থেকে তিনি অবসরে যান।

কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে নূর মোহাম্মদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনকে মনোনয়ন বঞ্চিত করে নৌকা তুলে দেয়া হয় নূর মোহাম্মদের হাতে।

এই আসনে বিএনপি অপর প্রার্থী মো. শহীদুজ্জামান কাকনও মধ্য চান্দপুর (দক্ষিণ) গ্রামের বাসিন্দা। মো. শহীদুজ্জামান কাকনের বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট মো. নূরুজ্জামান চাঁন মিয়া কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান কাকন বিএনপির মনোনয়নে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের বিগত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন।

এদিকে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১০ জন প্রার্থীসহ কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি আসনে মোট ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ৫০ জন দলীয় প্রার্থী হিসেবে এবং ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। জেলার ৫টি আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মোট ৬ জন, ৬টি আসনে বিএনপি থেকে মোট ১২ জন, ৪টি আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মোট ৪ জন, ৩টি আসনে গণতন্ত্রী পার্টি থেকে মোট ৩ জন, ৪টি আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মোট ৪ জন, ৬টি আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোট ৬ জন, ৩টি আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে ৩ জন, ২টি আসনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল থেকে ২ জন, ২টি আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে মোট ২ জন, জাকের পাটির্, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে ১ জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি ও মো. মশিউর রহমান হুমায়ুন, বিএনপি থেকে মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু, মো. শরীফুল ইসলাম শরীফ ও খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান, জাতীয় পার্টি থেকে মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, গণতন্ত্রী পার্টি থেকে ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ থেকে মো. আমিনুল ইসলাম তারেক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে মুহ. আবদুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মো. এনামুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. মহিউদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদুল্লাহ জামী এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ ইউসুফ।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, বিএনপি থেকে জালাল মোহাম্মদ গাউস ও সাইফুল ইসলাম সুমন, গণতন্ত্রী পার্টি থেকে দিলোয়ার হোসাইন ভুঁইয়া, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে মো. শওকত আলী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মো. আলমগীর হোসাইন এবং স্বতন্ত্র থেকে ড. মিজানুল হক, মো. মনিরুজ্জামান নয়ন ও মো. আম্মান খান।

কিশোরগঞ্জ-৪ (মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, বিএনপি থেকে মো. ফজলুর রহমান ও সুরঞ্জন ঘোষ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ থেকে খায়রুল ইসলাম ঠাকুর।

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মো. আফজাল হোসেন এমপি, বিএনপি থেকে শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল ও মাহমুদুর রহমান উজ্জল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ থেকে এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান খান, গণতন্ত্রী পার্টি থেকে গাজী এনায়েতুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মো. ফরিদ আহাম্মদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে খন্দকার মোছলেহ উদ্দিন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে সেলিনা সুলতানা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. ইব্রাহীম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে শাহ আলম।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নাজমুল হাসান পাপন এমপি, বিএনপি থেকে মো. শরীফুল আলম, জাতীয় পার্টি থেকে নূরুল কাদের সোহেল,  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ মুছা খান, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে মো. রুবেল হোসেন এবং স্বতন্ত্র থেকে মোহাম্মদ আয়ুব হুসেন।

সূত্রঃ মানবজমিন

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কিশোরগঞ্জ কটিয়াদী এক ইউনিয়নে দুই সহোদরসহ চার প্রার্থী

আপডেট টাইম : ০৫:৩৬:৫৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ৩০ নভেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে মোট ১০ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। তারা হলেন-বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ, বিএনপি থেকে দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন ও জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান কাকন, জাতীয় পার্টি থেকে এরশাদ হোসাইন, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে নূরুল ইসলাম, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে মো. লুৎফুর রহমান, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ (বিএমএল) থেকে মীর আবু তৈয়ব মো. রেজাউল করিম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. সালাউদ্দিন রুবেল, জাকের পার্টি থেকে মো. আব্দুল জব্বার এবং স্বতন্ত্র থেকে মো. আনিসুজ্জামান খোকন।

মনোনয়ন পত্র জমাদানকারী ১০ প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগ ও বিএনপির তিন প্রার্থীসহ চার প্রার্থীর বাড়িই এক ইউনিয়নে। আলোচিত এই ইউনিয়নের নাম চান্দপুর। ইউনিয়নটি কটিয়াদী উপজেলার।

চান্দপুর ইউনিয়নের চার প্রার্থীর মধ্যে আবার দুই সহোদরও রয়েছেন। তারা হলেন, বিএনপি মনোনীত প্রার্থী দুই বারের সাবেক সংসদ সদস্য মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন এবং স্বতন্ত্র প্রার্থী সাবেক সংসদ সদস্য মো. আনিসুজ্জামান খোকন। দুই সহোদরের মধ্যে মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন বড় এবং মো. আনিসুজ্জামান খোকন ছোট। চান্দপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামের সাবেক সেনা কর্মকর্তা মরহুম সৈয়দ জামালের ছেলে মেজর (অব.) মো. আখতারুজ্জামান রঞ্জন কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) আসন থেকে বিএনপি প্রার্থী হিসেবে ১৯৯১ ও ১৯৯৬ সালের ১২ই জুন অনুষ্ঠিত নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।

তবে ২০০১ সালের নির্বাচনে তিনি আওয়ামী লীগ প্রার্থী প্রয়াত অধ্যাপক ডা. মো. আবদুল মান্নানের কাছে পরাজিত হন। অন্যদিকে তার ছোট ভাই মো. আনিসুজ্জামান খোকন প্রয়াত প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের একান্ত সহকারী ছিলেন। তিনি বিএনপির মনোনয়নে ১৯৭৯ সালের নির্বাচনে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। মো. আনিসুজ্জামান খোকন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করে সেখানকার রাজনৈতিক-সামাজিক কর্মকাণ্ডে যুক্ত রয়েছেন।

এই দুই সহোদরের বাইরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ এবং এই আসনে বিএনপির অপর প্রার্থী জেলা বিএনপির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান কাকনও চান্দপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা। তাদের মধ্যে সাবেক আইজিপি, রাষ্ট্রদূত ও সচিব নূর মোহাম্মদ এর বাড়ি ইউনিয়নের মিরের পাড়া গ্রামে। বিসিএস (পুলিশ) ক্যাডারের সাবেক কর্মকর্তা নূর মোহাম্মদ ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে পুলিশের আইজি ছিলেন। এরপর মহাজোট সরকারের আমলে তাকে মরক্কোর অ্যাম্বাসেডর নিযুক্ত করা হয়। একই আমলে অ্যাম্বাসেডর থেকে ফিরিয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের সচিবের দায়িত্ব দেয়া হয়। ২০১৬ সালে নভেম্বরে সরকারি চাকরি থেকে তিনি অবসরে যান।

কিশোরগঞ্জ-২ (পাকুন্দিয়া-কটিয়াদী) আসনে নূর মোহাম্মদ আওয়ামী লীগের মনোনয়ন চাইলে বর্তমান সংসদ সদস্য অ্যাডভোকেট মো. সোহরাব উদ্দিনকে মনোনয়ন বঞ্চিত করে নৌকা তুলে দেয়া হয় নূর মোহাম্মদের হাতে।

এই আসনে বিএনপি অপর প্রার্থী মো. শহীদুজ্জামান কাকনও মধ্য চান্দপুর (দক্ষিণ) গ্রামের বাসিন্দা। মো. শহীদুজ্জামান কাকনের বাবা প্রয়াত অ্যাডভোকেট মো. নূরুজ্জামান চাঁন মিয়া কিশোরগঞ্জ-২ (কটিয়াদী) আসন থেকে জাতীয় পার্টির প্রার্থী হিসেবে ১৯৮৬ ও ১৯৮৮ সালের নির্বাচনে দু’বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। কেন্দ্রীয় স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক আন্তজার্তিক বিষয়ক সম্পাদক মো. শহীদুজ্জামান কাকন বিএনপির মনোনয়নে কটিয়াদী উপজেলা পরিষদের বিগত নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে আওয়ামী লীগ প্রার্থী আব্দুল ওয়াহাব আইন উদ্দিনের কাছে পরাজিত হন।

এদিকে কিশোরগঞ্জ-২ আসনে ১০ জন প্রার্থীসহ কিশোরগঞ্জ জেলার ৬টি আসনে মোট ৫৫ জন প্রার্থী মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। এর মধ্যে ৫০ জন দলীয় প্রার্থী হিসেবে এবং ৫ জন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে মনোনয়নপত্র দাখিল করেন। জেলার ৫টি আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মোট ৬ জন, ৬টি আসনে বিএনপি থেকে মোট ১২ জন, ৪টি আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মোট ৪ জন, ৩টি আসনে গণতন্ত্রী পার্টি থেকে মোট ৩ জন, ৪টি আসনে বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মোট ৪ জন, ৬টি আসনে ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোট ৬ জন, ৩টি আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে ৩ জন, ২টি আসনে বাংলাদেশ মুসলিম লীগ-বিএমএল থেকে ২ জন, ২টি আসনে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে মোট ২ জন, জাকের পাটির্, বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ, বিকল্পধারা বাংলাদেশ, ন্যাশনাল পিপলস পার্টি ও ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে ১ জন করে প্রার্থী মনোনয়ন পত্র জমা দিয়েছেন।

কিশোরগঞ্জ-১ (কিশোরগঞ্জ সদর-হোসেনপুর) আসনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ থেকে সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম এমপি ও মো. মশিউর রহমান হুমায়ুন, বিএনপি থেকে মো. রেজাউল করিম খান চুন্নু, মো. শরীফুল ইসলাম শরীফ ও খালেদ সাইফুল্লাহ সোহেল খান, জাতীয় পার্টি থেকে মো. মোস্তাইন বিল্লাহ, গণতন্ত্রী পার্টি থেকে ভূপেন্দ্র ভৌমিক দোলন, কৃষক-শ্রমিক জনতা লীগ থেকে মো. আমিনুল ইসলাম তারেক, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে মুহ. আবদুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মো. এনামুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. মহিউদ্দিন, জমিয়তে উলামায়ে ইসলাম বাংলাদেশ থেকে মুহাম্মদুল্লাহ জামী এবং বিকল্পধারা বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ ইউসুফ।

কিশোরগঞ্জ-৩ (করিমগঞ্জ-তাড়াইল) আসনে জাতীয় পার্টি থেকে মো. মুজিবুল হক চুন্নু এমপি, বিএনপি থেকে জালাল মোহাম্মদ গাউস ও সাইফুল ইসলাম সুমন, গণতন্ত্রী পার্টি থেকে দিলোয়ার হোসাইন ভুঁইয়া, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে ডা. এনামুল হক ইদ্রিছ, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে মো. শওকত আলী, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি) থেকে মুহাম্মদ সাইফুল ইসলাম, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ মো. আলমগীর হোসাইন এবং স্বতন্ত্র থেকে ড. মিজানুল হক, মো. মনিরুজ্জামান নয়ন ও মো. আম্মান খান।

কিশোরগঞ্জ-৪ (মিঠামইন-ইটনা-অষ্টগ্রাম) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে রেজওয়ান আহাম্মদ তৌফিক এমপি, বিএনপি থেকে মো. ফজলুর রহমান ও সুরঞ্জন ঘোষ, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ আহসানুল্লাহ এবং বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ থেকে খায়রুল ইসলাম ঠাকুর।

কিশোরগঞ্জ-৫ (বাজিতপুর-নিকলী) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে মো. আফজাল হোসেন এমপি, বিএনপি থেকে শেখ মজিবুর রহমান ইকবাল ও মাহমুদুর রহমান উজ্জল, বাংলাদেশ মুসলিম লীগ থেকে এ.এইচ.এম কামরুজ্জামান খান, গণতন্ত্রী পার্টি থেকে গাজী এনায়েতুর রহমান, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি থেকে মো. ফরিদ আহাম্মদ, বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে খন্দকার মোছলেহ উদ্দিন, জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ) থেকে সেলিনা সুলতানা, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মো. ইব্রাহীম এবং ন্যাশনাল পিপলস পার্টি থেকে শাহ আলম।

কিশোরগঞ্জ-৬ (ভৈরব-কুলিয়ারচর) আসনে আওয়ামী লীগ থেকে নাজমুল হাসান পাপন এমপি, বিএনপি থেকে মো. শরীফুল আলম, জাতীয় পার্টি থেকে নূরুল কাদের সোহেল,  ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ থেকে মোহাম্মদ মুছা খান, ইসলামী ফ্রন্ট বাংলাদেশ থেকে মো. রুবেল হোসেন এবং স্বতন্ত্র থেকে মোহাম্মদ আয়ুব হুসেন।

সূত্রঃ মানবজমিন