দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার বিষয়ে বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আ স ম হান্নান শাহ বলেছেন, সরকার ও সরকারের লোকেরা সবকিছু জানলে কি করে হামলার ঘটনা ঘটে।
তিনি বলেন, দুই বিদেশি নাগরিক হত্যার পর প্রধানমন্ত্রী যুক্তরাষ্ট্রে বসে বলেন, বিএনপি-জামায়াত জড়িত থাকতে পারে। এরপর দেশে এসে পরিষ্কার করে বললেন, বিএনপি-জামায়াত জড়িত। আর তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয় তো পারলে হত্যাকারীর বাপের নাম ধরে বলে। তাছাড়া বিদেশিরাও নাকি সরকারকে আগে অবহিত করেছিল, এ ধরনের ঘটনা ঘটতে পারে। তাহলে বিদেশি হত্যা হলো কি করে?
মঙ্গলবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে বুদ্ধিজীবী অধ্যাপক ড. পিয়াস করিমের ১ম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে স্মরণসভায় এসব কথা বলেন তিনি।
স্বাধীনতা ফোরাম নামে এ স্মরণসভার আয়োজন করে।
হান্নান শাহ বলেন, আওয়ামী লীগের নীতি হলো- প্রথমে ফাঁসি দিয়ে নেই, তারপরে সুবিচার করব। বর্তমান বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও স্বচ্ছতা সম্পর্কে সবাই জানেন।
তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচন জাতির সামনে নিয়ে আসুন। দলীয়ভাবে নির্বাচন করার আগে গণভোট দিন। জনগণ কি চায় দেখুন।
হান্নান শাহ বলেন, বাংলাদেশে একটি জঙ্গিবাহিনী আছে। তার নাম আওয়ামী লীগ। এ সংগঠনের সহযোগী সংগঠন হলো ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ ও শ্রমিক লীগ। এরা দেশের মধ্যে চাঁদাবাজি, খুন ও সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড করে বেড়াচ্ছে। দেশকে অস্থিতিশীল করছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এ সরকার ভোটে যাবে না। যখনই ভোটে যাবে তখনই তারা পরাজিত হবে। বর্তমান সরকারের অবস্থা হলো ‘আমি আর মামু, খামু আর আর খামু; আমির হোসেন আমু’।
তিনি বলেন, ২০০৮ সালে আমি বলেছিলাম, এ সরকার দ্রুত বাকশাল কায়েম করবে। গণতন্ত্র হত্যা করে নীল নকশার নির্বাচন করবে। স্থানীয় সরকার নির্বাচন দলীয় পদ্ধতিতে করার সিদ্ধান্ত মানে গণতন্ত্র হত্যার শেষ পেরেক।
স্মরণসভায় সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের সভাপতি আবু নাসের রহমতউল্লাহ।
বক্তব্য রাখেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক এমাজউদ্দীন আহমদ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক মাহবুবউল্লাহ, যুবদলের সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল প্রমুখ।