আর মাত্র কয়েক ঘণ্টা। সোমবার (১২ অক্টোবর) বিকেল ৩টায় রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ নিজের নামের সেতু (রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু) উদ্বোধন করবেন। এরই মধ্যে আলোকসজ্জায় সজ্জিত করা হয়েছে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু।
সেতুটি সাজানো হয়েছে বিভিন্ন রকমের বাতি ও রং দিয়ে। সেতুর উপরের সম্পূর্ণ অংশে দেওয়া হয়েছে মরিচবাতি ও টিউব লাইট। রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু কিশোরগঞ্জ জেলার অষ্টগ্রাম উপজেলার ধলেশ্বরী নদীর উপর নির্মিত।
এলাকাবাসী সূত্র জানায়, অষ্টগ্রাম সদর, পূর্ব অষ্টগ্রাম, কাস্তুল, বাঙ্গালপাড়া ও দেওঘর ইউনিয়নের প্রায় এক লাখ মানুষ সারা বছর সড়ক পথে এই সব ইউনিয়নে যোগাযোগ করতে পারবে। দীর্ঘদিনের স্বপ্নের সেতুটি নির্মিত হওয়ায় ওই উপজেলার মানুষ আনন্দে উদ্বেলিত। এখন থেকে তাদের নৌকা বা ট্রলার দিয়ে এক ইউনিয়ন থেকে অন্য ইউনিয়নে যাতায়াত করতে হবে না। সড়কপথই হবে পাঁচ ইউনিয়নের যোগাযোগের মাধ্যম।
ঢাকায় একটি বেসরকারি কোম্পানিতে কর্মরত বাঙ্গালপাড়া ইউনিয়নের বাসিন্দা আব্দুর রউফ বলেন, এই সেতু নির্মাণের ফলে পাঁচটি ইউনিয়নে মানুষের মধ্যে সম্প্রীতির সেতুবন্ধন তৈরি হয়েছে। এছাড়াও হাওরের সৌন্দর্য পিপাসু মানুষদের জন্য সেতুটি বিনোদন স্পট হয়ে উঠবে বলেও আমার বিশ্বাস।
অষ্টগ্রাম উপজেলার বাসিন্দা নবেন্দু নির্মল সাহা জয় জানান, এ সেতু ভাটির স্বপ্নডানা। এ ডানায় চড়ে ভাটি মানুষ ঘুরে বেড়াবে এ গ্রাম থেকে ও গ্রামে। এ সেতুর কারণে পাঁচ ইউনিয়নবাসীর স্বপ্ন পূরণ হয়েছে।
কিশোরগঞ্জ জেলা এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মো. গোলাম মওলা জানান, রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতু ৩৪১ মিটার দীর্ঘ। আর এ সেতু নিমার্ণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৪১ কোটি ২০ লাখ টাকা।
অষ্টগ্রাম উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ মহসীন উদ্দিন জানান, অস্থায়ীভাবে সেতুটিকে আলোকসজ্জায় সজ্জ্বিত করা হয়েছে। কিন্তু আগামী এক মাসের মধ্যে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ সেতুতে স্থায়ীভাবে লাইট লাগানো হবে এবং এটা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।