হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিশ্বকাপের পর থেকেই জাতীয় দলে অনুপস্থিত আর্জেন্টিনার অধিনায়ক লিওনেল মেসি। তার অনুপস্থিতিতে তারুণ্যনির্ভর দলটিকে টেনে নিয়ে যাওয়ার দায়িত্ব পড়েছে জুভেন্টাসের তারকা পাওলো দিবালার ঘাড়ে। কিন্তু দায়িত্ব নিয়ে তিনি ভালোভাবেই বুঝতে পারছেন এটা সহজ কাজ নয়।
দিবালা চান, দলের প্রাণভোমরা সাময়িক অবসর ভেঙে দলে ফিরে আসুন। গত বিশ্বকাপে ফ্রান্সের বিপক্ষে নক-আউট পর্বের ম্যাচে ৪-৩ গোলে হেরে বিদায় নেওয়ার পর থেকেই জাতীয় দল থেকে সাময়িক অবসর নিয়েছেন বার্সেলোনা তারকা মেসি। এরপর অন্তর্বর্তীকালীন কোচ লিওনেল স্কালোনির অধীনে এপর্যন্ত ঘোষিত তিনটি স্কোয়াডের কোনোটিতেই তাকে দেখা যায়নি। মূলত ক্লাবের প্রতি বাড়তি মনোযোগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত তার। এর মধ্যে তাকে আবার বার্সেলোনার অধিনায়কত্বও বুঝিয়ে দেওয়া হয়েছে।
মেসির অনুপস্থিতি দিবালার জন্য বাড়তি সুযোগ এনে দিয়েছে নিজেকে মেলে ধরার। মাঠে বেশি সময় কাটানোর সুযোগও পাচ্ছেন তিনি। গত শুক্রবার (১৬ নভেম্বর) মেক্সিকোর বিপক্ষে প্রীতি ম্যাচে ২-০ গোলে জেতা ম্যাচে সমর্থকদের মন জয় করেছেন দিবালা।
কিন্তু মেক্সিকোর বিপক্ষে অনুষ্ঠেয় দ্বিতীয় ম্যাচের আগে মেসির শূন্যতা অনুভব করার কথাই প্রকাশ করলেন দিবালা। মেসিকে দলে ফিরতে দেখতে কতটা উন্মুখ তিনি তাও জানালেন এক সাক্ষাৎকারে।
‘আমরা চাই সে (মেসি) ফিরে আসুক। আমরা জানি সে আমাদের জন্য কত গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু সিদ্ধান্ত নেওয়ার সুযোগ বাকিদের নেই।’
রাশিয়া বিশ্বকাপে ব্যর্থতার জেরে হোর্হে সাম্পাওলির বিদায়ের পর তিন মাসের জন্য অন্তর্বর্তীকালীন কোচের দায়িত্বে আসেন স্কালোনি। তবে তিন মাস শেষ হওয়ার পর তাকেই দায়িত্ব বুঝিয়ে দেওয়া হতে পারে জানা গেছে।
আপাতত আর্জেন্টিনার নতুন প্রজন্মের ফুটবলারদের দায়িত্ব সামলানোর কাজটা স্কালোনি ভালোই করছেন। যেহেতু দলে মেসি, সার্জিও আগুয়েরো, আনহেল ডি মারিয়া এবং গঞ্জালো হিগুয়েনের মতো অভিজ্ঞ তারকারা নেই, তাই দিবালা, লওতারো মার্তিনেজ, মাওরো ইকার্দি, লিওনার্দো পারেদেস এবং জিও লো সেলসোদের মতো তরুণ প্রতিভাদের নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছেন তিনি।
তবে সুযোগ পেয়েও তাতে পুরো তৃপ্ত নন দিবালা। বরং স্বীকার করে নেন যে, এই প্রজন্মের খেলোয়াড়দের আদর্শ নন তিনি। ফলে এই স্বল্প অভিজ্ঞতা সম্পন্ন দলটিকে নিয়ে বাড়তি প্রত্যাশা না করার অনুরোধ করছেন এই ফরোয়ার্ড।
‘আমরা তরুণ, আমরা কেবলই শুরু করেছি এবং আমাদের সমর্থন প্রয়োজন। আমরা জানি না সামনে কি হতে চলেছে।’
দিবালা একথা তো আর সাধে বলেননি। তার কাছে সমর্থকদের বিশাল প্রত্যাশার সিকিভাগও এখনও পূরণ করতে পারেননি তিনি। জাতীয় দলের হয়ে ১৭টি ম্যাচে মাঠে নামলেও এখনও নিজের প্রথম আন্তর্জাতিক গোলের প্রতীক্ষাই যে শেষ হয়নি তার।