প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, কোনো শিশু রাস্তায় জীবনযাপন করবে না। আমরা ১৬ কোটি লোকের খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিত করেছি। তাই, প্রায় ৩৪ লাখ পথশিশুকে খাওয়ানোর সক্ষমতা সরকারের রয়েছে।
রোববার বাংলাদেশ শিশু একাডেমি মিলনায়তনে বিশ্ব শিশু দিবস ও শিশু অধিকার সপ্তাহ-২০১৫, উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এ কথা বলেন। খবর বাসসের
প্রতিটি শিশুকে তাদের এলাকার স্কুলে ভর্তি নিশ্চিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শিশুরা যে এলাকায় বসবাস করে সেখানকার স্কুলগুলোতে ভর্তির সুযোগ পাওয়া তাদের অধিকার।’
এ ব্যাপারে মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে তদারকি ও সমন্বয়ের জন্য প্রধানমন্ত্রী তার অফিসের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের নির্দেশ দেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, শিক্ষা যেন শিশুর জন্য বোঝা না হয় বরং স্কুলগুলোতে ও পরিবারে এমন পরিবেশ তৈরি করতে হবে যেখানে তারা নিজেরা শিক্ষা গ্রহণে আগ্রহী হবে এবং পড়াশোনায় উৎসাহ বোধ করবে।
শেখ হাসিনা দ্ব্যর্থহীনভাবে বলেন, গৃহকর্মী নির্যাতন এবং কোন ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু নিয়োগ সরকার কোনভাবেই মেনে নিবে না। সরকার কোন ধরনের শিশু নিপীড়ন বরদাস্ত করবে না।
অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি সভাপতিত্ব করেন।
মহিলা ও শিশু বিষয়ক মন্ত্রণালয় আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউনিসেফের আবাসিক প্রতিনিধি এডোয়ার্ড বেইগবিডার।
বাংলাদেশ শিশু একাডেমীর চেয়ারম্যান ও বিশিষ্ট সাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, এমওডব্লিউসিএ সচিব ড. নাসিমা বেগম, বর্তমানে শিশু কল্যাণ প্রকল্পে আশ্রয় প্রাপ্ত সুবিধা বঞ্চিত দুই শিশু এম হাশেম ও সানজিদা আফরোজ স্মৃতি অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন।
‘শিশু গড়বে দেশ, যদি পায় পরিবেশ’ এই প্রতিপাদ্য নিয়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের ন্যায় বাংলাদেশে আজ এ দিবস পালিত হচ্ছে।