ঢাকা ০২:৪৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

সাজা স্থগিত ও জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার হাইকোর্টে আপিল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৯:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮
  • ২৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আপিলে সাজা স্থগিতের পাশাপাশি জামিন চাওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল দাখিল করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, এই মামলায় বেআইনি ও অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে।

আপিলে এই সাজা বাতিল চেয়েছি। চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ ও জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ে বলা হয়, সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন থেকে অপরাধমূলক কাজের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ট্রাস্টের অনুকূলে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা কখনো কাম্য হতে পারে না।

গত বুধবার ৬৩৮ পৃষ্ঠার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনায় নিয়োজিত আইনজীবী প্যানেল চার দিন ধরে ওই রায় পর্যালোচনা করে গতকাল হাইকোর্টে ২৪টি আইনগত যুক্তিতে আপিল করেন। এতে বলা হয়েছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট পরিচালিত হয়েছে ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট আইন দিয়ে। তাই ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। আপিলে বলা হয়, চ্যারিটেবল ট্রাস্টে অর্থ দিয়েছেন বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মীরা।

এখানে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রশ্ন উঠে না। কিন্তু আইনের ৫(২) ধারায় আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটা আইনানুযায়ী সঠিক হয়নি। এ কারণে সাজা বাতিল চাওয়া হলো। এদিকে দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, যে বেঞ্চেই শুনানি হোক না কেন আপিল মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

প্রসঙ্গত, দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দশ বছর এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে সাত বছর দণ্ড দেয় আদালত। দণ্ডিত হওয়ার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে আছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

সাজা স্থগিত ও জামিন চেয়ে খালেদা জিয়ার হাইকোর্টে আপিল

আপডেট টাইম : ০৯:০১:৫৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ১৯ নভেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলার সাজার রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। আপিলে সাজা স্থগিতের পাশাপাশি জামিন চাওয়া হয়েছে। গতকাল রবিবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় এই আপিল দাখিল করেন বিএনপির আইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। তিনি বলেন, এই মামলায় বেআইনি ও অন্যায়ভাবে খালেদা জিয়াকে সাজা ও জরিমানা করা হয়েছে।

আপিলে এই সাজা বাতিল চেয়েছি। চলতি সপ্তাহে হাইকোর্টের একটি ডিভিশন বেঞ্চে এই আপিল শুনানির জন্য গ্রহণ ও জামিন আবেদনের ওপর শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। গত ২৯ অক্টোবর জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে সাত বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেয় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫। রায়ে বলা হয়, সর্বোচ্চ রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় আসীন থেকে অপরাধমূলক কাজের মাধ্যমে ব্যক্তিগত ট্রাস্টের অনুকূলে অবৈধভাবে অর্থ সংগ্রহ করে তিনি যে দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছেন তা কখনো কাম্য হতে পারে না।

গত বুধবার ৬৩৮ পৃষ্ঠার রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি পান খালেদা জিয়ার আইনজীবীরা। খালেদা জিয়ার মামলা পরিচালনায় নিয়োজিত আইনজীবী প্যানেল চার দিন ধরে ওই রায় পর্যালোচনা করে গতকাল হাইকোর্টে ২৪টি আইনগত যুক্তিতে আপিল করেন। এতে বলা হয়েছে, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট পরিচালিত হয়েছে ১৮৮২ সালের ট্রাস্ট আইন দিয়ে। তাই ১৯৪৭ সালের দুর্নীতি প্রতিরোধ আইনের ৫(২) ধারায় মামলা দায়েরের সুযোগ নেই। আপিলে বলা হয়, চ্যারিটেবল ট্রাস্টে অর্থ দিয়েছেন বিএনপির দলীয় নেতা-কর্মীরা।

এখানে অর্থ সংগ্রহের ক্ষেত্রে ক্ষমতার অপব্যবহারের প্রশ্ন উঠে না। কিন্তু আইনের ৫(২) ধারায় আনীত অভিযোগের ভিত্তিতে খালেদা জিয়াকে দণ্ড দেওয়া হয়েছে। এটা আইনানুযায়ী সঠিক হয়নি। এ কারণে সাজা বাতিল চাওয়া হলো। এদিকে দুদক কৌঁসুলি খুরশীদ আলম খান সাংবাদিকদের জানান, যে বেঞ্চেই শুনানি হোক না কেন আপিল মোকাবিলায় আমরা প্রস্তুত রয়েছি।

প্রসঙ্গত, দুটি দুর্নীতির মামলায় ১৭ বছরের কারাদণ্ডে দণ্ডিত হয়েছেন খালেদা জিয়া। এর মধ্যে জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় দশ বছর এবং চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় তাকে সাত বছর দণ্ড দেয় আদালত। দণ্ডিত হওয়ার পর গত ৮ ফেব্রুয়ারি থেকে তিনি কারাগারে আছেন।