জাতিসংঘে দেড় শতাধিক দেশের বিপক্ষে যুক্তরাষ্ট্র-ইসরাইল

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মাত্র ছয় দিনের যুদ্ধে ১৯৬৭ সালে সিরিয়ার কাছ থেকে গোলান মালভূমি দখল করে নেয় ইসরাইল। জাতিসংঘে প্রতিবছর ইসরাইলের এই দখলদারিত্বের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব আনা হয় এবং সদস্য দেশগুলো প্রস্তাবের পক্ষে-বিপক্ষে ভোট দিয়ে থাকে। এরই ধারাবাহিকতায় গতকাল শুক্রবার ইসরাইলি দখলদারিত্বের নিন্দা জানিয়ে প্রস্তাব আনা হয়, যেখানে গোলান মালভূমির দখল ছাড়াও ফিলিস্তিনসহ ১০টি বিষয় অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। প্রস্তাবে ইসরাইলের দখলদারিত্বকে আন্তর্জাতিক আইনের লঙ্ঘন বলে উল্লেখ করা হয়েছে।

আগের বছরগুলোতে এই প্রস্তাবের পক্ষে কিংবা বিপক্ষে ভোট না দিয়ে যুক্তরাষ্ট্র অনুপস্থিত থাকতো। কিন্তু এবার সে ঐহিত্য ভেঙে ভোটাভোটিতে অংশ নেয় ওয়াশিংটন এবং ইসরাইলের দখলদারিত্বকে সমর্থন দেয়।

তবে প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়েছে শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও ইসরাইল। আর তাদের বিপক্ষে অর্থাৎ প্রস্তাবের পক্ষে ভোট দিয়েছে ১৫১টি দেশ। খবর- আনাদলু, প্রেসটিভি।

আর ১৯৩ সদস্যের জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের এ ভোটাভোটিতে অংশ নেয়নি ১০টি দেশ।

জাতিসংঘে মার্কিন দূত নিকি হ্যালি প্রস্তাবের বিপক্ষে ভোট দিয়ে বলেন, প্রস্তাবটি ইসরাইলের স্বার্থবিরোধী।

গোলান মালভূমির একটি এলাকায় নিজেদের পজিশন নেওয়ার চেষ্টা করছে সিরিয়ান সেনারা। ছবি- ২৬ জুলাই ২০১৮

গোলান মালভূমির একটি এলাকায় নিজেদের পজিশন নেওয়ার চেষ্টা করছে সিরিয়ান সেনারা। ছবি- ২৬ জুলাই ২০১৮ তবে এতো ভোটের ব্যবধানে প্রস্তাবটি গ্রহীত হলেও জাতিসংঘে ইসরাইলি দূত ড্যানি ড্যানন দম্ভভরে বলেছেন, তারা দখল করা এলাকা ছেড়ে যাবে না। আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে ইসরাইলের বাস্তব অবস্থা অনুধাবন করা উচিত বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

আর জাতিসংঘে নিযুক্ত সিরিয়ান দূত বাশার আল-জাফরি অঙ্গীকার ব্যক্ত করে বলেছেন, তারা অবশ্যই দখলকৃত অঞ্চল উদ্ধার করবেন- হতে পারে সেটা শান্তিপূর্ণ উপায়ে কিংবা শক্তি প্রয়োগে।

উল্লেখ্য, গোলান মালভূমির দখল নেওয়ার পর সেখানে যুদ্ধ ঘাঁটি ছাড়াও অনেক স্থাপনা বানিয়েছে ইসরাইল। এমনকি গত কয়েক বছরে সেখান থেকেই সিরিয়ার ভেতরে কয়েক বার হামলাও চালিয়েছে তেলআবিব।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর