ঢাকা ০৩:১২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কিশোরগঞ্জে মা ও স্ত্রী হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৩:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮
  • ২৬৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মা ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামের ছাবেদ উল্লাহকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন কিশোরগঞ্জের প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম আল মাসুদ। তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ছাবেদ উল্লাহ পেশায় একজন চোর ও পকেটমার। এই নিয়ে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তার স্ত্রী পিতার বাড়িতে বসবাস করতো। ছাবেদ উল্লাহর পিতা মারা যাওয়ার পর তার মা জহুরা খাতুন তার চাচা ইয়াকুব আলীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ছাবেদ উল্লাহ ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে নিজের ভিটে-বাড়ি না থাকায় চাচা ইয়াকুব আলীর ঘরে ঘুমাতো।

২০০৩ সালের ২৭ জুন ছাবেদ উল্লাহ চাচার বাড়িতে আসে এবং স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকেও খবর দিয়ে আনে। ওই রাত্রে একই ঘরে ইয়াকুব আলী ও জহুরা খাতুন চৌকিতে এবং ছাবেদ উল্লাহ ও মনোয়ারা বেগম মাটিতে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত তিনটার দিকে ছাবেদ উল্লাহ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে গলাকেটে হত্যা করে। মনোয়ারা খাতুনের চিৎকার শুনে জহুরা খাতুন চৌকি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ছাবেদ উল্লাহ তাকেও এলোপাতাডি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে ইয়াকুব আলীর ডাক-চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে রক্তমাখা ছুরিসহ ছাবেদউল্লাহকে আটক করে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

কিশোরগঞ্জে মা ও স্ত্রী হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি

আপডেট টাইম : ০৩:৫৭:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৫ নভেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ মা ও স্ত্রীকে হত্যার দায়ে কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার এগারসিন্দুর গ্রামের ছাবেদ উল্লাহকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত। বৃহস্পতিবার দুপুরে আসামির উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন কিশোরগঞ্জের প্রথম আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ এ বি এম আল মাসুদ। তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানা করেছে আদালত।

মামলার বিবরণে জানা গেছে, ছাবেদ উল্লাহ পেশায় একজন চোর ও পকেটমার। এই নিয়ে স্ত্রী মনোয়ারা বেগমের সঙ্গে মনোমালিন্যের কারণে তার স্ত্রী পিতার বাড়িতে বসবাস করতো। ছাবেদ উল্লাহর পিতা মারা যাওয়ার পর তার মা জহুরা খাতুন তার চাচা ইয়াকুব আলীর সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। ছাবেদ উল্লাহ ঢাকা থেকে বাড়িতে এলে নিজের ভিটে-বাড়ি না থাকায় চাচা ইয়াকুব আলীর ঘরে ঘুমাতো।

২০০৩ সালের ২৭ জুন ছাবেদ উল্লাহ চাচার বাড়িতে আসে এবং স্ত্রী মনোয়ারা বেগমকেও খবর দিয়ে আনে। ওই রাত্রে একই ঘরে ইয়াকুব আলী ও জহুরা খাতুন চৌকিতে এবং ছাবেদ উল্লাহ ও মনোয়ারা বেগম মাটিতে ঘুমিয়ে পড়ে। রাত তিনটার দিকে ছাবেদ উল্লাহ পূর্বপরিকল্পিতভাবে ঘুমন্ত অবস্থায় স্ত্রী মনোয়ারা খাতুনকে গলাকেটে হত্যা করে। মনোয়ারা খাতুনের চিৎকার শুনে জহুরা খাতুন চৌকি থেকে নামার সঙ্গে সঙ্গে ছাবেদ উল্লাহ তাকেও এলোপাতাডি ছুরিকাঘাত করে হত্যা করে। পরে ইয়াকুব আলীর ডাক-চিৎকার শুনে লোকজন এগিয়ে এসে রক্তমাখা ছুরিসহ ছাবেদউল্লাহকে আটক করে।