ঢাকা ০২:৫২ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ জানুয়া

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:১০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮
  • ৩২৪ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ০৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। বুধবার (১৪ নভেম্বর) পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবীর আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়। তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন-আইনজীবী মওদুদ আহমদ ও সানা উল্লাহ মিয়া। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এর আগে,গত ৮ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে আদালতে নেওয়া হয়। ওইদিন শুনানি ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার এর আগে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থপিত আদালতে হত। গত ৭ নভেম্বর কারাগার ভবনে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস বসানোর আদেশ জারি হয়।

খালেদা ছাড়াও নাইকো দুর্নীতি মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও নাইকো’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছর সাজা হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। সেখান থেকে গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে আনা হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। এর মধ্যে আবার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

নাইকো দুর্নীতি মামলার অভিযোগ গঠনের শুনানি ৩ জানুয়া

আপডেট টাইম : ০৫:১০:১৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৪ নভেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ নাইকো দুর্নীতি মামলার শুনানি আগামী ০৩ জানুয়ারি পর্যন্ত মুলতবি করেছেন আদালত। বুধবার (১৪ নভেম্বর) পুরান ঢাকার পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থাপিত ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মাহমুদুল কবীর আসামি পক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।

আদালতে খালেদা জিয়াকে হাজির করা হয়। তার পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন-আইনজীবী মওদুদ আহমদ ও সানা উল্লাহ মিয়া। আর দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল।

এর আগে,গত ৮ নভেম্বর খালেদা জিয়াকে বিএসএমএমইউ হাসপাতাল থেকে আদালতে নেওয়া হয়। ওইদিন শুনানি ১৪ নভেম্বর পর্যন্ত মুলতবি করা হয়। নাইকো দুর্নীতি মামলার বিচার এর আগে বকশীবাজার আলিয়া মাদ্রাসা মাঠে স্থপিত আদালতে হত। গত ৭ নভেম্বর কারাগার ভবনে ঢাকার ৯ নম্বর বিশেষ জজ আদালতের অস্থায়ী এজলাস বসানোর আদেশ জারি হয়।

খালেদা ছাড়াও নাইকো দুর্নীতি মামলার অন্য আসামিরা হলেন- সাবেক আইনমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, সাবেক জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী এ কে এম মোশাররফ হোসেন, সাবেক সচিব মো. শফিউর রহমান, জ্বালানি ও খনিজসম্পদ মন্ত্রণালয়ের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সি এম ইউছুফ হোসাইন, ঢাকা ক্লাবের সাবেক সভাপতি সেলিম ভূঁইয়া, সাবেক মুখ্য সচিব কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও নাইকো’র দক্ষিণ এশিয়া বিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ।

কানাডার কোম্পানি নাইকোর সঙ্গে অস্বচ্ছ চুক্তির মাধ্যমে রাষ্ট্রের বিপুল পরিমাণ আর্থিক ক্ষতিসাধন ও দুর্নীতির অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে দুদকের সহকারী পরিচালক মুহাম্মদ মাহবুবুল আলম সেনাসমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর তেজগাঁও থানায় মামলাটি করেন।

২০০৮ সালের ৫ মে এ মামলায় খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন দুর্নীতি দমন কমিশনের সহকারী পরিচালক এস এম সাহেদুর রহমান। অভিযোগপত্রে প্রায় ১৩ হাজার ৭৭৭ কোটি টাকার রাষ্ট্রীয় ক্ষতির অভিযোগ আনা হয়।

গত ৮ ফেব্রুয়ারি জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ৫ বছর সাজা হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়। সেখান থেকে গত ৬ অক্টোবর চিকিৎসার জন্য বিএসএমএমইউ হাসপাতালে আনা হয় সাবেক এ প্রধানমন্ত্রীকে। এর মধ্যে আবার চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ২৯ অক্টোবর খালেদা জিয়াকে সাত বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।