হাওর বার্তা ডেস্কঃ মোবাইল চুরির ঘটনাকে কেন্দ্র করে কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার ডেইয়ারকোনা (কাঠালিয়াকান্দা) গ্রামের রিয়াজউদ্দিনকে হত্যার দায়ে একজনের ফাঁসি ও পিতা-পুত্রসহ ছয়জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছে আদালত।
কিশোরগঞ্জের দ্বিতীয় আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ মোহাম্মদ আব্দুর রহিম বৃহস্পতিবার এই রায় প্রদান করেন।
ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামি হলেন-জিলু মিয়া এবং যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন-চান মিয়া ও তার ছেলে বাদল মিয়া, চান মিয়ার সহোদর তৌহিদ মিয়া, ইসহাক মিয়া, হাদিস মিয়া ও আলী আকবর। রায় ঘোষণার সময় ইসহাক মিয়া ছাড়া সকলেই আসামির কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন। সাক্ষ্য-প্রমাণের অভাবে মামলায় অভিযুক্ত আটজনকে বেকসুর খালাস দেয়া হয়।
মামলার বিবরণে প্রকাশ, ২০০৮ সালের ১৬ জুন ভোরে মামলার বাদী শরীফউদ্দিন খোকনের ভাতিজা কালামের ঘর থেকে একটি মোবাইল চুরির সময় আসামি ইসহাকের মামাত ভাই মোয়াজ্জেম হাতেনাতে ধরা পড়ে। এই নিয়ে উভয়পক্ষের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। পরদিন সকালে রিয়াজউদ্দিন মোজাফফরপুর বাজারে যাওয়ার সময় সংঘবদ্ধ আসামিরা দা-লাঠি নিয়ে তার ওপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। আসামিরা প্রথমে দা-লাঠি দিয়ে আঘাত করে তাকে মাটিতে ফেলে দেয় এবং পরে আসামি জিলু মিয়া তাকে জবাই করে হত্যা করে।
এ ব্যাপারে নিহতের ছোট ভাই শরীফউদিদ্দন খোকন ১৬ জনের বিরুদ্ধে তাড়াইল থানায় মামলা দায়েরের পর পুলিশ তদন্ত শেষে সকলের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করে। বিচার চলাকালীন সময়ে আসামি আ. ওয়াহাব মারা যায়।
সরকার পক্ষে মামলাটি পরিচালনা করেন এপিপি হুমায়ূন কবীর ও আসামি পক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট অশোক সরকার।