হাওর বার্তা ডেস্কঃ চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় চিত্রা হরিণ পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে। গত রোববার সন্ধ্যায় একটি চিত্রা হরিণ বাচ্চা প্রসব করে। সদ্যোজাত শাবকসহ এই পরিবারে এখন সদস্য সংখ্যা ১১।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানার চিকিৎসক শাহাদাৎ হোসেন শুভ জানান, আগে চিড়িয়াখানায় ছয়টি মেয়ে ও চারটি পুরুষ চিত্রা হরিণ ছিল। দীর্ঘদিন পর চিত্রা হরিণ পরিবারে নতুন অতিথি এসেছে। গত বছরের? জুলাই মাসে এই পরিবারে আরেকজন অতিথি এসেছিল। হরিণ শাবকটি মায়ের কাছে থাকায় এখনো তার লিঙ্গ নির্ধারণ করা যায়নি।
চট্টগ্রাম চিড়িয়াখানায় বর্তমানে চিত্রা, সাম্বার ও মায়া এ তিন প্রজাতির হরিণ রয়েছে। প্রাণীবিদরা বলছেন, উপমহাদেশের হরিণ প্রজাতির মধ্যে সবচেয়ে দৃষ্টিনন্দন প্রজাতি হচ্ছে চিত্রা। বাংলাদেশের হাতিয়ার নিঝুম দ্বীপে প্রচুর ছাপ বা ফোঁটাযুক্ত চিত্রা হরিণ দেখা যায়।
পুরুষ হরিণের থাকে শাখা-প্রশাখাযুক্ত শিং। পূর্ণবয়স্ক চিত্রা হরিণের কাঁধ পর্যন্ত উচ্চতা ৩০ থেকে ৩৮ ইঞ্চি হয়। শরীর লম্বায় ৪২ থেকে ৫৫ ইঞ্চি পর্যন্ত হয়। লেজের দৈর্ঘ্য ৮ থেকে ১২ ইঞ্চি। ওজন ৭৫ থেকে ১০০ কেজি (১৬৫ থেকে ২২০ পাউন্ড) পর্যন্ত হয়। পুরুষ হরিণের উচ্চতা ও ওজন স্ত্রী হরিণের চেয়ে বেশি। চিত্রা হরিণী
২১০-২২৫ দিন গর্ভধারণের পর একটি বাচ্চা প্রসব করে। শিশু হরিণ ছয় মাস পর্যন্ত স্তন্য পান করে। স্ত্রী হরিণ ১৪-১৭ মাসে (কারো কারো মতে ১০ মাসে) বয়োঃপ্রাপ্ত হয়। অপরদিকে পুরুষ হরিণ ১৪ মাসে বয়োঃপ্রাপ্ত হয়।