মানব মন সর্বদা মুক্তি পিয়াসী, চিরচঞ্চল। একটু অবকাশ পেলেই মানুষ ছুটে যায় দিগ দিগন্তে সৌন্দর্যের আকর্ষেণে। জন্মগত ভাবেই মানুষ কৌতূহলী। তার সে কৌতূহল নতুন নতুন বিষয়ের প্রতি। প্রকৃতি ও মানুষের সৃষ্ট সৌন্দর্যের নানা নিদর্শন সে মানবীয় সত্তা দিয়ে অনুভব ও উপলব্ধি করতে চায়। পবিত্র ঈদুল আজহার ছুটিতে পর্যটকদের উপচে পড়া ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছিল প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপরুপ লীলাভূমি নামে খ্যাত মৌলভীবাজারের পর্যটন কেন্দ্রগুলো।এ জেলার বিভিন্ন উপজেলা বিশেষ করে শ্রীমঙ্গল, কমলগঞ্জ, কুলাউড়া, জুড়ী ও বড়লেখা অন্যতম। জেলার বড়লেখায় রয়েছে জলপ্রপাত মাধবকুন্ড, দিগন্ত বিস্তৃত সবুজ চা বাগান, আকাশসপর্শী পাথারিয়া পাহাড় ও নয়নাভিরাম হাকালুকি হাওর পর্যটকের মন ও দৃষ্টি কাড়ছে। প্রকৃতির অপরূপ কন্যা ‘মাধবকুন্ড জলপ্রপাত’। পাথারিয়া পাহাড়ের পাদদেশ ঘেঁষে পতিত অবিরাম জলধারায় যেন যৌবনা এক জলপ্রপাত মাধবকুন্ড। শ্রীমঙ্গল বধ্যভমি ৭১, সিতেশ বাবুর চিড়িয়াখানা, রমেশের ৭ কালার চা, চা বাগান,ফাইভ স্টার হোটেল গ্র্যান্ড সুলতান টি রির্সোট এন্ড গলফ, কমলগঞ্জ-শ্রীমঙ্গলের মধ্যবর্তী জায়গালাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান,কমলগঞ্জের পাহাড়ী আদিবাসীদের জীবনধারা, মোহময় আকর্ষণে টানে দর্শনার্থীদের। ত্রিপুরা সীমান্তর্র্বতী ধলই চা বাগানে অবস্থিত বীরশ্রেষ্ঠ হামিদুর রহমানের স্মৃতিসৌধ, ছায়া নিবিড় পরিবেশে অবস্থিত নয়নাভিরাম মাধবপুর লেক, ঝর্নাধারা হামহাম জলপ্রপাত, মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, ডবলছড়া খাসিয়া পুঞ্জি, শিল্পকলা সমৃদ্ধ মণিপুরীসহ ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র জাতিসত্তার জীবন ধারা ও সংস্কৃতিসহ প্রাকৃতিক সম্পদে ভরপুর এই জনপদ পর্যটকদের মন ও দৃষ্টি কেড়ে নেয়।পর্যটকের পদচারণায় মুখরিত হয়ে উঠে এসব পর্যটন ও আশপাশের এলাকা। গত সোমবার (২৮ সেপ্টেম্বর) অফিস-আদালত খুলার পরও বিভিন্ন স্পটে দেখা মিলে ভ্রমন পিপাসুদের। এদের মধ্যে সহপরিবারে ঘুরতে আসা সরকারী কর্মকর্তাদের উপস্থিতি ছিল উলেস্নখযোগ্য।
ঈদের ছুটিতে যেন মানুষের মিলন মেলায় পরিণত হয় কমলগঞ্জের প্রকৃতিক সৌন্দর্য্যের অপার লীলা নিকেতন সবুজ বনের লাউয়াছড়া উদ্যান । উদ্যানে বেড়াতে আসা পর্যটকদের সামাল দিতে সংশিস্নষ্টদের পাশাপাশাশি পর্যটন পুলিশ সদস্যদের হিমশিম খেতে দেখা যায় । লাউয়াছড়া উদ্যানের ট্যুরিষ্ট গাইডরা জানান, লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান- এর জীববৈচিত্র দেখতে ঈদের দিনের চেয়ে শনি-রবি ও সোমবার লোকজনের উপস্থিতি ছিল অন্যান্য বছরের তুলনায় বেশি।দেশের ১০টি জাতীয় উদ্যানের মধ্যে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপার লীলা ভূমি কমলগঞ্জের লাউয়াছড়া জাতীয় উদ্যান সংরক্ষিত বনাঞ্চলের মাঝে সবচেয়ে দর্শণীয়, নান্দনিক ও আকর্ষণীয়। পশুপাখি, বন্য প্রাণীর নিরাপদ আবাস স্থল। এ উদ্যানে অপলক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে সবুজ বৃক্ষরাজি। বিশ্বের বিলুপ্ত প্রায় জীব উল্লুকসহ কয়েকটি প্রাণী ও বিলুপ্ত প্রায় কয়েকটি মূল্যবান গাছ গাছালির শেষ নিরাপদ আবাসস্থল হল লাউয়াছড়া। এই উদ্যান ভ্রমন পিপাষুদের জন্য এখন একটি আকর্ষনীয় স্থান। ১৯৯৬ সালে ১২৫০ হেক্টর এলাকা নিয়ে লাউয়াছড়াকে ঘোষণা করা হয় জাতীয় উদ্যান হিসেবে। লাউয়াছড়ায় বেড়াতে আসা কুমিল্লার সরকারী চাকুরীজীবি রফিকুল ইসলাম, গৃহিনী হাসনা বেগম, কলেজ ছাত্রী চম্পা বেগম, নবীগঞ্জের এনজিও কর্মী রাসেদুল হক, চট্রগ্রামের ব্যবসায়ী হাজী রহিম উদ্দিন, প্রভাষক আসিফ ইকবাল জানান, লাউয়াছড়ার বন একটি সমৃদ্ধ বন। প্রকৃতিক অপরুপ সৌন্দর্য্য আর পশু পাখির মিলনস্থল যে কেউ দেখলে মন জুড়িয়ে যাবে।
প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের অনুপন সৃষ্টি মাধবতীর্থ এ জেলার বড়লেখায় অবস্থিত মাধবকুন্ড। মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের অবিরাম ধারা পতনের শব্দ সৃষ্টি করছে মায়াময় পরিবেশের। প্রকৃতি যেন বর্ণনার উপাচার নিয়ে সামনে দাঁড়ায়। পর্যটকদের জন্য উৎকৃষ্ট পর্যটন কেন্দ্র মাধবকুন্ড জলপ্রপাত। অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের লীলাভূমি এ উপজেলার মাধবকুন্ড জলপ্রপাত সহ বিভিন্ন পর্যটন স্পট এবারের ঈদের ছুটিতে পর্যটকের পদচারনায় মুখরিত হয়ে উঠেছে। ঈদের ছুটির সুযোগে সব ধর্ম-বর্ণের পর্যটকের আগমনে আনন্দ পুরিতে পরিণত হয়ে উঠেছে মাধবকুন্ড জলপ্রপাত ও আশপাশের এলাকা। পর্যটকদের আগমনে হাসি ফুটে উঠেছে মাধবকুন্ডের হোটেল-মোটেলসহ ছোট-বড় সব ধরনের ব্যবসায়ী মহলে। প্রাকৃতিক ভাবে সৃষ্ট বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ জলপ্রপাতে অবিরাম ঝর্ণাধারা আন্তর্জাতিক মানের পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছে। যুগ যুগ ধরে এ পাহাড়ী জলকন্যা সৌন্দর্য পিপাসু ও ভ্রমনপিপাসু পর্যটকদের কাছে টানছে। জেলার বড়লেখা উপজেলার ৮ নং দক্ষিণভাগ ইউনিয়নের গৌড় নগর মৌজায় মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের অবস্থান। পাহাড়ি ছড়ার প্রায় ২’শ ফুট উপর থেকে যুগ যুগ ধরে গড়িয়ে পড়ছে পানি। মাধবকুন্ডে ইজারাদার সুত্রে জানা গেছে, এই মনোমুগ্ধকর দৃশ্য দেখতে প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ঈদের দিন শুক্রবার, শনিবার ও রবিবার, সোমবার দুপুর পর্যন্ত প্রায় ১৫ হাজার পর্যটকের আগমন ঘটেছে এ জলপ্রপাতে। তবে এবারের ঈদে ছুটি কম থাকায় পর্যটকদের সংখ্যা অনেকাংশে কমে যাবে বলে সংশিষ্টরা জানান। সরেজমিনে মাধবকুন্ড জলপ্রাতে গিয়ে দেখা যায়, ঈদের ছুটিতে রাজধানী ঢাকাসহ সারা দেশ ও বিদেশের অসংখ্য দর্শনার্থী ও পর্যটকের মিলনমেলায় মুখরিত। পর্যটকদের চিত্ত বিনোদনের জন্য পর্যটন কর্পোরেশনের নির্মাণ করা হাঁতি, পেঙগুইন, মৎসকন্যা, বাঘ, ভালুক, বক, ঈগল পাখি, কুমির, বানর ইত্যাদির ভাষ্কর্য আগত শিশু-কিশোরসহ বিভিন্ন বয়সী দর্শনার্থীকে বাড়তি আনন্দ প্রদান করছে। ভাষ্কর্যগুলো কৃত্রিম হলেও প্রকৃতির নিপুন অনুকরণে এমনভাবে তৈরি করা হয়েছে যে পঞ্চইন্দ্রিয়ে সবকিছুই প্রাকৃতিক বলে মনে হয়েছে। ভ্রমনপিপাসু পর্যটকদের জলপ্রপাতে এসছে ছবি তোলা, জলপ্রপাতের কুন্ডের পানিতে নেমে আনন্দে গোসল করতে দেখা গেছে। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ২’শ ফুট উঁচু পাহাড়ের চূড়ায় জলপ্রপাতের উপরে ও উচুঁ পাহাড়ে বিচরন করতে দেখা যায় অনেক যুবককে। পর্যটকদের নিরাপত্তায় দায়িত্বে থাকা নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, পাহাড়ে উঠার পথগুলোতে পুলিশের পাহারা থাকার পরও গোপন কোন স্পট দিয়ে উপরে উঠে যায় পর্যটকরা। আমরা সর্বান্তক চেষ্টা চালাই। কিন্তু তারপরও পর্যটকরা পাহাড়ে উঠে যায়। কয়েক যুগ ধরে মাধবকুন্ড জলপ্রপাতের অঝরধারা প্রবাহমান থাকলেও সত্তরের দশকে দর্শনীয় স্থান হিসেবে এর পরিচিতি প্রকাশ পায়।
কমলগঞ্জ উপজেলার মাধবপুর চা বাগানে নয়নাভিরাম মনোরম দৃশ্য পদ্মকন্যা খ্যাত মাধবপুর লেকটি। বিপুল পরিমাণ পর্যটকদের ঢল নেমেছিল। পাহাড়ি টিলার উপর সবুজ চা বাগানের সমারোহ, জাতীয় ফুল দুর্লভ বেগুনী শাপলার আধিপত্য, ঝলমল স্বচ্ছ পানি, ছায়া নিবিড় পরিবেশ, শাপলা শালুকের উপস্থিতি আনন্দের বাড়তি মাত্রা যুক্ত করেছে। মাধবপুর চা বাগানে অবস্থিত মাধবপুর লেইকে সকল শ্রেনী পেশার মানুষের উপস্থিতি ছিল লক্ষ্যনীয়। লেকের চারপাশে বিশাল টিলায় সারিবদ্ধ ছোট-বড় গাছ আর সবুজ চা গালিচার টিলার মাঝখানে জলরাশি। টলটলে রূপালী জলের সঙ্গে দিবা-নিশির মিতালি করছে নীল পদ্মফুল। জলের আলো ছায়ার নীল পদ্মের লুকোচুরি খেলা মনমুগ্ধ করেছে আগত পর্যটকদের। প্রকৃতি অপরূপ সাজে সেজে নিজের রূপ দিয়েই আকর্ষণীয় হয়ে উঠায় জলের পদ্ম কন্যার মায়ায় আকড়ে ধরে দেশী-বিদেশী পর্যটকদের। তার এই মনোরম সৌন্দর্য্য দর্শনে ঈদের ছুটিতে প্রকৃতি প্রেমীরা ছুটে আসেন মাধবপুর লেকে। নয়নভিরাম এ জলারণ্য দল বেঁধে দেখতে গত বছরের তুলনায় এ বছর দেশী-বিদেশী পর্যটকদের আগমন বেশি ঘটে বলে জানান লেকের প্রধান ফটকে দায়িত্বে থাকা বাবুল সরকার। মাধবপুর লেকে বেড়াতে আসা হবিগঞ্জের কলেজ ছাত্রী আসমা বেগম, কুমিল্লার স্কুল শিক্ষক মাহিদুল ইসলাম, নরসিংদীর ব্যবসায়ী পংকজ সাহা, বি-বাড়িয়ার কলেজ শিক্ষক আনোয়ার হোসেন, চাকুরীজীবি রাসেল হাসান, গৃহিনী সুফিয়া খাতুন জানান, মাধবপুর লেক দেখলে নয়ন জুড়িয়ে যায়। এখানে বার বার আসতে মন চাইবে।
প্রকৃতির অপরূপ এক লীলাভূমি এ জেলার কমলগঞ্জ উপজেলার (রাজকান্দি রিজার্ভ ফরেস্টের কুরমা বনবিট) গহিন অরণ্যঘেরা দুর্গম পাহাড়ি এলাকার হামহাম জলপ্রপাত। বুনো পাহাড়ের গা বেয়ে দেড়শ ফুট উপর থেকে গড়িয়ে পড়া কাচের মতো স্বচ্ছ পানির স্রোতধারা কলকল শব্দ অ্যাডভেঞ্চার প্রিয়দের হাতছানি দিয়ে ডাকে। শ্রাবণে যখন পুরো জঙ্গল ফিরে পায় এর চিরসবুজ, হামহাম তখন ফিরে পায় এর আদিরূপ। অপরূপ নির্মল ওই সৌন্দর্যে নিমেষে জুড়িয়ে যায় পথের কান্তি। পথের দু পাশের বুনো গাছের সজ্জা যে কোনো পর্যটকের দৃষ্টি ফেরাতে সক্ষম। জারুল, চিকরাশি ও কদম গাছের ফাঁকে ফাঁকে রঙিন ডানা মেলে দেয় হাজারো প্রজাপতি। চশমা বানরের আনাগোনা ডুমুর গাছের শাখায় । চারদিকে গাছগাছালি ও প্রাকৃতিক বাঁশবনে ভরপুর এ বনাঞ্চল। ডলু, মুলি, মিটিংগা, কালি ইত্যাদি অদ্ভুত নামের বিভিন্ন প্রজাতির বাঁশ এ বাগানগুলোকে দিয়েছে ভিন্ন এক রূপ। পাথুরে পাহাড়ের ঝিরি পথে হেঁটে যেতে যেতে সুমধুর পাখির কলরব মনকে ভাললাগার অনুভূতিতে ভরিয়ে দেয়। দূর থেকে কানে ভেসে আসবে বিপন্ন বন মানুষের ডাক। কিছুদূর এগিয়ে যাওয়ার পর শুরুতে আপনার দু’চোখের সামনে ভেসে উঠবে পাহাড় থেকে ধোঁয়ার মতো ঘন কুয়াশা ভেসে উঠার অপূর্ব দৃশ্য। মনে হয় যেন ওই নয়নাভিরাম পাহাড় আপনাকে হাতছানি দিয়ে ডাকছে। । এখানে জীব বৈচিত্র ও পরিবেশে এত সমৃদ্ধ যে যাহা দেশের আর কোথাও পাওয়া যায় না। এখানে যেভাবে পায়ের নিচে ঝিরির স্বচ্ছ জল আর সম্মুখে অপরূপ ঝর্না। ঠিক তেমনি বিরল প্রজাতির জীব ও পশু পাখি দেখতে পাওয়া যায়। কমলগঞ্জ উপজেলা সদর থেকে প্রায় ৩০ কিঃমিঃ পূর্ব-দক্ষিণে রাজকান্দি বন রেঞ্জের কুরমা বনবিট এলাকার প্রায় ১০ কিঃমিঃ অভ্যন্তরে দৃষ্টিনন্দন হামহাম জলপ্রপাত দেখে এসে কলেজ ছাত্র মো. আব্দুল কাইয়ূ, টিপু, ঢাকার এনজিও কর্মী এমরান আহমদ, সফিকুল ইসলাম, চাকুরীজবি শহীদুল হক, মোল্লা কাউসার, নারীনেত্রী শেখ মনোয়ারা জানান, মাধবকুন্ডের চেয়েও সুন্দর হামহাম জলপ্রপাত। প্রায় ১০ কিঃ মিঃ পায়ে হেটে হেলেও মুগ্ধ হই সেখানে গিয়ে। হামহাম জলপ্রপাত গাইডরা জানান, স্থানটি দেশী বিদেশী পর্যটকদের কাছে খুবই আকর্ষণীয় বলে এখন ভিড় অনেক বেড়ে গেছে।
এদিকে এবারের ঈদ বর্ষাকালে হওয়ায় এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ জলাভূমি হাকালুকি হাওর এলাকার নয়নাভিরাম দৃশ্য দেখতে গতবারের ন্যায় এবারও অনেক পর্যটক দূর দুরান্ত থেকে আসছেন। এটির অবস্থান মৌলভীবাজার জেলার বড়লেখা, জুড়ী, কুলাউড়া, সিলেটের বিয়ানীবাজার, গোলাপগঞ্জ ও ফেঞ্চুগঞ্জ উপজেলায় বিস্তৃত। হাওরের বেশিরভাগ এলাকা বড়লেখা উপজেলায় অবস্থিত।
সব মিলিয়ে প্রাকৃতিক সৌন্দর্য্যরে অপরুপ লীলাভূমি নামে খ্যাত মৌলভীবাজারে আনন্দ ও উৎসবে উদযাপিত হয়েছে পবিত্র ঈদ উল আজহা।