হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে হওয়া দুইটি মামলার রায় হতে পারে চলতি অক্টোবর মাসেই। এর মধ্যে একটির রায় ঘোষণার জন্য এরই মধ্যে আগামী ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য রেখেছেন বিচারিক আদালত।
আর অন্যটিতে বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার আবেদন আগামী ৩১ অক্টোবরের মধ্যে নিষ্পত্তি করতে হাইকোর্টকে নির্দেশ দিয়ে রেখেছেন আপিল বিভাগ। তার মানে চলতি অক্টোবর মাসেই রায় হতে পারে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার।
মামলা দুটির মধ্যে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার রায় ঘোষণার জন্য আগামী ২৯ অক্টোবর দিন ধার্য রেখেছে বিচারিক আদালত। গত মঙ্গলবার ঢাকার ৫ম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক আখতারুজ্জামান এই দিন ধার্য করেন।
দুদকের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন গত ২৬ সেপ্টেম্বর আদালতের কাছে আবেদন করেন, খালেদা জিয়াসহ মামলার অপর আসামিদের আইনজীবীরা যুক্তিতর্ক উপস্থাপন করছেন না। খালেদা জিয়া আদালতে আসতে চান না। তাই মামলার রায় ঘোষণার তারিখ চেয়ে আবেদন করেন তিনি।
আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে রায় ঘোষণার তারিখ ঠিক করে আদালত বলেন, আড়াই বছর ধরে আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক শুনানি না করে নানা কারণ দেখিয়ে কালক্ষেপণ করছে। আইনে যুক্তিতর্কের বিধান না থাকলেও আসামিপক্ষকে তা করার জন্য বলা হয়। আজও আসামিপক্ষ যুক্তিতর্ক না করে সময় চাচ্ছে। রায় ঘোষণার তারিখ চেয়ে দুদকের আবেদন মঞ্জুর করা হলো।
আর জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলার বিষয়ে জানতে চাইলে এই মামলায় দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আইনজীবী খুরশীদ আলম খান পরিবর্তন ডটকমকে জানান, বিচারিক আদালতের দেয়া দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে খালেদা জিয়ার করা আপিল নিষ্পত্তিতে আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত সময় বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ। গত ৩১ জুলাই প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বে চার বিচারপতির পূর্ণাঙ্গ আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
তিনি বলেন, মামলাটি বর্তমানে হাইকোর্টে নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে। তাই রায় নিয়ে কিছু বলবো না।
এই মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ আগামী ২৩ অক্টোবর পর্যন্ত বড়িয়েছেন হাইকোর্ট। বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেয়। এই বেঞ্চেই মামলাটি নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ডসহ অর্থদণ্ড দেন ঢাকার অস্থায়ী ৫ম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পর ওইদিন থেকেই কারাভোগ করছেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া।
বিচারিক আদালতের ওই রায়ের বিরুদ্ধে খালাস চেয়ে হাইকোর্টে আপিল আবেদন করেছেন খালেদা জিয়া। আর এই মামলায় খালেদা জিয়ার দণ্ড বাড়ানোর আবেদন করেছে দুদক। উভয় আবেদন নিষ্পত্তির অপেক্ষায় আছে হাইকোর্টের একই বেঞ্চে।