হার দিয়ে বিশ্বকাপ বাছাই শুরু করলো নেইমারবিহীন ব্রাজিল। ২০১৮ সালের রাশিয়া বিশ্বকাপের দক্ষিণ আমেরিকা অঞ্চলের বাছাইয়ে নিজেদের প্রথম ম্যাচে চিলির মাঠ থেকে ২-০ গোলের হার নিয়ে ফিরেছে পাঁচবারের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নরা।
সান্তিয়াগোর জাতীয় স্টেডিয়ামে এদুয়ার্দো ভারগাস ও আলেক্সিস সানচেসের গোল ১৫ বছরের মধ্যে ব্রাজিলের বিপক্ষে চিলিকে প্রথম জয় এনে দেয়।
২০০০ সালে বিশ্বকাপের বাছাইপর্বেই নিজেদের মাঠে ব্রাজিলকে ৩-০ ব্যবধানে হারিয়েছিল কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলি। এরপর এই ম্যাচের আগে ১৪ বার মুখোমুখি হয়েও ব্রাজিলকে হারাতে পারেনি তারা।
শুক্রবার ভোরে চোটের শঙ্কা ঝেড়ে ফেলে সানচেস ও আর্তুরো ভিদাল খেলতে নামলে শুরুতে আক্রমণে এগিয়ে থাকে কোপা আমেরিকার বর্তমান চ্যাম্পিয়ন চিলি। পঞ্চম মিনিটেই ভারগাসের সরাসরি শট ঠেকিয়ে দেন ব্রাজিল গোলরক্ষক জেফারসন।
নিষেধাজ্ঞার কারণে নেইমারের অনুপস্থিতিতে বাড়তি দায়িত্ব ছিল হাল্কের কাঁধে। নবম মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া ২৯ বছর বয়সী এই স্ট্রাইকারের মাটি কামড়ানো ফ্রি-কিক চিলির পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়।
মার্সেলো দিয়াসের দূরপাল্লার শট জেফারসন গ্লাভসে জমা করার পর স্বাগতিক দলের ভারগাসের আরেকটি শট পোস্টের বাইরে দিয়ে যায়। এরপর ব্রাজিল একটু একটু করে গুছিয়ে উঠতে থাকলেও ফরোয়ার্ডে নেইমারের অভাবটা ঠিকই অনুভব করতে থাকে দলটি।
প্রথমার্ধে হাল্ক, অস্কার চিলির রক্ষণে গিয়ে খেই হারানোয় চিলির গোলরক্ষক ক্লাওদিও ব্রাভোকে সে অর্থে কোনো পরীক্ষাই দিতে হয়নি। বক্সের বাইরে থেকে মার্সেলো, হাল্কের নেওয়া শট লক্ষ্যে থাকেনি। অস্কারের একটি প্রচেষ্টাও ব্যর্থ হয় পোস্টের ওপর দিয়ে উড়ে গেলে।
প্রথমার্ধে এগিয়ে যাওয়ার সেরা সুযোগটি পেয়েছিল চিলিই। তবে ৪২তম মিনিটে ডি-বক্সের ঠিক বাইরে থেকে নেওয়া সানচেসের জোরাল শট বাঁ পোস্টে লাগে।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতে ভিদাল বক্সের একটু বাইরে উইলিয়ানকে ফাউল করলে ফ্রি-কিক পায় ব্রাজিল। কিন্তু অস্কার উড়িয়ে মেরে সুযোগটি নষ্ট করেন।
৬৮তম মিনিটে ভিদাল হয়ে বল পেয়ে যান মার্ক গনসালেস। কিন্তু এই মিডফিল্ডারের ক্রসে শেষ মুহূর্তের টোকাটা দিতে ব্যর্থ হন সানচেস। চার মিনিট পরই চিলির হতাশা কাটে। ফারনান্দেসের ফ্রি-কিকে পা ছুঁইয়ে লক্ষ্যভেদ করে সমর্থকদের উল্লাসে ভাসান ভারগাস।
শেষ দিকে ভিদাল-সানচেসের দারুণ নৈপুণ্যে জয় নিশ্চিত করে স্বাগতিকরা। ৯০তম মিনিটে একজনকে কাটিয়ে ভিদালকে বল বাড়িয়ে বক্সের মধ্যে প্রতিপক্ষের গোলমুখের কাছাকাছি ছুটে যান সানচেস। বায়ার্নের মিডফিল্ডারের কাছ থেকে বল ফেরত পেয়ে দ্বিতীয়বারের চেষ্টায় গোল করেন আর্সেনাল এই তারকা ফরোয়ার্ড।
এর আগে লা পাসের উচ্চতা জয় করে বলিভিয়াকে ২-০ গোলে হারায় উরুগুয়ে।
দুই তারকা ফরোয়ার্ড লুইস সুয়ারেস ও এদিনসন কাভানির অনুপস্থিতিতে গোল করেন দুই ডিফেন্ডার মার্তিন কাসেরেস ও দিয়েগো গদিন।
বাররানকিয়াতে পেরুকে একই ব্যবধানে হারাতে কলম্বিয়াকে জয় করতে হয়েছে উচ্চ তাপমাত্রাও।
কলম্বিয়ার তিওফিলো গুতিয়েরেস ৩৬তম মিনিটে দলকে এগিয়ে নেন। ম্যাচের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুন করেন এদউইন কারদোনা।
অন্য ম্যাচে দেলরিস গনসালেসের একমাত্র গোলে ভেনেজুয়েলাকে হারায় প্যারাগুয়ে।