ঢাকা ০৬:১৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৩ মে ২০২৫, ৯ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম
চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল সৌদি আরবের সাথে বাংলাদেশের ব্যবসা-বাণিজ্য ও বাংলাদেশে সৌদি বিনিয়োগ বৃদ্ধিতে জেদ্দা কনস্যুলেটের উদ্যোগ নারী ও শিশুর প্রতি সহিংসতা প্রতিরোধে কাজ করছে সরকার: সমাজকল্যাণ উপদেষ্টা ব্যবসায়ীদের জন্য সহায়ক পরিবেশ তৈরিতে সচেষ্ট অন্তর্বর্তী সরকার: আইসিটি সচিব  অধ্যাদেশ নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ, ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দিয়েছে কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদ  হয়রানী মূক্ত ও জনবান্ধব ভূমি সেবা ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায় ভূমি মন্ত্রণালয় অঙ্গিকারাবব্ধ: সিনিয়র সচিব অভিনেত্রী শাওন ও ডিবি হারুনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা সিঁথিতে সিঁদুর দিয়ে কানে ঐশ্বরিয়া ভারতের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়াতে চায় ৫০ শতাংশ পাকিস্তানি জালিয়াতি বন্ধে পাঠ্যবইয়ের প্রকৃত চাহিদা নিরূপণ হচ্ছে

প্রাথমিকে পদোন্নতি পাচ্ছেন সাত হাজার শিক্ষক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১২:১৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৫২ বার

পদোন্নতি পাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষক। এতদিন মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে ছিল প্রধান শিক্ষক পদে এসব সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দীর্ঘ দিন আটকে থাকা এসব শিক্ষককে পদোন্নতির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে।

এর ফলে রাজস্বখাতে নিয়োগকৃত সহকারী শিক্ষকরা জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন খাতে উপজেলাভিত্তিক সাত হাজার ১৮৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পান। ১৯৯১ সালে উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তর এবং ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত হলেও একটি অধ্যাদেশের কারণে তাদের পদোন্নতি বন্ধ থাকে।

অথচ সাত বছর চাকরির পর সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেন। পদোন্নতি না হওয়ায় এ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।

ভুক্তভোগীদের ঢাকা মোহাম্মদপুর বরাবো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিনা বলেন, ১৯৯৫ সালে সরকার এক আদেশে এসব শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা ২০০৯ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০১৪ সালের শেষ দিকে হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন। মন্ত্রণালয় রায়ের বিপরীতে আপিল করলেও শিক্ষকদের পক্ষেই তা বহাল থাকে।

হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের রায় শিক্ষকদের পক্ষে গেলে মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা গত ৭ অক্টোবর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক বলেন, এ আদেশের ফলে এসব শিক্ষক এখন প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন।

১৯৮৫-১৯৯০ সাল পর্যন্ত এসব শিক্ষকের যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করে পদোন্নতি হবে।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

চোখ ও হাত পা বেঁধে রাতভর দুই যুবককে নির্যাতন, চোর বানানোর চেস্টা, ভিডিও ভাইরাল

প্রাথমিকে পদোন্নতি পাচ্ছেন সাত হাজার শিক্ষক

আপডেট টাইম : ১২:১৫:১১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ৯ অক্টোবর ২০১৫

পদোন্নতি পাচ্ছেন সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সাত হাজারেরও বেশি সহকারী শিক্ষক। এতদিন মামলা-সংক্রান্ত জটিলতায় আটকে ছিল প্রধান শিক্ষক পদে এসব সহকারী শিক্ষকের পদোন্নতি।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় দীর্ঘ দিন আটকে থাকা এসব শিক্ষককে পদোন্নতির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরকে নির্দেশ দিয়েছে।

এর ফলে রাজস্বখাতে নিয়োগকৃত সহকারী শিক্ষকরা জ্যেষ্ঠতার ভিত্তিতে প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন।

প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয় এবং ভুক্তভোগী শিক্ষকরা জানান, ১৯৮৬ থেকে ১৯৯০ সাল পর্যন্ত উন্নয়ন খাতে উপজেলাভিত্তিক সাত হাজার ১৮৫ জন সহকারী শিক্ষক নিয়োগ পান। ১৯৯১ সালে উন্নয়ন খাত থেকে রাজস্ব খাতে চাকরি স্থানান্তর এবং ২০০৮ সাল থেকে নিয়মিত হলেও একটি অধ্যাদেশের কারণে তাদের পদোন্নতি বন্ধ থাকে।

অথচ সাত বছর চাকরির পর সহকারী শিক্ষকরা প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতির যোগ্যতা অর্জন করেন। পদোন্নতি না হওয়ায় এ শিক্ষকদের মধ্যে ক্ষোভ ছিল।

ভুক্তভোগীদের ঢাকা মোহাম্মদপুর বরাবো সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক সেলিনা বলেন, ১৯৯৫ সালে সরকার এক আদেশে এসব শিক্ষকদের পদোন্নতি বন্ধ করে। এর পরিপ্রেক্ষিতে তারা ২০০৯ সালে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। ২০১৪ সালের শেষ দিকে হাইকোর্ট শিক্ষকদের পক্ষে রায় দেন। মন্ত্রণালয় রায়ের বিপরীতে আপিল করলেও শিক্ষকদের পক্ষেই তা বহাল থাকে।

হাইকোর্ট বিভাগের রিট পিটিশনের রায় শিক্ষকদের পক্ষে গেলে মন্ত্রণালয়ের বিদ্যালয়-২ শাখা গত ৭ অক্টোবর বিষয়টি নিষ্পত্তির জন্য প্রাথমিক শিক্ষা অধিদফতরের মহাপরিচালককে নির্দেশ দেয়।

সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় সহকারী শিক্ষক ফোরামের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হক বলেন, এ আদেশের ফলে এসব শিক্ষক এখন প্রধান শিক্ষক পদে পদোন্নতি পাবেন।

১৯৮৫-১৯৯০ সাল পর্যন্ত এসব শিক্ষকের যোগদানের তারিখ থেকে চাকরিকাল গণনা করে পদোন্নতি হবে।