ঢাকা ০৫:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

রঙ্গিন পাখার বাংলা কাঠঠোকরা পাখির

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১৮
  • ৩৮৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোরের এ সময়ে গ্রামের সৌন্দর্য যেনো চোখে পরার মতো। শিল্পীর হাতে আকাঁ যেনো সব কিছু। হঠাৎ দেখা পাওয়া গেলো রঙ্গিন পাখার বাংলা কাঠঠোকরা পাখির।

ঘন কালো সূচালো তীক্ষ্ম ঠোটে হাতুড়ির মতো ঠকঠক শব্দে এক মনে গাছে ঠুকরিয়ে যাচ্ছে। কর্কশ ডাক ছেড়ে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে সতর্ক হয়ে এক গাছ থেকে অন্য গাছে আশ্রয় নিয়ে খাবারের সন্ধানে উড়ে বেড়াচ্ছে কাঠঠোকরা। শরীরের ভারসাম্য রাখতে শক্ত পা দিয়ে আঁকড়ে ধরছে গাছের বাকঁল।

আগে কাঠঠোকরা পাখি নিয়মিত দেখা গেলেও এখন তেমন চোখে পরেনা। প্রায় ৩০ সেন্টিমিটারের মত লম্বা এ কাঠঠোকরার আকর্ষণীয় দিক হলো পুরুষ কাঠঠোকরার ঝুঁটি উজ্জ্বল লাল রঙের। আর স্ত্রী জাতীয় পাখির হলদে। এক সময়কার সুপরিচিত বাংলা কাঠঠোকরা চেনা পাখি হলেও এখন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এ পাখি। গাছের পোকামাকড় খেয়ে গাছের উপকার করা পাখি এটি।

সৌন্দর্যে দ্যুতি ছড়ানো আকর্ষণীয় রঙ্গিন এ পাখিটি গ্রাম-গঞ্জে দেখা যায়। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে কমে গেছে কাঠঠোকরার প্রজনন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হটাৎ করে বৃষ্টির এলো রাস্তার পামে এক দোকানে দাড়ালে চোখে পড়ে, রস্থার পূর্ব দিকে নারকেল গাছে দিকে, দুটো পাখি খেলা করছে। চোখ মুছে ভালো করে দেখলাম পাখি দুটো কাঁঠ-ঠোরা পাখি।

মানুষের মাঝে যেরকম ভালোবাসা হয় ঠিক তেমনি, পাখিদের মাঝেও ভালো মিল। একে সঙ্গে দুটি পাখিয়ে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছে। তাদের মিল দেখে মনে হচ্ছে তারা দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর পর দেখা হলো। বৃষ্টির পানিতে ভালোই মজা করছিলো পাখি দুটো। বেশ ঘন্টা দুয়েক এক সঙ্গে ছিলো। হটাৎ বৃষ্টি শেষ হতে না হতেই পাখি দুটো দুদিকে চলে যায়। আর গাছটি শুর্ন্য হয়ে যায়। আবার কবে দেখা পাবোকিনা তাও ঠিক নাই।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

রঙ্গিন পাখার বাংলা কাঠঠোকরা পাখির

আপডেট টাইম : ০৫:২৬:৫৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ৮ অক্টোবর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ভোরের এ সময়ে গ্রামের সৌন্দর্য যেনো চোখে পরার মতো। শিল্পীর হাতে আকাঁ যেনো সব কিছু। হঠাৎ দেখা পাওয়া গেলো রঙ্গিন পাখার বাংলা কাঠঠোকরা পাখির।

ঘন কালো সূচালো তীক্ষ্ম ঠোটে হাতুড়ির মতো ঠকঠক শব্দে এক মনে গাছে ঠুকরিয়ে যাচ্ছে। কর্কশ ডাক ছেড়ে মানুষের উপস্থিতি টের পেয়ে সতর্ক হয়ে এক গাছ থেকে অন্য গাছে আশ্রয় নিয়ে খাবারের সন্ধানে উড়ে বেড়াচ্ছে কাঠঠোকরা। শরীরের ভারসাম্য রাখতে শক্ত পা দিয়ে আঁকড়ে ধরছে গাছের বাকঁল।

আগে কাঠঠোকরা পাখি নিয়মিত দেখা গেলেও এখন তেমন চোখে পরেনা। প্রায় ৩০ সেন্টিমিটারের মত লম্বা এ কাঠঠোকরার আকর্ষণীয় দিক হলো পুরুষ কাঠঠোকরার ঝুঁটি উজ্জ্বল লাল রঙের। আর স্ত্রী জাতীয় পাখির হলদে। এক সময়কার সুপরিচিত বাংলা কাঠঠোকরা চেনা পাখি হলেও এখন ধীরে ধীরে কমে যাচ্ছে এ পাখি। গাছের পোকামাকড় খেয়ে গাছের উপকার করা পাখি এটি।

সৌন্দর্যে দ্যুতি ছড়ানো আকর্ষণীয় রঙ্গিন এ পাখিটি গ্রাম-গঞ্জে দেখা যায়। প্রতিকূল পরিবেশের কারণে কমে গেছে কাঠঠোকরার প্রজনন। রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় হটাৎ করে বৃষ্টির এলো রাস্তার পামে এক দোকানে দাড়ালে চোখে পড়ে, রস্থার পূর্ব দিকে নারকেল গাছে দিকে, দুটো পাখি খেলা করছে। চোখ মুছে ভালো করে দেখলাম পাখি দুটো কাঁঠ-ঠোরা পাখি।

মানুষের মাঝে যেরকম ভালোবাসা হয় ঠিক তেমনি, পাখিদের মাঝেও ভালো মিল। একে সঙ্গে দুটি পাখিয়ে বৃষ্টির পানিতে গোসল করছে। তাদের মিল দেখে মনে হচ্ছে তারা দীর্ঘ পাঁচ ছয় বছর পর দেখা হলো। বৃষ্টির পানিতে ভালোই মজা করছিলো পাখি দুটো। বেশ ঘন্টা দুয়েক এক সঙ্গে ছিলো। হটাৎ বৃষ্টি শেষ হতে না হতেই পাখি দুটো দুদিকে চলে যায়। আর গাছটি শুর্ন্য হয়ে যায়। আবার কবে দেখা পাবোকিনা তাও ঠিক নাই।