অবৈধ সম্পদ অর্জন ও সম্পদের তথ্য গোপনের অভিযোগে দুদকের দায়ের করা মামলাটি বাতিল চেয়ে কক্সবাজার-৪ আসনের সরকার দলীয় সংসদ সদস্য আব্দুর রহমান বদির করা আবেদন হাইকোর্ট থেকে ফেরত আনা হয়েছে।
বিচারপতি মো. হাবিবুল গনি ও বিচারপতি কে এম কামরুল কাদের এর সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ থেকে বুধবার আবেদনটি ফেরত আনা হয়।
হাইকোর্টে আবেদনের ওপর সাড়া না পাওয়ায় আব্দুর রহমান বদির আইনজীবী এ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার আবেদনটি ফেরত আনেন। এ আবেদন নিয়ে তিনি অন্য বেঞ্চে যাবেন বলে জানিয়েছেন।
আদালতে বদির পক্ষে শুনানি করেন বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান এ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেত মজুমদার। অপরদিকে এ আবেদনের বিরোধিতা করে আদালতে শুনানি করেন দুদকের আইনজীবী এ্যাডভোকেট খুরশীদ আলম খান।
এর আগে ১ অক্টোবর হাইকোর্টে বদি এ মামলার বিষয়ে রিট আবেদন করলে সে রিটটি খারিজ করে দেন হাইকোর্টের অন্য একটি বেঞ্চ।
মামলা বাতিল চেয়ে বদির করা আবেদনের ওপর উভয় পক্ষের শুননি করা হয় বুধবার। শুনানি শেষে আদালত বলেন, ‘আমরা এ আবেদন খারিজ করে দেব। এখন আপনি (বাসত মজুমদার) কি করবেন? তখন বদির আইনজীবী আবেদনটি ফেরত নেন।’
এ মামলার বিবরণ থেকে জানা যায়, ১০ কোটি ৮৬ লাখ ৮১ হাজার ৬৬৯ টাকা মূল্যের সম্পদের তথ্য গোপন এবং অবৈধভাবে অর্জিত সম্পদের বৈধতা দেখাতে কম দামি সম্পদকে বেশি দাম (এক কোটি ৯৮ লাখ তিন হাজার ৩৭৫ টাকা) দেখানোর অভিযোগে গত বছরের ২১ আগস্ট মামলাটি করে দুদক।
এরপর ওই গত বছরেরই ১২ অক্টোবর এ মামলায় এমপি বদি ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিমের আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন চান। আদালত আবেদন নাকচ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। ১৬ অক্টোবর মহানগর দায়রা ও জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ আদালত তার জামিনের আবেদন খারিজ করেন।