ঢাকা ১০:১০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা খালেদা জিয়ার জামিন বহাল

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮
  • ৩৬৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষাণার জন্য আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেছেন।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। বেলা ১১টা ৮ মিনিটে মামলার শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টা ৪০ এ।

এ দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রেখেছেন আদালত। খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জামিন বৃদ্ধি ও যুক্তিতর্ক মুলতবির আবেদন করেন।

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জামিন বৃদ্ধি না করা এবং যুক্তিতর্ক মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করার আবেদন করেন। এ ছাড়াও আসামি মনিরুল ইসলামের আইনজীবী তার জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন।

তাদের উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়া ও মনিরুল ইসলামের জামিন বৃদ্ধি করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের আদেশের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এ ছাড়াও দুই আসামির বিচারকের প্রতি অনাস্থার আদেশের জন্য একই দিন ধার্য করেন।

এরআগে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা বিষয়ে বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদেশের দিন ধার্য ছিল।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মামলাটির যুক্তি উপস্থাপন ও বিচারকের প্রতি দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মোল্লা ও মনিরুল ইসলাম খানের অনাস্থার আদেশের দিন ধার্য ছিল।

মামলা সূতে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশীদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

খালেদা জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন, সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর থেকে তিনি রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলা খালেদা জিয়ার জামিন বহাল

আপডেট টাইম : ০২:২৭:৫৩ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিয়া চ্যারিট্যাবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে করা মামলার রায়ের তারিখ ঘোষাণার জন্য আবেদন করেছে রাষ্ট্রপক্ষ। রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে আদালত এ বিষয়ে আদেশের জন্য রোববার (৩০ সেপ্টেম্বর) দিন ধার্য করেছেন।

বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে স্থাপিত ঢাকার পঞ্চম বিশেষ জজ আদালতের বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন। বেলা ১১টা ৮ মিনিটে মামলার শুনানি শুরু হয়ে শেষ হয় ১১টা ৪০ এ।

এ দিকে জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিন বহাল রেখেছেন আদালত। খালেদার আইনজীবী সানাউল্লাহ মিয়া জামিন বৃদ্ধি ও যুক্তিতর্ক মুলতবির আবেদন করেন।

অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী মোশাররফ হোসেন কাজল জামিন বৃদ্ধি না করা এবং যুক্তিতর্ক মুলতবির আবেদন নামঞ্জুর করে রায় ঘোষণার দিন ধার্য করার আবেদন করেন। এ ছাড়াও আসামি মনিরুল ইসলামের আইনজীবী তার জামিন বাড়ানোর আবেদন করেন।

তাদের উভয়পক্ষের শুনানি শেষে আদালত খালেদা জিয়া ও মনিরুল ইসলামের জামিন বৃদ্ধি করেন এবং রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের আদেশের জন্য ৩০ সেপ্টেম্বর দিন ধার্য করেন। এ ছাড়াও দুই আসামির বিচারকের প্রতি অনাস্থার আদেশের জন্য একই দিন ধার্য করেন।

এরআগে জিয়া চ্যারিটেবল দুর্নীতি মামলায় বিচারকের প্রতি অনাস্থা বিষয়ে বুধবার (২৬ সেপ্টেম্বর) আদেশের দিন ধার্য ছিল।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) দুপুরে রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে অবস্থিত অস্থায়ী ঢাকার ৫ নম্বর বিশেষ জজ ড. মো. আখতারুজ্জামান এ আদেশ দেন।

মঙ্গলবার (২৫ সেপ্টেম্বর) মামলাটির যুক্তি উপস্থাপন ও বিচারকের প্রতি দুই আসামি জিয়াউল ইসলাম মোল্লা ও মনিরুল ইসলাম খানের অনাস্থার আদেশের দিন ধার্য ছিল।

মামলা সূতে জানা যায়, জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্টের নামে অবৈধভাবে ৩ কোটি ১৫ লাখ ৪৩ হাজার টাকা লেনদেনের অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে ২০১০ সালের ৮ আগস্ট তেজগাঁও থানায় মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা দুদকের উপ-পরিচালক হারুন-অর রশীদ ২০১২ সালের ১৬ জানুয়ারি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৪ সালের ১৯ মার্চ আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন ঢাকার তৃতীয় বিশেষ জজ আদালতের বিচারক বাসুদেব রায়।

খালেদা জিয়া ছাড়া অপর আসামিরা হলেন, সাবেক রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরী, হারিছের তখনকার সহকারী একান্ত সচিব জিয়াউল ইসলাম মুন্না এবং সাদেক হোসেন খোকার একান্ত সচিব মনিরুল ইসলাম খান।

উল্লেখ্য, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় চলতি বছরের ৮ ফেব্রুয়ারি ৫ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. আখতারুজ্জামান। রায়ের পর থেকে তিনি রাজধানীর নাজিমউদ্দিন রোডের পুরাতন কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দি রয়েছেন।