ঢাকা ০১:২০ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ঢেউভাঙা মেয়েরা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৮:১৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫
  • ২৬৫ বার

সুমী আকতার থাকে ঘোনারপাড়ায়। সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। টেলিভিশনে সার্ফিং দেখে তাঁরও ইচ্ছা জাগে। ঢেউ ভাঙার স্বপ্নে বিভোর হয়। কিন্তু উপায় খুঁজে পায় না। সমাজের চোখ রাঙানি আছে, সার্ফিং বোর্ডই বা পাবে কোথায়? একদিন অবশ্য উপায় বের হয়। বলছেন সুমী- ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাদের স্কুলে আসে নোটিশ নিয়ে। তাঁরা সার্ফিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি অমনি নাম লিখিয়ে দিই।’ গেল আগস্ট মাসে ১৫ দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সুমীদের। সুমী বলল, ‘এটা শুধু খেলা নয়, আÍরক্ষার বড় কৌশলও।’ পুরুষের সঙ্গে দৌড় পারে সুমী-লোকজনের নানা বলাবলিতেও থামেনি। সে বলল, ‘পাড়া থেকে একদিন বিকেলে হেঁটে সাগরপারে যাচ্ছিলাম, এক মুরব্বি থামিয়ে বলেন, ওই মাইয়া, তুই নাকি সাগর দাবড়াস? জানস না, কাজটা ভালো না? এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। তবু পিছু হটিনি। প্রতিদিন সাগরে সাঁতার কাটি।’ সার্ফিংয়ের আনন্দ নিয়ে সুমী বলল, বোর্ডে চড়ে ঢেউয়ের তালে তালে সাঁতরানোর মজাই আলাদা। ঢেউয়ের পর ঢেউ ধরে দূরে চলে যায়। আবার আরেকটি বড় ঢেউয়ে ভেসে আসি তীরে।’
সুমীর বাবা জাগির হোসেন পাইপ মিস্ত্রির কাজ করেন। মা শবে মেরাজ একজন গৃহিণী। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সুমী সবার ছোট। অভাব-অনটনের পরিবারে কিছু স্বাচ্ছন্দ্য আনতে সে সাগরপারে পর্যটকদের কাছে সেদ্ধ ডিম বিক্রি করে। সকালে স্কুলে যায় আর বিকেলে বিক্রি করে ডিম। প্রথম প্রথম মা কিছুতেই রাজি ছিলেন না সার্ফিংয়ের ব্যাপারে। মা বলতেন, সাঁতার কাটলে পুরুষে দেখবে। এ কাজ করা যাবে না। সে সময় কক্সবাজার লাইফ সেভিং অ্যান্ড সার্ফিং ক্লাবের সভাপতি রাশেদ আলম মাকে অনেক বুঝিয়েছেন। মা-বাবাকে বলে সম্মতি আদায় করেছেন। এখন সুমী ওই ক্লাবের জুনিয়র সদস্য। অন্যদের সঙ্গে নিয়মিত সার্ফিং অনুশীলন করে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এক বিকেলে সৈকতে গিয়ে দেখলাম আরো আট কিশোরীর সঙ্গে সার্ফিং করছে সুমী। সুমীকে সাহসী মনে হলো। অন্যদের চেয়ে সে বেশি কসরত দেখাচ্ছে। তীরে ফিরে আসার পর বলল, ‘আমি একসঙ্গে কয়েকটা ঢেউ পাড়ি দিতে পারি। তবে তীর থেকে বেশি দূরে গেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সবচেয়ে বড় ঢেউটি যেদিন জয় করতে পারি, সেদিন খুশিতে মন ভরে যায়। বর্ষার ঢেউ সবচেয়ে উঁচু; তাই এ সময় সার্ফিংয়ের মজাও বেশি।’

সুমীর সঙ্গী-সাথি
ঢেউভাঙা মেয়েরা
রিফা আকতার, আয়েশা, নারগিস, মায়েশা, শবে মেরাজ, জাহানারা ও সোমা সুমীর সাফিং দোস্ত। সবারই বয়স ১১-১৩ বছরের মধ্যে। সবাই সৈকতে ফেরি করে।
রিফা-আয়েশা দুই বোন
রিফার বয়স ১৩ ও আয়েশার ১১। দুই বোন। থাকে কলাতলির শুকনাছড়িতে। দুজনেই সার্ফার। মা জানতে পেরে একদিন বেদম মেরেছিলেন। ওদের বাবা জাহাঙ্গীর আলম একটি হোটেলের পাচক। দুই বোনের কেউ স্কুলে যেতে পারেনি। বাড়িতে ছোট এক ভাই আর বোনও আছে। তাই দুজনই ফেরি করে সৈকতে। ঝিনুকের মালা বিক্রি করে। ফেরি করতে গিয়েই দেখে সাগরে মেয়েরা ঢেউ ভাঙছে। তাদের খুব ইচ্ছা হয়। কক্সবাজার লাইফ সেভিং অ্যান্ড সার্ফিং ক্লাবের ছেলে-মেয়েরা ওদের আগ্রহ দেখে দলে নিয়ে নেয়। রিফা জানায়, মা-বাবা দুজনকেই ক্লাবের ভাইয়ারা বুঝিয়েছে। এখন আমি নিয়মিত অনুশীলন করি। আমার ইচ্ছা আমেরিকার সাগরে সার্ফিং করার।’ আয়েশা বলল, ‘প্রথম প্রথম ভয় লাগত। এখন ভয় পাই না। সাগরের ঢেউ আপন লাগে।’
শবে মেরাজ আর সোমা
ঢেউভাঙা মেয়েরা দ্য মোস্ট ফিয়ারলেস ছবির পোস্টার
কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ঘোনারপাড়া এলাকার জাফর আলম ও বেবী খাতুনের মেয়ে শবে মেরাজ। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। সৈকতে মালা, কানের দুল, হাতের চুড়ি ফেরি করতে এসে অন্যদের মতো তারও সার্ফিংয়ের নেশা লাগে। দুই বছর হয়ে গেল তার সার্ফিংয়ে। একই এলাকার আলতাজ হোসেন ও মরিয়ম বেগমের মেয়ে সোমাও সৈকতে ফেরি করে সংসার টানে। এখন বলতে গেলে পাকা সার্ফার। সোমা বলে, ‘এটা এক ভিন্ন জগৎ। এখানে সাগর জয়ের আনন্দ আছে।’

সার্ফিং সিটি কক্সবাজার
এখন সরকারও সার্ফিংকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ৯ আগস্ট থেকে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে আয়োজন করা হয় ১৫ দিনব্যাপী সার্ফিং প্রশিক্ষণের। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৫০ জন ছেলেমেয়ে অংশ নেয়। এর মধ্যে মেয়ে আটজন। সংগঠনের হয়ে যারা সার্ফিং করে তারা সাধারণত বিদেশে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সেটা শিখে। অনেকে চায় এটা শিখে যেন বিদেশে যেতে পারে। প্রশিক্ষণের সময় সংগঠনগুলো থেকে তারা শুধু যাতায়াতের খরচাপাতি পেয়ে থাকে। কক্সবাজারে সার্ফিং নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত। একে পর্যটকবান্ধব করতে সার্ফিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অরূপ বড়ুয়া অপু বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা এখন স্পোর্টস ট্যুরিজমের ওপর বেশি জোর দিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে আমরা বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, বিচ কাবাডি, বিচ ভলিবলের আয়োজন করেছি।’ তিনি বলেন, সার্ফিং বোর্ড ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। আমরা চাইছি সরকার ছেলে-মেয়েদের বোর্ড সরবরাহ করুক। কক্সবাজারে একটি সার্ফিং ইনস্টিটিউটও গড়ে তোলা দরকার।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

ঢেউভাঙা মেয়েরা

আপডেট টাইম : ০৮:১৮:১৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৩ অক্টোবর ২০১৫

সুমী আকতার থাকে ঘোনারপাড়ায়। সৈকত বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। টেলিভিশনে সার্ফিং দেখে তাঁরও ইচ্ছা জাগে। ঢেউ ভাঙার স্বপ্নে বিভোর হয়। কিন্তু উপায় খুঁজে পায় না। সমাজের চোখ রাঙানি আছে, সার্ফিং বোর্ডই বা পাবে কোথায়? একদিন অবশ্য উপায় বের হয়। বলছেন সুমী- ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা আমাদের স্কুলে আসে নোটিশ নিয়ে। তাঁরা সার্ফিং প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা নিয়েছে। আমি অমনি নাম লিখিয়ে দিই।’ গেল আগস্ট মাসে ১৫ দিন প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সুমীদের। সুমী বলল, ‘এটা শুধু খেলা নয়, আÍরক্ষার বড় কৌশলও।’ পুরুষের সঙ্গে দৌড় পারে সুমী-লোকজনের নানা বলাবলিতেও থামেনি। সে বলল, ‘পাড়া থেকে একদিন বিকেলে হেঁটে সাগরপারে যাচ্ছিলাম, এক মুরব্বি থামিয়ে বলেন, ওই মাইয়া, তুই নাকি সাগর দাবড়াস? জানস না, কাজটা ভালো না? এমন ঘটনা অনেক ঘটেছে। তবু পিছু হটিনি। প্রতিদিন সাগরে সাঁতার কাটি।’ সার্ফিংয়ের আনন্দ নিয়ে সুমী বলল, বোর্ডে চড়ে ঢেউয়ের তালে তালে সাঁতরানোর মজাই আলাদা। ঢেউয়ের পর ঢেউ ধরে দূরে চলে যায়। আবার আরেকটি বড় ঢেউয়ে ভেসে আসি তীরে।’
সুমীর বাবা জাগির হোসেন পাইপ মিস্ত্রির কাজ করেন। মা শবে মেরাজ একজন গৃহিণী। দুই ভাই দুই বোনের মধ্যে সুমী সবার ছোট। অভাব-অনটনের পরিবারে কিছু স্বাচ্ছন্দ্য আনতে সে সাগরপারে পর্যটকদের কাছে সেদ্ধ ডিম বিক্রি করে। সকালে স্কুলে যায় আর বিকেলে বিক্রি করে ডিম। প্রথম প্রথম মা কিছুতেই রাজি ছিলেন না সার্ফিংয়ের ব্যাপারে। মা বলতেন, সাঁতার কাটলে পুরুষে দেখবে। এ কাজ করা যাবে না। সে সময় কক্সবাজার লাইফ সেভিং অ্যান্ড সার্ফিং ক্লাবের সভাপতি রাশেদ আলম মাকে অনেক বুঝিয়েছেন। মা-বাবাকে বলে সম্মতি আদায় করেছেন। এখন সুমী ওই ক্লাবের জুনিয়র সদস্য। অন্যদের সঙ্গে নিয়মিত সার্ফিং অনুশীলন করে।
সেপ্টেম্বরের মাঝামাঝি এক বিকেলে সৈকতে গিয়ে দেখলাম আরো আট কিশোরীর সঙ্গে সার্ফিং করছে সুমী। সুমীকে সাহসী মনে হলো। অন্যদের চেয়ে সে বেশি কসরত দেখাচ্ছে। তীরে ফিরে আসার পর বলল, ‘আমি একসঙ্গে কয়েকটা ঢেউ পাড়ি দিতে পারি। তবে তীর থেকে বেশি দূরে গেলে ক্লান্ত হয়ে পড়ি। সবচেয়ে বড় ঢেউটি যেদিন জয় করতে পারি, সেদিন খুশিতে মন ভরে যায়। বর্ষার ঢেউ সবচেয়ে উঁচু; তাই এ সময় সার্ফিংয়ের মজাও বেশি।’

সুমীর সঙ্গী-সাথি
ঢেউভাঙা মেয়েরা
রিফা আকতার, আয়েশা, নারগিস, মায়েশা, শবে মেরাজ, জাহানারা ও সোমা সুমীর সাফিং দোস্ত। সবারই বয়স ১১-১৩ বছরের মধ্যে। সবাই সৈকতে ফেরি করে।
রিফা-আয়েশা দুই বোন
রিফার বয়স ১৩ ও আয়েশার ১১। দুই বোন। থাকে কলাতলির শুকনাছড়িতে। দুজনেই সার্ফার। মা জানতে পেরে একদিন বেদম মেরেছিলেন। ওদের বাবা জাহাঙ্গীর আলম একটি হোটেলের পাচক। দুই বোনের কেউ স্কুলে যেতে পারেনি। বাড়িতে ছোট এক ভাই আর বোনও আছে। তাই দুজনই ফেরি করে সৈকতে। ঝিনুকের মালা বিক্রি করে। ফেরি করতে গিয়েই দেখে সাগরে মেয়েরা ঢেউ ভাঙছে। তাদের খুব ইচ্ছা হয়। কক্সবাজার লাইফ সেভিং অ্যান্ড সার্ফিং ক্লাবের ছেলে-মেয়েরা ওদের আগ্রহ দেখে দলে নিয়ে নেয়। রিফা জানায়, মা-বাবা দুজনকেই ক্লাবের ভাইয়ারা বুঝিয়েছে। এখন আমি নিয়মিত অনুশীলন করি। আমার ইচ্ছা আমেরিকার সাগরে সার্ফিং করার।’ আয়েশা বলল, ‘প্রথম প্রথম ভয় লাগত। এখন ভয় পাই না। সাগরের ঢেউ আপন লাগে।’
শবে মেরাজ আর সোমা
ঢেউভাঙা মেয়েরা দ্য মোস্ট ফিয়ারলেস ছবির পোস্টার
কক্সবাজার সদরের দক্ষিণ ঘোনারপাড়া এলাকার জাফর আলম ও বেবী খাতুনের মেয়ে শবে মেরাজ। দুই ভাই ও চার বোনের মধ্যে সে সবার ছোট। সৈকতে মালা, কানের দুল, হাতের চুড়ি ফেরি করতে এসে অন্যদের মতো তারও সার্ফিংয়ের নেশা লাগে। দুই বছর হয়ে গেল তার সার্ফিংয়ে। একই এলাকার আলতাজ হোসেন ও মরিয়ম বেগমের মেয়ে সোমাও সৈকতে ফেরি করে সংসার টানে। এখন বলতে গেলে পাকা সার্ফার। সোমা বলে, ‘এটা এক ভিন্ন জগৎ। এখানে সাগর জয়ের আনন্দ আছে।’

সার্ফিং সিটি কক্সবাজার
এখন সরকারও সার্ফিংকে গুরুত্বের সঙ্গে নিয়েছে। ৯ আগস্ট থেকে কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে আয়োজন করা হয় ১৫ দিনব্যাপী সার্ফিং প্রশিক্ষণের। কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার ব্যবস্থাপনায় এবং বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সহযোগিতায় এ প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ৫০ জন ছেলেমেয়ে অংশ নেয়। এর মধ্যে মেয়ে আটজন। সংগঠনের হয়ে যারা সার্ফিং করে তারা সাধারণত বিদেশে কোনো আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতায় অংশ নেওয়ার জন্য সেটা শিখে। অনেকে চায় এটা শিখে যেন বিদেশে যেতে পারে। প্রশিক্ষণের সময় সংগঠনগুলো থেকে তারা শুধু যাতায়াতের খরচাপাতি পেয়ে থাকে। কক্সবাজারে সার্ফিং নিয়ে বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব খোরশেদ আলম চৌধুরী বলেন, কক্সবাজার বিশ্বের দীর্ঘতম সৈকত। একে পর্যটকবান্ধব করতে সার্ফিং গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে।’
কক্সবাজার জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক অরূপ বড়ুয়া অপু বলেন, ‘জেলা ক্রীড়া সংস্থা এখন স্পোর্টস ট্যুরিজমের ওপর বেশি জোর দিয়েছে। সে ধারাবাহিকতায় ইতিমধ্যে আমরা বিচ ফুটবল, বিচ ক্রিকেট, বিচ কাবাডি, বিচ ভলিবলের আয়োজন করেছি।’ তিনি বলেন, সার্ফিং বোর্ড ২৫ হাজার থেকে এক লাখ টাকা। আমরা চাইছি সরকার ছেলে-মেয়েদের বোর্ড সরবরাহ করুক। কক্সবাজারে একটি সার্ফিং ইনস্টিটিউটও গড়ে তোলা দরকার।