হাওর বার্তা ডেস্কঃ পারমাণবিক শক্তি নীতি ও জলবায়ু লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য না আসার কথা জানিয়ে পদত্যাগ করেছেন ফ্রান্সের পরিবেশমন্ত্রী নিকোলাস হুলোট। মঙ্গলবার তার দেওয়ার এই পদত্যাগের ঘোষণার ফলে ফ্রান্সে প্রেসিডেন্ট এমানুয়েল ম্যাঁক্রোর সরকার সবুজ নীতি নিয়ে হোঁচট খেতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। সাবেক টেলিভিশন উপস্থাপক ও সবুজ নীতি বিষয়ক অ্যাকটিভিস্ট নিকোলাস হুলোট সকালে এক রেডিও সাক্ষাৎকারে এই পদত্যাগের ঘোষণা দেন। জনমত জরিপে সবসময়ই ওপরের দিকে থাকা এই মন্ত্রী পদত্যাগের কারণ হিসেবে পুঞ্জিভূত হতাশাকে দায়ী করেন।
ফ্রান্স ইন্টার রেডিওকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে নিকোলাস হুলোট বলেন, ‘আমি নিজেকে আর মিথ্যা বলতে চাই না। এমনকি কোনও বিভ্রান্তিও তৈরি করতে চাই না যে আমরা এসমস্ত চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে পারছি। সেকারণে আমি সরকার ছেড়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি’।
২০১৭ সালে নির্বাচনে জয়ের পর এমানুয়েল ম্যাঁক্রো প্রথম যে কয়জনকে মন্ত্রিসভায় ঠাঁই দিয়েছিলেন তার অন্যতম ছিলেন নিকোলাস হুলোট। তার নিয়োগের কারণেই ফ্রান্সের সবুজায়ন চিত্র ফুটে উঠে ১৮ মাস আগে প্যারিস চুক্তি স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বিশ্বজুড়ে গ্রীনহাউস গ্যাস নিঃসরণ কমানোর ব্যাপারে সম্মত হয়েছিলেন বিশ্বনেতারা।
তবে ২০২৫ সাল নাগাদ ফ্রান্সে পারমাণবিক বিদ্যুৎ উৎপাদন অর্ধেকে নামিয়ে আনা এবং নবায়নযোগ্য শক্তির ব্যবহার বাড়ানোর নীতিসহ ফ্রান্সের প্রেসিডেন্টের ধারাবাহিক নীতি নিয়ে অস্বস্তিতে ছিলেন নিকোলাস হুলোট।
নিকোলাস হুলোট বলেছেন, পদত্যাগের আগে তিনি প্রেসিডেন্টের সঙ্গেও কথা বলেননি। তিনি বলেন, ‘এটা হয়তো ঠিক উপায় নয় কিন্তু আমি যদি তাদের সঙ্গে কথা বলতাম তাহলে তারা আমাকে হয়তো বলতেন সব ঠিক হয়ে যাবে।’
তবে সরকারের এক মুখপাত্র বলেছেন, তার পদত্যাগে মন্ত্রিসভা দুঃখ পেয়েছেন তবে এই ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়া যাবে বলেও বর্ণনা করেন তিনি। বেঞ্জামিন গ্রিভেয়াক্স নামের ওই মুখপাত্র বলেন, ‘বুঝতে পারছি না প্রথম বছরেই বেশ কিছু সফলতা পাওয়ার পরও তিনি কেনও সরে দাড়ালেন। সফলতার সব কৃতিত্বই তার ছিল। তিনি তার সব লড়াইয়ে জিতবেন না কিন্তু মন্ত্রীদের এভাবেই কাজ করতে হয়।’
গ্রিনপিস ফ্রান্সের পরিচালক জেন ফ্রাঙ্কোইস জুলিয়ার্ড বলেছেন, ম্যাঁক্রো বেশ কিছু ভালো কথা বলেছেন এবং জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েচেন কিন্তু তিনি এর কোনও একটা শব্দও নিজে দেশে কাজে পরিণত করেননি। তিনি বেলন, ‘ফ্রান্সে এখন পর্যন্ত পরিবর্তিত জ্বালানি নীতি নেই।