শুক্রবার ছিল নারী সাংবাদিক মুন্নী সাহার জন্মদিন।এ দিন এটিএন বাংলার চিফ এক্সিকিউটিভ এডিটর মুখ জ. ই. মামুন নিজের ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়ে মুন্নি সাহাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছা জানান এবং অতীত স্মৃতিচারণ করেন। তার স্ট্যাটাসটি হুবহু নিম্নে তুলে ধরা হলে-
মুন্নীর সাথে আমার আজন্ম সখ্য আর আজন্ম বিরোধ। গত ২৫ বছর ধরে আমরা একসাথে হাঁটছি, একই পথে। কখনো মুন্নী আগে, কখনো আমি। বলতে কুন্ঠিত নই যে কখনো পিছিয়ে পড়লে হাত ধরে টেনে তোলার কাজটিও মুন্নীই করে। আমাদের বন্ধুতা যেমন চরম, বৈরিতাও চরম। মুন্নী বলে শত্রু তুমি বন্ধু তুমি! ( গানের বাকি অংশ- তুমি আমার সাধনা- এটুকু অবশ্য বলেনা) তবে মুন্নী বা আমি না বললেই কি, কত দুর্জন আমাদের প্রেমিক প্রেমিকা বানিয়েছে, অনেকে স্বামী স্ত্রী বানিয়েছে, লিভ টুগেদার করাতেও ছাড়েনি কেউ কেউ। একসময় এসব শুনলে খুব বিরক্ত লাগতো, এখন গা সওয়া হয়ে গেছে! আরেকটা ব্যাপার এখনো আমার মাথায় ঢোকেনা, মুন্নীর আর আমার নাম সবসময় একসঙ্গে উচ্চারিত হয়। ভালো হোক মন্দ হোক, দুই নাম একত্রে, সিনেমার জুটির মতো- যেন রাজ্জাক কবরী!
সবাই বলে মুন্নী সাহসী সাংবাদিক। আমি বলি, তোমরা সাহসটা দেখো, সাহসের উৎসটা দেখোনা। সততা নিষ্ঠা আর একাগ্রতা না থাকলে সাহস আসেনা, অথবা সেই সাহস দিয়ে পাড়ায় মাস্তানি করা যায়, সাংবাদিকতা করা যায়না। আমার বন্ধু মুন্নীর সততা আছে, সেটাই তাকে সাহসী করেছে এবং অন্যদের থেকে আলাদা করেছে। আমি মুন্নীর বন্ধু পরিচয় দিতে তাই গর্ববোধ করি।
বলছিলাম জুটির কথা। সবাই যে একসঙ্গে আমাদের নাম বলে তার অকাট্য প্রমাণ এই ছবি। সেবার কোপেনহাগেনে বিজয় দিবসের রাতের এক ডিনারে অনেক সাংবাদিকের ভিড়ে আমাদের দুজনকে ডেকে দুই পাশে বসিয়ে খাওয়ালেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবিটি এতদিন আমার কাছে ছিলো, আজ মনে হলো বন্ধুদের সাথে শেয়ার করি, কারন আজ মুন্নীর জন্মদিন। শুভ জন্মদিন দোস্ত, ভালো থাকিস আর সততা সাহসিকতার দৃষ্টান্ত হয়ে টিকে থাকিস অনন্তকাল।