ঢাকা ০৬:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ২ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

১৩ আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ল খালেদা জিয়ার জামিন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অগাস্ট ২০১৮
  • ৩১৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে বন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ফের বাড়ল। এবার ১৩ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে এই মামলায় পঞ্চমবারের মতো তার জামিনের মেয়াদ বাড়নো হলো।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা মেয়াদ বাড়ানোর আরজির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মেয়াদ বাড়ান।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রেখেছেন আদালত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান ও এজে মোহাম্মদ আলী। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।

কায়সার কামাল বলেন, বুধবার খালেদা জিয়ার আপিল শুনানিতে পেপার বুক থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন।

শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমিনুল হক, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন, আনিছুর রহমান খান, আইয়ুব আলী আশরাফী, মির্জা আল মাহমুদ, সালমা সুলতানা সোমা, ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান, এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পান তিনি, যা আপিল বিভাগে বহাল থাকে।

এই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন। এর আগে ১৮ জুলাই ওই জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তার আইনজীবীরা আরজি জানালে হাইকোর্ট ২৬ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ান। সেদিনও জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করা হলে আদালত ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন। এরপর আবার ৮ আগস্ট পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

১৩ আগস্ট পর্যন্ত মেয়াদ বাড়ল খালেদা জিয়ার জামিন

আপডেট টাইম : ০৭:৪৫:৫৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ৮ অগাস্ট ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় পাঁচ বছরের কারাদণ্ড নিয়ে কারাগারে বন্দি বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ফের বাড়ল। এবার ১৩ আগস্ট পর্যন্ত তার জামিনের মেয়াদ বাড়িয়েছেন হাইকোর্ট। এ নিয়ে এই মামলায় পঞ্চমবারের মতো তার জামিনের মেয়াদ বাড়নো হলো।

খালেদা জিয়ার আইনজীবীদের করা মেয়াদ বাড়ানোর আরজির পরিপ্রেক্ষিতে বুধবার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ মেয়াদ বাড়ান।

একই সঙ্গে খালেদা জিয়ার জামিন আদেশের বিরুদ্ধে দুদক ও রাষ্ট্রপক্ষের করা আপিলের শুনানি বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি রেখেছেন আদালত।

আদালতে খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী আব্দুর রেজাক খান ও এজে মোহাম্মদ আলী। তাদের সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইউসুফ মাহমুদ মোরশেদ। দুদকের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী খুরশীদ আলম।

কায়সার কামাল বলেন, বুধবার খালেদা জিয়ার আপিল শুনানিতে পেপার বুক থেকে উপস্থাপন করা হয়েছে। আদালত বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেছেন।

শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, অ্যাডভোকেট খন্দকার মাহবুব হোসেন, আমিনুল হক, মীর মোহাম্মদ নাছির উদ্দিন, জয়নুল আবেদীন, আমিনুল ইসলাম, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন, বদরোদ্দোজা বাদল, কায়সার কামাল, রাগীব রউফ চৌধুরী, ব্যারিস্টার মীর মোহাম্মদ হেলাল উদ্দিন, মো. ফারুক হোসেন, আনিছুর রহমান খান, আইয়ুব আলী আশরাফী, মির্জা আল মাহমুদ, সালমা সুলতানা সোমা, ব্যারিস্টার এম. আতিকুর রহমান, এহসানুর রহমান ও ফাইয়াজ জিবরান প্রমুখ।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ডাদেশ দিয়ে রায় দেন বিচারিক আদালত। এরপর থেকে নাজিমুদ্দিন রোডের পুরোনো কেন্দ্রীয় কারাগারে আছেন তিনি। এই সাজার রায়ের বিরুদ্ধে আপিল করে জামিন আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ মার্চ হাইকোর্ট থেকে চার মাসের জামিন পান তিনি, যা আপিল বিভাগে বহাল থাকে।

এই জামিনের মেয়াদ বাড়াতে করা এক আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ১২ জুলাই হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার জামিনের মেয়াদ ১৯ জুলাই পর্যন্ত বৃদ্ধি করেন। এর আগে ১৮ জুলাই ওই জামিনের মেয়াদ বাড়ানোর জন্য তার আইনজীবীরা আরজি জানালে হাইকোর্ট ২৬ জুলাই পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ান। সেদিনও জামিনের মেয়াদ বাড়াতে আবেদন করা হলে আদালত ৩১ জুলাই পর্যন্ত বাড়িয়েছিলেন। এরপর আবার ৮ আগস্ট পর্যন্ত জামিনের মেয়াদ বাড়ে।

জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় ছয় আসামির মধ্যে খালেদা জিয়াসহ তিনজন কারাবন্দি। বাকি তিন আসামি পলাতক রয়েছেন। খালেদা জিয়া ছাড়া বাকি দুজন হলেন-মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ।

পলাতক তিনজন হলেন- বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, সাবেক মুখ্য সচিব ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও  বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ভাগ্নে মমিনুর রহমান।