ঢাকা ১১:৪৪ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৬ জানুয়ারী ২০২৫, ৩ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম

যে হাসির কোন ভবিষ্যত নেই

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৬:১২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮
  • ৩৬৭ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিবগঞ্জ, রাণীশংকৈল,হরিপুর ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরি বাঁশের ধানের গোলা কুলা,ঢাকি,পাখা,মাছের খলই এক সময় আপামর মানুষের কাছে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও কালের পরিবর্তনে তা বিলুপ্তির পথে।

আশির দশকের দিকে ওইসব ধানের গোলা, কুলা, ঢাকি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে নতুন ধানের সময় ব্যবহার হতো। মানুষের জীবন-মানের পরিবর্তনের ফলে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে তাদের পারিবারিক ব্যাবহার্য উপকরণে। ফলে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের ধানের গোলা, ঢাকি, কুলা, মাছের খলই ইত্যাদির জায়গা দখল করে নিয়েছে পাটের বস্তা। এগুলো তৈরি ঝামেলামুক্ত ও সহজে বাজারে পাওয়া যায় বলে আধুনিক মানুষ বাঁশের গোলার পরির্বতে এসব আধুনিক উপকরণ ব্যবহারে দিনদিন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের গোলা, ঢাকি, কুলা ও পাখার কদর।

গ্রাম বাংলার বাঁশের গোলার চাহিদা কমে গেলেও ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর এলাকায় নসিবগঞ্জ, শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জহাটে আজও এই বাশেঁর জিনিস পাওয়া যায়। সংসারের চাহিদা মেটানোর জন্য পরের বাড়িতে দিনমজুর কাজে নারীদের ব্যস্ত থাকতে হলেও অবসর সময়ে যেটুকু সময় পায় সে সময়ে বাঁশের গোলা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন।

হারিয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাশেঁর গোলা, ঢাকি, কুলা, মাছের খলই, তারা নিজস্ব সংস্কৃতিতে আকঁড়ে ধরে রেখেছে। তারা জানায় আগের মত আর বাঁশের গোলা বিক্রি হয় না। বিভিন্ন প্রকার পাটের বস্তা, প্লাস্টিক বস্তাসহ আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে বাশেঁর জিনিসপত্র আর কেনছেন না ক্রেতারা। তাই আমাদের বাশঁ মালিদের সংসার খুব কষ্টে কাটছে। জানিনা, ভবিষ্যতে কিভাবে পেট চালাবো!

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

গাজায় যুদ্ধবিরতিকে স্বাগত জানাল জাতিসংঘ

যে হাসির কোন ভবিষ্যত নেই

আপডেট টাইম : ০৬:১২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুলাই ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলা শিবগঞ্জ, রাণীশংকৈল,হরিপুর ঐতিহ্যবাহী হাতে তৈরি বাঁশের ধানের গোলা কুলা,ঢাকি,পাখা,মাছের খলই এক সময় আপামর মানুষের কাছে ব্যাপক চাহিদা থাকলেও কালের পরিবর্তনে তা বিলুপ্তির পথে।

আশির দশকের দিকে ওইসব ধানের গোলা, কুলা, ঢাকি সাধারণ মানুষের ঘরে ঘরে নতুন ধানের সময় ব্যবহার হতো। মানুষের জীবন-মানের পরিবর্তনের ফলে আধুনিকতার ছোঁয়া লেগেছে তাদের পারিবারিক ব্যাবহার্য উপকরণে। ফলে ঐতিহ্যবাহী বাঁশের ধানের গোলা, ঢাকি, কুলা, মাছের খলই ইত্যাদির জায়গা দখল করে নিয়েছে পাটের বস্তা। এগুলো তৈরি ঝামেলামুক্ত ও সহজে বাজারে পাওয়া যায় বলে আধুনিক মানুষ বাঁশের গোলার পরির্বতে এসব আধুনিক উপকরণ ব্যবহারে দিনদিন অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। ফলে হারিয়ে যাচ্ছে বাঁশের গোলা, ঢাকি, কুলা ও পাখার কদর।

গ্রাম বাংলার বাঁশের গোলার চাহিদা কমে গেলেও ঠাকুরগাঁও পীরগঞ্জ, রাণীশংকৈল, হরিপুর এলাকায় নসিবগঞ্জ, শিবগঞ্জ, পীরগঞ্জহাটে আজও এই বাশেঁর জিনিস পাওয়া যায়। সংসারের চাহিদা মেটানোর জন্য পরের বাড়িতে দিনমজুর কাজে নারীদের ব্যস্ত থাকতে হলেও অবসর সময়ে যেটুকু সময় পায় সে সময়ে বাঁশের গোলা তৈরির কাজে ব্যস্ত থাকেন।

হারিয়ে যাওয়া গ্রাম-বাংলার ঐতিহ্যবাহী বাশেঁর গোলা, ঢাকি, কুলা, মাছের খলই, তারা নিজস্ব সংস্কৃতিতে আকঁড়ে ধরে রেখেছে। তারা জানায় আগের মত আর বাঁশের গোলা বিক্রি হয় না। বিভিন্ন প্রকার পাটের বস্তা, প্লাস্টিক বস্তাসহ আধুনিকতার ছোঁয়া লেগে বাশেঁর জিনিসপত্র আর কেনছেন না ক্রেতারা। তাই আমাদের বাশঁ মালিদের সংসার খুব কষ্টে কাটছে। জানিনা, ভবিষ্যতে কিভাবে পেট চালাবো!