হাওর বার্তা ডেস্কঃ মুক্তিযোদ্ধাদের দেশের সকল পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূলে চিকিৎসা সুবিধা প্রদানের জন্য মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় এবং স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয়ের মধ্যে সমঝোতা স্বাক্ষরিত হয়েছে। এই সমঝোতা অনুযায়ী এখন থেকে সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য কোনো খরচ করতে হবে না মুক্তিযোদ্ধাদের। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় ইতিমধ্যে সরকারি হাসপাতালে মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবা ফ্রি ঘোষণা করেছে। কিন্তু সীমিত সম্পদের কারণে অনেক সময় জটিল রোগে আক্রান্ত মুক্তিযোদ্ধাদের ব্যয়বহুল চিকিৎসাসেবা ব্যয় বহন করতে পারে না স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়। এই ঘাটতির জায়গাটুকু পূরণে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়। উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও বিশেষায়িত সরকারি হাসপাতালগুলোতে ইতিমধ্যে প্রাথমিক বরাদ্দের টাকা পাঠিয়ে দিয়েছে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
গতকাল রবিবার সচিবালয়ের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত সমঝোতা স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষে স্বাস্থ্য সচিব (স্বাস্থ্যসেবা) সিরাজুল হক খান ও মুুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের পক্ষে সচিব অপরূপ চৌধুরী স্বাক্ষর করেন। এ সময় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম ও মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক উপস্থিত ছিলেন।
মুক্তিযোদ্ধাদের চিকিৎসাসেবায় এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, এটি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মহত্ উদ্যোগ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আন্তরিকতায় সম্মান ও গৌরবের সঙ্গে মাথা উঁচু করে পরিচয় দেওয়ার সাহস করেন মুক্তিযোদ্ধারা। অথচ বিএনপি-জামায়াতের শাসনামলে মুক্তিযোদ্ধারা নানাভাবে হয়রানি ও অবহেলার শিকার হয়েছেন।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা জীবন সায়াহ্নে বিভিন্ন জটিল রোগে আক্রান্ত হওয়ার প্রেক্ষিতে দেশের উপজেলা, জেলা বা বিভাগীয় পর্যায়ে অবস্থিত সকল পর্যায়ের সরকারি হাসপাতালে বা সরকারি মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে বা বিশেষায়িত হাসপাতালে বিনামূল্যে বা স্বল্পমূল্যে চিকিৎসাসেবা প্রদানের জন্য সরকার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে। হাসপাতালে অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য প্রয়োজনীয় ওষুধ সরবরাহসহ সর্বোত্তমভাবে সকল চিকিৎসাসেবা প্রদান নিশ্চিত করা হবে। সকল ধরনের চিকিৎসা, পরামর্শ, শল্য চিকিৎসা, হাসপাতাল কর্তৃক সরবরাহযোগ্য ওষুধ, বেড সরবরাহ, পথ্য এবং নার্সিং ইত্যাদি চিকিৎসাসেবা অন্তর্ভুক্ত হবে। তবে হাসপাতালে প্রদত্ত নিয়মিত সরকারি বরাদ্দের অতিরিক্ত চিকিৎসাসেবার প্রয়োজন হলে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয় কর্তৃক বরাদ্দকৃত অর্থ ব্যবহার করা যাবে। এই সেবামূলক কার্যক্রম বাস্তবায়নে উপজেলা, জেলা, বিভাগীয় ও বিশেষায়িত পর্যায়ে আলাদা আলাদা কমিটি গঠন করা হবে।