জেলেদের সমস্যা সমাধানের জন্য পাঁচ দফা দাবি

হাওর বার্তা ডেস্কঃ জেলেদের সমস্যা সমাধানের জন্য পাঁচ দফা দাবি জানিয়েছে বাংলাদেশ ক্ষুদ্র মৎস্যজীবী জেলে সমিতি। আজ শনিবার জাতীয় প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়।

এ ছাড়া সংবাদ সম্মেলনে অভিযোগ করা হয়, বর্তমান সরকার জেলেদের দুঃখ দুর্দশা লাঘবে মা ইলিশ ও জাটকা রক্ষার মৌসুমের চার মাসের প্রতিমাসে একটি পরিবারকে ৪০ কেজি চাল এবং অক্টোবর-নভেম্বর মাসে মা ইলিশ রক্ষায় ২২ দিন ২০ কেজি করে চাল দেয়ার জন্য দুর্যোগ ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছে। এর ফলে ত্রাণ মন্ত্রণালয় জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে ভিজিএফ বরাদ্দ দেয়। চেয়ারম্যানদের মাধ্যমে ইউনিয়ন পর্যায়ে বিতরণের জন্য এ চাল দেয়া হয়; যা জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে বিতরণের কথা থাকলেও এখনও পর্যন্ত কোনো কোনো ইউনিয়নে চাল দেয়া হয়নি। এর মধ্যে ইলিশ জোন কক্সবাজার ও কুমিল্লা জেলার ৩টি উপজেলায় জেলেদের নামে কোনো চাল বরাদ্দ দেয়া হয়নি।

সংবাদ সম্মেলনে জেলেদের পক্ষে যে ৫টি দাবি তুলে ধরা হয়-

এক. মা-ইলিশ, জাটকা, ছোট মাছ ও বিভিন্ন আশ্রয় রক্ষাকালীন সময় প্রতি জেলে পরিবারকে ৬ মাস ৬০ কেজি করে চাল এবং দুই হাজার করে টাকা দিতে হবে। ভূমিহীন জেলেদের খাসজমি দিতে হবে।

দুই. মৎস্য সম্পদ, মৎস্যজীবী রক্ষায় খোলা ও বদ্ধ জলমহলের গডফাদারদের উচ্ছেদ ও বদ্ধ জলমহলের অধিকার মৎস্যজীবী জেলে দ্বারা গঠিত জেলে সমিতির হাতে দিতে হবে।

তিন. মৎস্যজীবী জেলেদের ভিজিএফ বিকল্প কর্মসংস্থানের অর্থ বিতরণের মৎস্য ও প্রাণীসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ২০০৯-২০১০ পরিপত্র বাস্তবায়ন এবং চেয়ারম্যান, মেম্বারদের ভিজিএফ বিতরণে অনিয়ম বন্ধ করে সঠিক সময় ভিজিএফ দিতে হবে। জেলে প্রতিনিধির স্বাক্ষর ছাড়া জেলেদের তালিকা, মাস্টাররোল গ্রহণ করা যাবে না।

চার. জলদস্যু দমন, মৎস্য দফতরের ব্যবস্থাপনায় মৎস্যজীবী জেলেদের জীবন বীমা, নিহত মৎস্যজীবী জেলে পরিবারকে ২ লাখ টাকা আর্থিক সাহায্য দিতে হবে। কক্সবাজার, কুমিল্লার ৩টি উপজেলায় জেলেদের নামে খাদ্য সহায়তা বরাদ্দ দিতে হবে।

পাঁচ. জাল পোড়ানো, মোবাইল কোর্ট, জলোচ্ছাস, জলদস্যুসহ বিভিন্ন কারণে ক্ষতিগ্রস্থ মৎস্যজীবী জেলে পরিবারকে পূর্ণবাসন করতে হবে। মৎস্যদপ্তর থেকে নিয়োগ করা এনজিওদের প্রহসনমূলক পুনর্বাসন বন্ধ করতে হবে।

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর