ঢাকা ০৪:৫২ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যা করলে ফ্রান্সকে হারাতে পারবে আর্জেন্টিনা

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুন ২০১৮
  • ৩৮৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাশিয়া বিশ্বকাপে চোখ রাখার মতো দল আর্জেন্টিনা। আলবেসেলেস্তেদের খেলায় হতাশ হবার জন্য তাদের খেলায় চোখ রাখা যেতে পারে। আবার পরের ম্যাচে মুগ্ধ হবার জন্যও। দল নিয়ে ভবিষ্যতবানী করা যাবে না। এমন এক দলে পরিণত হয়েছে আর্জেন্টিনা।

নয়তো যে মেসি গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে বোতলবন্দী ছিলেন। সেই কিনা নাইজেরিয়ার জালে মনে রাখার মতো গোল করলেন। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর যে ডি মারিয়া ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশে সুযোগ পাননি। তিনি আবার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে দারুণ খেললেন। তবে ফ্রান্সকে হারাতে হলে আর্জেন্টিনা দলকে কিছু বিষয়ের দিকে আলাদা করে নজর দিতে হবে।

যা করলে ফ্রান্সকে হারাতে পারবে আর্জেন্টিনা!
ফ্রান্সের কান্তে-ভারানে, উমতিতি বাঁধা: আর্জেন্টিনা দলকে ফ্রান্স সমর্থকরা বলেতে পারে তোমরা আক্রমণে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মেসিকে পেয়েছো? মেনে নিলাম। কিন্তু আমাদের দলে কান্তে আছে। যাকে কিনা বিশ্বের বিশ্বের সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের একজন ধরা হয়। পগবা আছে। এরপর আছে উমতিতি এবং ভারানে। যারা বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণ সামলান। তারা ক’জন মিলে মেসিকে আটকানোর কাজটা ভালো মতোই করতে পারবে।

আর্জেন্টিনার দুর্বল রক্ষণভাগ: আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ বিশ্বসেরা। ফ্রান্সের আক্রমণও পিছিয়ে নেই। তবে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ? এই প্রশ্নে খোদ আর্জেন্টিনা সমর্থকরাও আর্জেন্টিনা রক্ষণকে শক্তিশালী বলতে পারবে না। আর তাই ফ্রান্সকে হারাতে হলে পগবা, গ্রিজম্যান, এমবাপ্পে, জিরুদদের থামানোর উপায় বের করতে হবে আর্জেন্টিনার। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়িয়েছে। আর্জেন্টিনার হয়তো তা অজানা নয়।

মেসি নির্ভরতা কমানো: আর্জেন্টিনা দলটি মেসি নির্ভর। এই জানা কথাটা বিশ্বকাপ শুরু হবার আগে আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি জোর দিয়ে বলেছেন। মেসি নির্ভর কৌশল দেখাতে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপর্যয় ঘটেছে। তবে পরের ম্যাচে বানেগা, ডি মারিয়া, মাশ্চেরানো মেসি নির্ভর দল থেকে মেসিকে নির্ভার হয়ে খেলতে সহায়তা করেছে। যেটা ফ্রান্সের বিপক্ষে আরও দক্ষভাবে করতে হবে।

মাঝমাঠে ফ্রান্সের কতৃত্ব: পগবা, কান্তে, মাতুইদি, তালিসন। ফ্রান্সের মাঝমাঠটা নিরেট বলা চলে। তাদের পা থেকে বল নিয়ে খেলা সাজানো কঠিন হবে। তেমনি তাদের ভেদ করে ফ্রান্সের রক্ষণে কতৃত্ব করাটাও আর্জেন্টিনার জন্য শক্ত কাজ হবে। ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের দিকে তাকালে দেখা যাবে তারা মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রন নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে। এবার যেটা ফ্রান্সের পক্ষে আছে। ফ্রান্সকে হারাতে হলে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডে ফাঁটল ধরাতে হবে।

দ্রুত গতির আক্রমণ: কাউন্টার অ্যাটাক বিশেষজ্ঞ দল বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। আক্রমণে এমবাপ্পের গতি নজর কাড়ার মতো। বাতাসের বলে জিরুদের দারুণ নিয়ন্ত্রন। গ্রিজম্যানের দ্রুত প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে যাওয়ার ক্ষমতা আর্জেন্টিনার জন্য ভয়ের কারণ হতে পারে। তরুণ এবং ঝানু এক আক্রমণের সমন্বয় তাদের। আবার ফ্রান্স কোচ দেশমের হাতে আছে ভালো বদলি খেলোয়াড়। যারা যেকোন সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিতে পারে। সব মিলেয়ে শেষ আটে যাওয়ার লড়াইটা প্রথম দিনই বেশ জমে ওঠার আভাস দেয়।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

যা করলে ফ্রান্সকে হারাতে পারবে আর্জেন্টিনা

আপডেট টাইম : ১১:৪৯:৩৭ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রাশিয়া বিশ্বকাপে চোখ রাখার মতো দল আর্জেন্টিনা। আলবেসেলেস্তেদের খেলায় হতাশ হবার জন্য তাদের খেলায় চোখ রাখা যেতে পারে। আবার পরের ম্যাচে মুগ্ধ হবার জন্যও। দল নিয়ে ভবিষ্যতবানী করা যাবে না। এমন এক দলে পরিণত হয়েছে আর্জেন্টিনা।

নয়তো যে মেসি গ্রুপ পর্বের প্রথম দুই ম্যাচে বোতলবন্দী ছিলেন। সেই কিনা নাইজেরিয়ার জালে মনে রাখার মতো গোল করলেন। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে ম্যাচের পর যে ডি মারিয়া ক্রোয়েশিয়ার বিপক্ষে শুরুর একাদশে সুযোগ পাননি। তিনি আবার নাইজেরিয়ার বিপক্ষে দারুণ খেললেন। তবে ফ্রান্সকে হারাতে হলে আর্জেন্টিনা দলকে কিছু বিষয়ের দিকে আলাদা করে নজর দিতে হবে।

যা করলে ফ্রান্সকে হারাতে পারবে আর্জেন্টিনা!
ফ্রান্সের কান্তে-ভারানে, উমতিতি বাঁধা: আর্জেন্টিনা দলকে ফ্রান্স সমর্থকরা বলেতে পারে তোমরা আক্রমণে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় মেসিকে পেয়েছো? মেনে নিলাম। কিন্তু আমাদের দলে কান্তে আছে। যাকে কিনা বিশ্বের বিশ্বের সেরা ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডারদের একজন ধরা হয়। পগবা আছে। এরপর আছে উমতিতি এবং ভারানে। যারা বার্সেলোনা এবং রিয়াল মাদ্রিদের রক্ষণ সামলান। তারা ক’জন মিলে মেসিকে আটকানোর কাজটা ভালো মতোই করতে পারবে।

আর্জেন্টিনার দুর্বল রক্ষণভাগ: আর্জেন্টিনার আক্রমণভাগ বিশ্বসেরা। ফ্রান্সের আক্রমণও পিছিয়ে নেই। তবে আর্জেন্টিনার রক্ষণভাগ? এই প্রশ্নে খোদ আর্জেন্টিনা সমর্থকরাও আর্জেন্টিনা রক্ষণকে শক্তিশালী বলতে পারবে না। আর তাই ফ্রান্সকে হারাতে হলে পগবা, গ্রিজম্যান, এমবাপ্পে, জিরুদদের থামানোর উপায় বের করতে হবে আর্জেন্টিনার। গ্রুপ পর্বের তিন ম্যাচেই আর্জেন্টিনার জালে বল জড়িয়েছে। আর্জেন্টিনার হয়তো তা অজানা নয়।

মেসি নির্ভরতা কমানো: আর্জেন্টিনা দলটি মেসি নির্ভর। এই জানা কথাটা বিশ্বকাপ শুরু হবার আগে আর্জেন্টিনা কোচ হোর্হে সাম্পাওলি জোর দিয়ে বলেছেন। মেসি নির্ভর কৌশল দেখাতে গিয়ে প্রথম দুই ম্যাচে আর্জেন্টিনার বিপর্যয় ঘটেছে। তবে পরের ম্যাচে বানেগা, ডি মারিয়া, মাশ্চেরানো মেসি নির্ভর দল থেকে মেসিকে নির্ভার হয়ে খেলতে সহায়তা করেছে। যেটা ফ্রান্সের বিপক্ষে আরও দক্ষভাবে করতে হবে।

মাঝমাঠে ফ্রান্সের কতৃত্ব: পগবা, কান্তে, মাতুইদি, তালিসন। ফ্রান্সের মাঝমাঠটা নিরেট বলা চলে। তাদের পা থেকে বল নিয়ে খেলা সাজানো কঠিন হবে। তেমনি তাদের ভেদ করে ফ্রান্সের রক্ষণে কতৃত্ব করাটাও আর্জেন্টিনার জন্য শক্ত কাজ হবে। ২০১০ ও ২০১৪ বিশ্বকাপ জয়ী দলের দিকে তাকালে দেখা যাবে তারা মাঝমাঠে নিয়ন্ত্রন নিয়ে বিশ্বকাপ জিতেছে। এবার যেটা ফ্রান্সের পক্ষে আছে। ফ্রান্সকে হারাতে হলে আর্জেন্টিনার মিডফিল্ডে ফাঁটল ধরাতে হবে।

দ্রুত গতির আক্রমণ: কাউন্টার অ্যাটাক বিশেষজ্ঞ দল বলা যেতে পারে ফ্রান্সকে। আক্রমণে এমবাপ্পের গতি নজর কাড়ার মতো। বাতাসের বলে জিরুদের দারুণ নিয়ন্ত্রন। গ্রিজম্যানের দ্রুত প্রতিপক্ষের বক্সে ঢুকে যাওয়ার ক্ষমতা আর্জেন্টিনার জন্য ভয়ের কারণ হতে পারে। তরুণ এবং ঝানু এক আক্রমণের সমন্বয় তাদের। আবার ফ্রান্স কোচ দেশমের হাতে আছে ভালো বদলি খেলোয়াড়। যারা যেকোন সময় ম্যাচের নিয়ন্ত্রন নিতে পারে। সব মিলেয়ে শেষ আটে যাওয়ার লড়াইটা প্রথম দিনই বেশ জমে ওঠার আভাস দেয়।