ঢাকা ০৭:৪৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ১৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

কম্পিউটার পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি বিসিএসের

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৫:৫২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮
  • ৩৯৮ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ১১% বৃদ্ধি পাবে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) নেতারা। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের মতে, কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি পেলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেকাংশে থমকে যাবে। এজন্য প্রস্তাবিত কম্পিউটারের উৎপাদন, আমদানি এবং বিপণন পর্যায়ে অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) এবং ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

আজ রোববার দুপুরে, রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক অব্যহতি বহাল রাখার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিসিএসের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যথাযথ গুরুত্ব ও আগ্রহের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে। এতে কিছু সংশোধনী আনার জন্য অর্থমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোডসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তিনি বলেন, বিসিএসের সংশোধনী প্রস্তাবগুলো হলো-ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক অব্যহতি বহাল রাখা। নতুন করে আরোপিত কম্পিউটার পণ্যের ওপর এটিভি প্রত্যাহার করা এবং তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবার এর সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যারকেও অন্তর্ভুক্তিকরণ।

এজন্য যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সংজ্ঞায় সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কিছু সেবা অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, সংযোজন এবং সেবা প্রদানকারী বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই। অথচ এই অংশগুলো ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির কোনো কার্যক্রম ও প্রবাহ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এজন্য বিসিএসের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার এর সংজ্ঞায় সফটওয়্যার এবং অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সেবার পাশাপাশি হার্ডওয়্যার অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত সরকার আরো বলেন, কম্পিউটারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ইউপিএস/আইপিএস অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। তাই আমরা এই পণ্যের শুল্কহার পূর্বের অবস্থায় ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব দিচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য আইসিটি প্রতিষ্ঠানসমূহের বাড়িভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক মওকুফ করা হোক। কেননা, এ খাতে উদ্যোক্তাগণ অত্যন্ত স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতের বাড়িভাড়ার ওপর প্রযোজ্য ১৫% মূসক ধার্য করা করা হয়েছে যা ব্যবসাবান্ধব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ খান জুয়েল এবং মো. মোস্তাফিজুর রহমান।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

কম্পিউটার পণ্যে ভ্যাট প্রত্যাহারের দাবি বিসিএসের

আপডেট টাইম : ০৫:৫২:২৯ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৪ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ২০১৮-১৯ সালের প্রস্তাবিত বাজেট পাশ হলে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূল্য প্রায় ১১% বৃদ্ধি পাবে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির (বিসিএস) নেতারা। সংগঠনটির নেতৃবৃন্দের মতে, কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের দাম বৃদ্ধি পেলে প্রধানমন্ত্রীর ঘোষিত ডিজিটাল বাংলাদেশের অগ্রগতি অনেকাংশে থমকে যাবে। এজন্য প্রস্তাবিত কম্পিউটারের উৎপাদন, আমদানি এবং বিপণন পর্যায়ে অ্যাডভান্স ট্রেড ভ্যাট (এটিভি) এবং ভ্যাট প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।

আজ রোববার দুপুরে, রাজধানীর বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতির কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে সংগঠনটির পক্ষ থেকে ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক অব্যহতি বহাল রাখার আহ্বান জানানো হয়।

সংবাদ সম্মেলনে বিসিএসের সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার সুব্রত সরকার বলেন, ২০১৮-২০১৯ অর্থ বছরের প্রস্তাবিত বাজেট তথ্যপ্রযুক্তি শিল্পের শীর্ষ সংগঠন বাংলাদেশ কম্পিউটার সমিতি (বিসিএস) যথাযথ গুরুত্ব ও আগ্রহের সঙ্গে পর্যালোচনা করেছে। এতে কিছু সংশোধনী আনার জন্য অর্থমন্ত্রী, জাতীয় রাজস্ব বোডসহ সংশ্লিষ্ট সকল মহলের প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।

তিনি বলেন, বিসিএসের সংশোধনী প্রস্তাবগুলো হলো-ব্যবসায়ী পর্যায়ে কম্পিউটার ও এর যন্ত্রাংশের মূসক অব্যহতি বহাল রাখা। নতুন করে আরোপিত কম্পিউটার পণ্যের ওপর এটিভি প্রত্যাহার করা এবং তথ্য প্রযুক্তি নির্ভর সেবার এর সংজ্ঞায় হার্ডওয়্যারকেও অন্তর্ভুক্তিকরণ।

এজন্য যুক্তি উপস্থাপন করে তিনি বলেন, বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার সংজ্ঞায় সফটওয়্যার এবং তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর কিছু সেবা অন্তর্ভুক্ত আছে। কিন্তু কম্পিউটার যন্ত্রাংশ, সংযোজন এবং সেবা প্রদানকারী বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত নেই। অথচ এই অংশগুলো ছাড়া তথ্যপ্রযুক্তির কোনো কার্যক্রম ও প্রবাহ কোনোভাবেই সম্ভব নয়।

এজন্য বিসিএসের পক্ষ থেকে তথ্যপ্রযুক্তি নির্ভর সেবার এর সংজ্ঞায় সফটওয়্যার এবং অন্যান্য তথ্যপ্রযুক্তি সেবার পাশাপাশি হার্ডওয়্যার অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব করা হয়েছে।

সংবাদ সম্মেলনে সুব্রত সরকার আরো বলেন, কম্পিউটারে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য ইউপিএস/আইপিএস অত্যাবশ্যকীয় পণ্য। তাই আমরা এই পণ্যের শুল্কহার পূর্বের অবস্থায় ১০ শতাংশ রাখার প্রস্তাব দিচ্ছি।

সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, দেশের তথ্যপ্রযুক্তি ব্যবসায় সম্প্রসারণের জন্য আইসিটি প্রতিষ্ঠানসমূহের বাড়িভাড়ার ওপর ১৫ শতাংশ মূসক মওকুফ করা হোক। কেননা, এ খাতে উদ্যোক্তাগণ অত্যন্ত স্বল্প পুঁজি নিয়ে ব্যবসা শুরু করেন। প্রস্তাবিত বাজেটে এই খাতের বাড়িভাড়ার ওপর প্রযোজ্য ১৫% মূসক ধার্য করা করা হয়েছে যা ব্যবসাবান্ধব নয়।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন বিসিএসের সহ-সভাপতি ইউসুফ আলী শামীম, মহাসচিব মোশারফ হোসেন সুমন, কোষাধ্যক্ষ মো. জাবেদুর রহমান শাহীন, পরিচালক মো. আছাব উল্লাহ খান জুয়েল এবং মো. মোস্তাফিজুর রহমান।