হাওর বার্তা ডেস্কঃ আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগেই জেলা প্রশাসক (ডিসি) পদে নিয়োগ আসছে। আর এই নিয়োগের জন্য ফিট লিস্ট তৈরির কাজ শুরু করেছে সরকার। নতুন এ তালিকা করতে ২৫৮ জন উপ-সচিবকে চিঠি দেয়া হয়েছে। আগামী ২৯ জুন থেকে ডিসি ফিট লিস্টের মৌখিক পরীক্ষা শুরু হবে। শেষ হবে ২১ জুলাই। এবার মন্ত্রিপরিষদ সচিবের সভাপতিত্বে তার কক্ষে এই সাক্ষাৎকার নেয়া হবে। সম্প্রতি ভাইভার অংশ নিতে একটি নোটিশ জারি করেছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের মাঠ প্রশাসন-২ শাখা।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, প্রথম দিন ৫৮ জন উপ-সচিবের ভাইভা নেয়া হবে। এরপর ৩০ জুন ৫৬ জন, ১ জুলাই ৫৬ জন, ৭ জুলাই ৫৭ জন এবং ২১ জুলাই ৩১ জন উপ-সচিবের ভাইভা নেয়া হবে। এবার ডিসি ফিট লিস্টের ভাইভার জন্য ১৮, ২০ ও ২১ ব্যাচের উপ-সচিবদের ডাকা হয়েছে।
প্রতি বছর ডিসি ফিট লিস্টের ভাইভায় তিনটি ব্যাচ করে ডাকা হয়। এজন্য এবারও সমান সংখ্যক ব্যাচকে ডাকা হয়েছে। তবে জেলা প্রশাসক পদে কবে থেকে নিয়োগ দেয়া হবে এবং এবার কত জনকে নিয়োগ দেয়া হবে, এই বিষয়টি নিশ্চিত করে আগে থেকে কেউ বলতে পারছেন না।
তবে আগামী ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে হতে যাচ্ছে একাদশ সংসদ নির্বাচন। আর এই নির্বাচনে জেলা প্রশাসকদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা থাকবে।
বিএনপি-জামায়াত জোটের সহিংস আন্দোলনের মুখে দশম সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানে পুলিশ ও প্রশাসনের ভূমিকা ছিল অনস্বীকার্য। তখন যে কারণে তারা ভোট বর্জন করে, সেই কারণ এখনও বিদ্যমান। ফলে আবারও দলগুলোর একাংশ ভোট বর্জন করে কি না, এ নিয়ে এখনও নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
যদি আবারও ভোট বর্জন হয়, তাহলে আগেরবারের মতোই বিরোধী দলের কর্মসূচি মোকাবেলা হবে নির্বাচন অনুষ্ঠান হতে পারে। আবার যদি ভোট অংশগ্রহণমূলক হয়, তাহলেও শান্তি শৃঙ্খলা রক্ষার কঠিন চ্যালেঞ্জটি প্রশাসনেরই মোকাবেলা করতে হবে।
এসব চ্যালেঞ্জকে সামনে রেখে এবার ডিসিদের ফিট লিস্ট তৈরি হচ্ছে। এই তালিকা তৈরিতে মূলত কর্মকর্তাদের মাঠ প্রশাসনে কাজ করার অভিজ্ঞতা, শারীরিক যোগ্যতা, দক্ষতা ও যেকোনো পরিস্থিতি সামাল দেয়ার ক্ষমতা দেখা হয়। এ তালিকা চূড়ান্ত হওয়ার পরই মাঠ প্রশাসনে রদবদল শুরু হবে।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মোজাম্মেল হক খান সাংবাদিককে বলেন, ‘ডিসি ফিটলিস্ট করা প্রশাসনের একটি রুটিন কাজ। বাছাইয়ের সাক্ষাৎকারের আগে কিছু বলা যাবে না।