ঢাকা ০২:৩৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ১৪ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

ভালো খেলে জয়ের দেখা পেল না ব্রাজিলও

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০২:১৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮
  • ২৯৫ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিপক্ষের চেয়ে ভালো খেলেও জয় না পাওয়ার তালিকায় যোগ হল ব্রাজিলের নাম। রোস্তভ অ্যারেনায় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছেন নেইমাররা। রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বড় দলগুলোর নিয়তি ভালো খেলে জয় বঞ্চিত হওয়া। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ১-১ সমতায় শেষ করে। আর জার্মানি তো মেক্সিকোর বিপক্ষে ০-১ গোলে হেরেই গেছে।

সমতায় শেষ হওয়া এই ম্যাচে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক উঠতে পারে। ৭৩ মিনিটের সময় বক্সের ভেতর জেসাসকে দৃষ্টিকটুভাবে ফেলে দেন ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। নেইমাররা পেনাল্টির আবেদন জানালেও রেফারি সাড়া দেননি। ভিডিও রেফারিও রিপ্লে দেখার জন্য মাঠের রেফারিকে নির্দেশ দেননি!

এদিন প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে ফিফটি-ফিফটি ছিল দুই দল। কিন্তু শাণিত আক্রমণে ব্রাজিল সুইজারল্যান্ডের থেকে অনেক এগিয়ে। বিশেষ করে তাদের বাঁ উইং দারুণ ছন্দ দেখিয়েছে। একদম নিচে মার্সেলো। তার উপরে পাউলিনহো, তারপর নেইমার। এই তিনের ভেতর সেন্টার মিড থেকে কাট করে বারবার ওই বাঁদিকে ঢুকে পড়ছিলেন কৌতিনহো। ২০ মিনিটের সময় কৌতিনহোর পা থেকে গোলটাও আসে এই কম্বিনেশনে।

প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। মার্সেলোর ক্রস থেকে হেড হওয়া বল ধরতে সেন্টার মিডফিল্ড থেকে কাট করে বাঁদিকে ঢুকে পড়েন। দেরি না করে দারুণ দক্ষতায় গোলমুখে ডানপায়ে শট নেন। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি।

১৯৬৬ সালের পর বক্সের বাইরে থেকে বিশ্বকাপে ব্রাজিল এই নিয়ে মোট ৩৭বার গোল করল। অন্য কোনো দল তাদের ধারেকাছেও নেই।

এই গোলের আগে ১১তম মিনিটে পাউলিনহো দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন। মার্সেলো বাঁদিকে নেইমারকে বল ছাড়েন। পাউলিনহোকে চোখে রেখে নিচু ক্রস পাঠান পিএসজি তারকা। গোললাইন থেকে পাউলিনহো চারগজ দূরে ছিলেন। তালগোল পাকিয়ে শটও নেন। পোস্ট ঘেঁষে বল চলে যায় বাইরে।

এক গোলে পিছিয়ে থাকা সুইজারল্যান্ড সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫০তম মিনিটে জারদান শাকিরির নেয়া কর্নারে লাফিয়ে হেসেখেলে নিখুঁত হেড করেন ২৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডার স্টিভেন জুবের। অবাক করার বিষয় হলো তাকে কেউ মার্কেই রাখেননি। সেন্টার-ব্যাক মিরান্ডা জুবেরের পেছনে না দাঁড়িয়ে সামনে ছিলেন।

৬০ মিনিটের সময় মাঝমাঠে সতেজতা আনতে ডানদিকের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোকে উঠিয়ে ফার্নান্দিনহোকে নামান ব্রাজিল কোচ টিটে।সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ব্রাজিল শুধু পিছিয়ে ছিল এরিয়াল বলে। ব্রাজিলিয়ানদের চেয়ে তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের উচ্চতা বেশি।

সময় যত গড়াতে থাকে ব্রাজিল কোচ উৎকণ্ঠায় ভুগতে থাকেন। তাল খুঁজে পেতে ৬৮ মিনিটের সময় দ্বিতীয় পরিবর্তন নিয়ে নেন। বাঁদিকের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পাউলিনহোকে উঠিয়ে আরেক মিডফিল্ডার রেনাতোকে নামান।

৬৯তম মিনিটে কৌতিনহো বক্সে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন। বুক দিয়ে বল রিসিভ করে ডান পায়ে সাইড ভলি করেন। টার্গেটে আরেকটু স্থির থাকতে পারলে জালের দেখা পেতে পারতেন।

শেষদিকে ব্রাজিল পাখির ডানা ঝাপটানো আক্রমণ সাজায় বেশ কয়েকবার। এই সময় সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষক ইয়ান সোমের রীতিমতো দেয়াল হয়ে আবির্ভূত হন। নেইমারদের পক্ষে সেই দেয়াল আর টপকানো সম্ভব হয়নি।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

ভালো খেলে জয়ের দেখা পেল না ব্রাজিলও

আপডেট টাইম : ০২:১৪:১৭ অপরাহ্ন, সোমবার, ১৮ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ প্রতিপক্ষের চেয়ে ভালো খেলেও জয় না পাওয়ার তালিকায় যোগ হল ব্রাজিলের নাম। রোস্তভ অ্যারেনায় সুইজারল্যান্ডের বিপক্ষে ১-১ গোলে ড্র করেছেন নেইমাররা। রাশিয়া বিশ্বকাপে এখন পর্যন্ত বড় দলগুলোর নিয়তি ভালো খেলে জয় বঞ্চিত হওয়া। আইসল্যান্ডের বিপক্ষে আর্জেন্টিনা ১-১ সমতায় শেষ করে। আর জার্মানি তো মেক্সিকোর বিপক্ষে ০-১ গোলে হেরেই গেছে।

সমতায় শেষ হওয়া এই ম্যাচে রেফারিং নিয়ে বিতর্ক উঠতে পারে। ৭৩ মিনিটের সময় বক্সের ভেতর জেসাসকে দৃষ্টিকটুভাবে ফেলে দেন ডিফেন্ডার ম্যানুয়েল আকাঞ্জি। নেইমাররা পেনাল্টির আবেদন জানালেও রেফারি সাড়া দেননি। ভিডিও রেফারিও রিপ্লে দেখার জন্য মাঠের রেফারিকে নির্দেশ দেননি!

এদিন প্রথমার্ধে বল দখলের লড়াইয়ে ফিফটি-ফিফটি ছিল দুই দল। কিন্তু শাণিত আক্রমণে ব্রাজিল সুইজারল্যান্ডের থেকে অনেক এগিয়ে। বিশেষ করে তাদের বাঁ উইং দারুণ ছন্দ দেখিয়েছে। একদম নিচে মার্সেলো। তার উপরে পাউলিনহো, তারপর নেইমার। এই তিনের ভেতর সেন্টার মিড থেকে কাট করে বারবার ওই বাঁদিকে ঢুকে পড়ছিলেন কৌতিনহো। ২০ মিনিটের সময় কৌতিনহোর পা থেকে গোলটাও আসে এই কম্বিনেশনে।

প্রায় ২৫ গজ দূর থেকে নেয়া বাঁকানো শটে লক্ষ্যভেদ করেন তিনি। মার্সেলোর ক্রস থেকে হেড হওয়া বল ধরতে সেন্টার মিডফিল্ড থেকে কাট করে বাঁদিকে ঢুকে পড়েন। দেরি না করে দারুণ দক্ষতায় গোলমুখে ডানপায়ে শট নেন। প্রতিপক্ষ গোলরক্ষক ডাইভ দিয়েও নাগাল পাননি।

১৯৬৬ সালের পর বক্সের বাইরে থেকে বিশ্বকাপে ব্রাজিল এই নিয়ে মোট ৩৭বার গোল করল। অন্য কোনো দল তাদের ধারেকাছেও নেই।

এই গোলের আগে ১১তম মিনিটে পাউলিনহো দারুণ একটি সুযোগ নষ্ট করেন। মার্সেলো বাঁদিকে নেইমারকে বল ছাড়েন। পাউলিনহোকে চোখে রেখে নিচু ক্রস পাঠান পিএসজি তারকা। গোললাইন থেকে পাউলিনহো চারগজ দূরে ছিলেন। তালগোল পাকিয়ে শটও নেন। পোস্ট ঘেঁষে বল চলে যায় বাইরে।

এক গোলে পিছিয়ে থাকা সুইজারল্যান্ড সমতায় ফেরে দ্বিতীয়ার্ধে। ৫০তম মিনিটে জারদান শাকিরির নেয়া কর্নারে লাফিয়ে হেসেখেলে নিখুঁত হেড করেন ২৬ বছর বয়সী মিডফিল্ডার স্টিভেন জুবের। অবাক করার বিষয় হলো তাকে কেউ মার্কেই রাখেননি। সেন্টার-ব্যাক মিরান্ডা জুবেরের পেছনে না দাঁড়িয়ে সামনে ছিলেন।

৬০ মিনিটের সময় মাঝমাঠে সতেজতা আনতে ডানদিকের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার ক্যাসেমিরোকে উঠিয়ে ফার্নান্দিনহোকে নামান ব্রাজিল কোচ টিটে।সুইজারল্যান্ডের সঙ্গে ব্রাজিল শুধু পিছিয়ে ছিল এরিয়াল বলে। ব্রাজিলিয়ানদের চেয়ে তাদের অধিকাংশ খেলোয়াড়ের উচ্চতা বেশি।

সময় যত গড়াতে থাকে ব্রাজিল কোচ উৎকণ্ঠায় ভুগতে থাকেন। তাল খুঁজে পেতে ৬৮ মিনিটের সময় দ্বিতীয় পরিবর্তন নিয়ে নেন। বাঁদিকের ডিফেন্সিভ মিডফিল্ডার পাউলিনহোকে উঠিয়ে আরেক মিডফিল্ডার রেনাতোকে নামান।

৬৯তম মিনিটে কৌতিনহো বক্সে ফাঁকা জায়গায় বল পেয়েও ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হন। বুক দিয়ে বল রিসিভ করে ডান পায়ে সাইড ভলি করেন। টার্গেটে আরেকটু স্থির থাকতে পারলে জালের দেখা পেতে পারতেন।

শেষদিকে ব্রাজিল পাখির ডানা ঝাপটানো আক্রমণ সাজায় বেশ কয়েকবার। এই সময় সুইজারল্যান্ড গোলরক্ষক ইয়ান সোমের রীতিমতো দেয়াল হয়ে আবির্ভূত হন। নেইমারদের পক্ষে সেই দেয়াল আর টপকানো সম্ভব হয়নি।