হাওর বার্তা ডেস্কঃ তথ্য প্রযুক্তির এক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে চার দিন কারাবাসের পর আদালত থেকে জামিন পেয়েছেন কণ্ঠশিল্পী আসিফ আকবর।
আরেক সংগীতশিল্পী শফিক তুহিনের দায়ের করা মামলায় গত ৫ জুন আসিফকে পুলিশ গ্রেপ্তার করার পরদিন তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছিল।
আসিফের আবেদনে সোমবার তাকে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন দেন ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী।
তিনি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল না হওয়া পর্যন্ত আসিফের এই জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন বলে বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে জানিয়েছেন আসিফের আইনজীবী ওমর ফারুক।
তিনি বলেন, ঢাকার অতিরিক্ত মুখ্য মহানগর হাকিম কেশব রায় চৌধুরী ১০ হাজার টাকায় এই অন্তর্বর্তীকালীন জামিন মঞ্জুর করেছেন।
মামলার বাদী শফিক তুহিনের বিরুদ্ধে ‘হুমকি প্রদানের’ অভিযোগ এনে ওমর ফারুক বলেন, “যে অভিযোগে গায়ক আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে, সেই একই অভিযোগে আমরা অনেক আগেই মামলা দায়ের করতে পারতাম।”
এসময় তিনি আসিফ আকবর ও শফিক তুহিনের মধ্যে ফেইসবুক কথোপকথনের বিভিন্ন স্ক্রিনশটের দালিলিক প্রমাণ উপস্থাপন করেন।
মঙ্গলবার মধ্যরাতে ঢাকার এফডিসি এলাকায় আসিফ আকবরকে তার স্টুডিও থেকে গ্রেপ্তার করেছিল সিআইডি।
তার আগে সোমবার সন্ধ্যায় তেজগাঁও থানায় আসিফসহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন শফিক তুহিন।
এ মামলায় অনুমতি ছাড়াই বিভিন্ন শিল্পীর ৬১৭টি গান ডিজিটাল ফরম্যাটে রূপান্তর করে মোবাইল ফোনের কনটেন্ট হিসেবে বিক্রি করার অভিযোগ আনা হয়েছে আসিফ আকবরের বিরুদ্ধে। এর মধ্যে শফিক তুহিনের রচিত শতাধিক গান রয়েছে বলে এই গীতিকারের দাবি।
অন্যদিকে আসিফের দাবি, তিনি আট বছর গান থেকে দূরে ছিলেন এবং আবার ফিরে এসে ‘চুটিয়ে’ কাজ করছেন’- এটাই সবার মাথাব্যথার কারণ।
৪৬ বছর বয়সী আসিফের প্রথম অ্যালবাম ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’ প্রকাশিত হয় ২০০১ সালে। ওই অ্যালবামের কয়েকটি গান দারুণ জনপ্রিয়তা পায়।
পরের বছরগুলোতে ঢাকাই সিনেমার বহু গানে কণ্ঠ দেন আসিফ। ২০০৬ সাল পর্যন্ত টানা ছয় বছর তার অ্যালবাম ছিল বিক্রির শীর্ষে। এক পর্যায়ে তিনি সংগীত প্রযোজনায় নাম লেখান।
৪৩ বছর বয়সী শফিক তুহিন তার প্রথম গান ‘এর বেশি ভালোবাসা যায় না, ও আমার প্রাণ পাখি ময়না’ দিয়েই আলোচনায় আসেন। ২০১১ সালে জিতে নেন সেরা গীতিকারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার।