হাওর বার্তা ডেস্কঃ দেখতে হুবহু ব্যথানাশক মুভ মলম। বাস্তবে এটি আসল মুভ নয়, নকল মুভে সয়লাব রাজধানীর অধিকাংশ ওষুধের দোকান ও ডিপার্টমেন্টাল স্টোর। কেবল ব্যথানাশক মুভই নয়, নকলবাজদের হাত থেকে রক্ষা পায়নি সেনসোডাইন টুথপেস্ট, ভারতীয় সানস্ক্রিন, ভাটিকা তেলসহ অন্যান্য জরুরি প্রয়োজনীয় ওষুধসহ বিভিন্ন ধরণের কসমেটিক্স ও সুগন্ধি। বাসার মধ্যেই কারখানা খুলে কেমিস্ট ছাড়াই বাংলাদেশি কাঁচামাল দিয়ে কোনোরকম তৈরি করা হচ্ছে ভারতীয়সহ বিভিন্ন দেশের নামিদামি ব্র্যান্ডের পণ্য। সংঘবদ্ধ এ চক্রটি দীর্ঘদিন ধরে নানা কৌশলে নকল পন্য উৎপাদন ও বাজারজাত করে আসছে। সংঘবদ্ধ এ চক্রকে ধরতে রাজধানীর পার্শ্ববর্তী কেরানীগঞ্জে অভিযানে নেমে নকল পণ্য তৈরির কারখানার সন্ধান পেয়েছে র্যাব। আজ সোমবার বিকেলে ঢাকা প্রতিদিনকে এসব তথ্য জানান র্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম।
তিনি জানান, সোমবার বেলা ১১টায় এমন একটি নকল কারাখানার খবর পেয়ে তার নেতৃত্বে র্যাব-১০ এর একটি দল কেরানীগঞ্জের মুসলিমাবাদের পশ্চিম বরিশুরের একটি বাড়িতে অভিযান চালায়।
সেখানে ভারতীয় নকল কসমেটিকস তৈরির কারখানাটির সন্ধান পাওয়া যায়। ওই কারখানায় অভিজ্ঞ কোনো কেমিস্ট ছাড়াই অবাধে তৈরি করা হচ্ছে ভারতীয় সানস্ক্রিন, সিসা হেয়ার ওয়েল, মুভ (ব্যথানাশক), ভাটিকা ওয়েল এবং সেনসোডাইন টুথপেস্টের হুবহু নকল করা পণ্য। বাংলাদেশি কাঁচামাল দিয়ে এসব ভারতীয় পণ্য তৈরি করা হচ্ছে প্রকাশ্যে। এতে লাগানো হচ্ছে দেশের একমাত্র মান নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠান বিএসটিআইর ভুয়া মানচিহ্ন।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারওয়ার আলম বলেন, মানুষের সরলতার সুযোগ নিয়ে তারা প্রতারণা করছে। এগুলো মানবদেহের অভ্যন্তরীণ ও বাহ্যিক স্বাস্থ্যের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। অভিযান শেষে ওই কারখানাটি সিলগালাসহ জেল-জরিমানা করা হয়েছে বলেও জানান তিনি।