হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ‘মাইল্ড স্ট্রোক’ হয়েছে বলে চিকিৎসকদের ধারণা। শনিবার বিকালে কারাগারে খালেদাকে দেখে এসে তার এক চিকিৎসক সাংবাদিকদের একথা জানিয়েছেন।
শনিবার বিকালে চিকিৎসক দলের সদস্যরা নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন। কারাগার থেকে বেরিয়ে চিকিৎসকরা দাবি করে বলেন, গত ৫ জুন মাইল্ডস্ট্রোক করে অজ্ঞান হয়ে পড়েছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
এ সময় তারা খালেদা জিয়ার উন্নত চিকিৎসার জন্য রাজধানীর ইউনাইটেড হাসপাতালে নেয়ার পরামর্শ দেন।
দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় পর বেরিয়ে ঢাকা মেডিকেল কলেজের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এফ এম সিদ্দিকী তাদের পর্যবেক্ষণ সাংবাদিকদের সামনে তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, “গত ৫ জুন তিনি হঠাৎ করে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি ওই সময়টার কথা বলতে পারছেন না। তার একটি মাইল্ড স্ট্রোক হয়েছে বলে আমাদের কাছে প্রতীয়মান হচ্ছে।”
বিষয়টি নিশ্চিত হতে আরও পরীক্ষা-নিরীক্ষার জন্য খালেদা জিয়াকে কারাগারের বাইরে বিশেষায়িত একটি হাসপাতালে ভর্তি করতে সুপারিশ করেছেন তার ব্যক্তিগত এই চিকিৎসকরা।
চিকিৎসক দলে ছিলেন- মেডিসিনের এফএম সিদ্দীকী, নিউরো সার্জন ওয়াহিদুর রহমান, চক্ষু বিশেষজ্ঞ প্রফেসর ডা. আবদুল কুদ্দুস ও ডা. মামুন রহমান।
এর আগে দুপুরে খালেদা জিয়ার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চিকিৎসকদের কারাগারে যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেন বিএনপির চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের গণমাধ্যম শাখার কর্মকর্তা শায়রুল কবীর খান।
তিনি জানান, খালেদা জিয়া অসুস্থ। তার শারীরিক অবস্থার সার্বিক খোঁজখবর নেয়ার জন্যই চিকিৎসকরা যাবেন।
শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, খালেদা জিয়া গত ৫ জুন কারাগারে মাথা ঘুরে পড়ে যান। সম্প্রতি কারাগারে তার নিকটাত্মীয়রা দেখা করতে যান।
তিনি জানান, খালেদা জিয়া গত তিন সপ্তাহ ধরে ভীষণ জ্বরে ভুগছেন, যা কোনোক্রমেই ঠিক হচ্ছে না। চিকিৎসাবিদ্যায় যেটিকে বলা হয় টিআইএ (ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক)। দেশনেত্রীর দুটো পা এখনও ফুলে আছে এবং তিনি তার শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না।
প্রসঙ্গত, জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় গত ৮ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন রাজধানীর বকশীবাজারে স্থাপিত অস্থায়ী পঞ্চম বিশেষ জজ আদালত। রায় ঘোষণার পরপরই খালেদা জিয়াকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে রাখা হয়েছে।