হাওর বার্তা ডেস্কঃ বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার পরিবারের সদস্যরা সাক্ষাৎ করেছেন। গতকাল বিকাল সোয়া চারটার দিকে তারা পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাতের জন্য প্রবেশ করে বের হন পৌনে ছয়টার দিকে। এসময় তারা কারো সঙ্গে কথা বলেননি। পরিবারের সদস্যদের মধ্যে ছিলেন-খালেদা জিয়ার ভাই সাইদ এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, তাদের দুই ছেলে অভিক এস্কান্দার, অরিক এস্কান্দার ও ভাগ্নে ডা. মামুন।
এদিকে খালেদা জিয়ার সুচিকিৎসার দাবিতে আগামীকাল রোববার বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি ঘোষণা করেছে বিএনপি। সারাদেশে জেলা ও মহানগরে এবং ঢাকা মহানগরীর থানায় থানায় এ বিক্ষোভ কর্মসূচি পালিত হবে। বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের সকল পর্যায়ের নেতাকর্মীকে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালনের জন্য দলের পক্ষ থেকে আহ্বান জানানো হয়েছে।
দলের সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গতকাল রাতে এক জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এই কর্মসূচি ঘোষণা করেন। তিনি বলেন, খালেদা জিয়ার নিকটাত্মীয়রা তার সঙ্গে কেন্দ্রীয় কারাগারে সাক্ষাতের জন্য গিয়েছিলেন। সাক্ষাৎ শেষে তারা দেশনেত্রী সম্পর্কে যে বর্ণনা দেন তা শুধু মর্মস্পর্শীই নয়, হূদয়বিদারক। সরকারের জিঘাংসার কষাঘাতের তীব্রতা যে কত ভয়াবহ সেটি বোঝা যাবে শুধু বেগম জিয়ার প্রতি অমানবিক আচরণের মাত্রা দেখলেই।
তিনি বলেন, নিকটাত্মীয়রা বলেছেন গত ৫ই জুন খালেদা জিয়া দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় মাথা ঘুরে পড়ে গিয়েছিলেন। তিনি তিন সপ্তাহ যাবৎ ভীষণ জ্বরে ভুগছেন, যা কোনোক্রমেই থামছে না। চিকিৎসা বিদ্যায় যেটিকে বলা হয় টিআইএ (ট্রানজিয়েন্ট স্কিমিক অ্যাটাক)। দেশনেত্রীর দুটো পা-ই এখনও ফুলে আছে এবং তিনি তার শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে পারছেন না। এসময় রিজভী চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলেন, খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে তিনি যে কথাগুলো বলছেন, তা সম্পূর্ণরূপে সত্য।
তার অসুস্থতা নিয়ে ইতিপূর্বে যে কথাগুলো বলা হয়েছে, তা নিয়ে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হলে তার স্বাস্থ্যের এতটা অবনতি হতো না। সরকারের ইচ্ছাকৃত অবহেলা ও উদাসীনতার কারণে খালেদা জিয়ার চিকিৎসার ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয়নি। এতে মনে হয় সরকার এবং সরকার প্রভাবিত প্রশাসনযন্ত্র দেশনেত্রীকে নিয়ে কোনো গভীর ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।