হাওর বার্তা ডেস্কঃ শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ সরকারের বিরুদ্ধে ভারতে ‘জনমত’ তৈরি করতে বিএনপির তিন নেতা দিল্লি এসেছেন। এখন পর্যন্ত তিন নেতার মধ্যে আবদুল আউয়াল মিন্টু পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী এম জে আকবরের সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সদর দফতর সাউথ ব্লকে এসে ‘সৌজন্য’ সাক্ষাৎ করেছেন। অন্যরা হলেন সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী এবং বিএনপির আন্তর্জাতিক বিষয়ক সচিব হুমায়ুন কবির। তারা তিনজনই দিল্লির বিভিন্ন থিঙ্ক ট্যাংকের সঙ্গে বৈঠক করছেন।
যেমন ইন্ডিয়ান ডিফেন্স স্ট্র্যাটেজিক অ্যানালিসিস (আইডিএসএ) ও অবজারভার রিসার্চ ফাউন্ডেশন। তারা বৈঠক করছেন বর্তমানে ভারতের প্রভাবশালী সংস্থা বিবেকানন্দ ফাউন্ডেশনের সঙ্গেও। নির্বাচনের আগে বিএনপি নেতাদের বৈঠক তাৎপর্যপূর্ণ। এখন পর্যন্ত তারা তাদের বক্তব্য প্রকাশ্যে বলছেন না। তবে এসব সংস্থার বুদ্ধিজীবীদের কাছে বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে গণতন্ত্র বিকশিত হয়নি। ভারতের উচিত বিএনপির পাশে দাঁড়ানো। অতীতের অভিজ্ঞতায় বর্তমানের বিএনপিকে বিচার করা উচিত হবে না। এমনকি এখন বিএনপির একটি নির্দিষ্ট নিরাপত্তা তত্ত্ব রয়েছে।
তাতে ভারতের উদ্বিগ্ন হওয়ার কোনো কারণ নেই। তারা প্রশ্নোত্তর পর্বে এখন পর্যন্ত বলেননি, আগামী নির্বাচনে তারা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন কিনা। বলছেন, ‘যদি অবাধ নির্বাচন হয়, তারা অংশগ্রহণ করবেন।’ এও বলছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে তারা ফের কেয়ারটেকার সরকার ব্যবস্থা চালু করবেন। এমনকি তারা এও মন্তব্য করেছেন, বাংলাদেশে যদি ফের হাসিনা সরকার ফেরত আসে তাহলে উগ্রমতবাদীরা প্রভাব বিস্তার করবে। বিএনপি নেতাদের ভারত সফরের বিষয়ে জানতে হাওয়া হলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রভীশ কুমার বলেন, ‘এ বিষয়ে আমাদের কিছুই জানা নেই।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী-প্রতিমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক হয়েছে সেটা খোঁজ নিয়ে জানাব।” পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, বিএনপি প্রতিনিধি দলটি ভারত সরকারের আমন্ত্রণে দিল্লি আসেনি। মূলত নিজ উদ্যোগেই আসন্ন নির্বাচনের আগে ভারত সরকার এবং প্রভাবশালী বুদ্ধিজীবীদের মতামত জানা এবং নিজেদের মত জানাতে চাইছেন। প্রশ্ন করা হয়, বিএনপি নেতাদের কথা শুনতে আগ্রহী কিনা মুখপাত্র বলেন, ‘এ বিষয়ে কিছুই জানা নেই।