ঢাকা ০৫:৫০ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১৩ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

তাই বর্ষা সামনে রেখে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে এলাকায়

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮
  • ৩২৩ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নৌকা। বর্ষায় বিল পাড়ের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন সেই নৌকা। তাই বর্ষা সামনে রেখে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে চলনবিল এলাকায়। জানা যায়, চলনবিলের তাড়াশ, শাহজাহাদপুর, চাটমোহর, গুরুদাসপুর ও আত্রাই উপজেলার সিংহভাগ গ্রামের মানুষ বর্ষায় ৩-৫ মাস পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এসময়ে পানিবন্দি মানুষদের চলাচলের একমাত্র উপায় নৌকা। বর্ষা এলেই চলনবিল এলাকায় নৌকার কদর বেড়ে যায় সঙ্গে কদর বাড়ে নৌকা তৈরির কারিগরদেরও। জ্যৈষ্ঠ মাসে থেকেই শুরু হয় নতুন নৌকা তৈরি আর পুরাতন নৌকা মেরামত।

চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারিগররা নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত, ডিঙ্গি ও বাইচের এই ৩ ধরনের নৌকা তৈরি করছে তারা তবে বিল এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মাল এবং যাত্রীবাহী নৌকা বেশি তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা মাছ ধরার ও বাইচের নৌকা তৈরি করছে তারা। বর্ষা মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নৌকা চালকদের আঞ্চলিক ভাষায় মাঝি বলা হয়।

মাঝিরা নিজের আবার অন্যের নৌকা চুক্তিভিত্তিক চালিয়ে অর্থ উর্পাজন করেন।  চলনবিলের মধ্যে স্থলে অবস্থিত লালুয়ামাঝিরা গ্রামের মাঝি মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, একটি শ্যালো ইঞ্চিলচালিত বড় নৌকা তৈরি করতে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। তাই অনেকে ইচ্ছা করলেও বড় নৌকা তৈরি করতে পারে না। যারা অর্থাভাবে নৌকা তৈরি করতে পারে না তারা চুক্তিভিত্তিক অন্যের নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। নৌকা তৈরি কারিগর দুলাল হোসেন জানান, সারা বছর তাদের বসে অলস সময় পার করতে হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই ২-৩ মাস তারা ব্যস্ত সময় পার করেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

তাই বর্ষা সামনে রেখে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে এলাকায়

আপডেট টাইম : ১০:৩৯:৩০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ৬ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ গ্রামবাংলার ঐতিহ্য নৌকা। বর্ষায় বিল পাড়ের মানুষের যাতায়াতের একমাত্র বাহন সেই নৌকা। তাই বর্ষা সামনে রেখে নৌকা তৈরির ধুম পড়েছে চলনবিল এলাকায়। জানা যায়, চলনবিলের তাড়াশ, শাহজাহাদপুর, চাটমোহর, গুরুদাসপুর ও আত্রাই উপজেলার সিংহভাগ গ্রামের মানুষ বর্ষায় ৩-৫ মাস পানিবন্দি হয়ে পড়ে। এসময়ে পানিবন্দি মানুষদের চলাচলের একমাত্র উপায় নৌকা। বর্ষা এলেই চলনবিল এলাকায় নৌকার কদর বেড়ে যায় সঙ্গে কদর বাড়ে নৌকা তৈরির কারিগরদেরও। জ্যৈষ্ঠ মাসে থেকেই শুরু হয় নতুন নৌকা তৈরি আর পুরাতন নৌকা মেরামত।

চলনবিলের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, কারিগররা নৌকা তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছেন। তাদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, শ্যালো ইঞ্জিনচালিত, ডিঙ্গি ও বাইচের এই ৩ ধরনের নৌকা তৈরি করছে তারা তবে বিল এলাকায় শ্যালো ইঞ্জিনচালিত মাল এবং যাত্রীবাহী নৌকা বেশি তৈরি হচ্ছে। এছাড়াও ছোট ছোট ডিঙ্গি নৌকা মাছ ধরার ও বাইচের নৌকা তৈরি করছে তারা। বর্ষা মৌসুমে চলনবিল অঞ্চলের বেশিরভাগ মানুষ নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করে থাকে। নৌকা চালকদের আঞ্চলিক ভাষায় মাঝি বলা হয়।

মাঝিরা নিজের আবার অন্যের নৌকা চুক্তিভিত্তিক চালিয়ে অর্থ উর্পাজন করেন।  চলনবিলের মধ্যে স্থলে অবস্থিত লালুয়ামাঝিরা গ্রামের মাঝি মোঃ শরিফুল ইসলাম জানান, একটি শ্যালো ইঞ্চিলচালিত বড় নৌকা তৈরি করতে ১ লাখ থেকে ২ লাখ টাকা ব্যয় হয়। তাই অনেকে ইচ্ছা করলেও বড় নৌকা তৈরি করতে পারে না। যারা অর্থাভাবে নৌকা তৈরি করতে পারে না তারা চুক্তিভিত্তিক অন্যের নৌকা চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করেন। নৌকা তৈরি কারিগর দুলাল হোসেন জানান, সারা বছর তাদের বসে অলস সময় পার করতে হয়। বর্ষা মৌসুম এলেই ২-৩ মাস তারা ব্যস্ত সময় পার করেন।