ঢাকা ১০:৪৫ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

যে গ্রামে শিশুদের মুখে চকলেটের বদলে ‘সিগারেট’ তুলে দেন তাদের অভিভাবক

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮
  • ৪২৬ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এরকম সতর্কতার মূল্য যে একেবারেই নেই তা পর্তুগালের ছোট্ট এই গ্রামে এলেই বোঝা যায়। এখানে মা-বাবারা শিশুদের চকোলেট নয়, কিনে দেন সিগারেট। আর শিশুরাও পরমানন্দে সেই সিগারেট খায়। ভেল দে সুলগেইরো গ্রামের এটাই নাকি প্রচলিত রীতি। শিশুর পাঁচ বছর বয়স হয়ে গেলেই মা-বাবা তাকে সিগারেট খাওয়ার জন্য উৎসাহ দিতে থাকেন। নিজেরা দোকান থেকে তাদের সিগারেট কিনেও দেন। অনেকটা চকোলেট, ক্যাডবেরি কিনে দেওয়ার মতো।

যিশুর আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে এখানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হয়, যার নাম কিং ফিস্ট। ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারের পরেই হয় অনুষ্ঠানটি। ৫ জানুয়ারি শুরু হয় অনুষ্ঠানটি।

৬ জানুয়ারি প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এই দু’‌দিন প্রচুর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে নাচেন গ্রামবাসীরা। তার সঙ্গে চলে গান বাজনা।

একজনকে রাজা সাজানো হয়। তিনি সকলকে ওয়াইন এবং খাবার পরিবেশন করেন। সেই অনুষ্ঠানেরই একটা অংশ শিশুদের সিগারেট খাওয়া। পর্তুগালে তামাক কিনতে হলে তাকে ১৮ বছর বয়স হতেই হয়। কিন্তু এই গ্রামে এই উৎসবের সময় সে নিয়ম মানা হয় না। এটাই ঐতিহ্য।

অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন, এতে খারাপ কিছু হয় না। কারণ শিশুরা ধূপমান করতে পারে না তারা শুধু ধোঁয়া টানে ও ছেড়ে দেয়। গ্রামেরই এক প্রবীণ ব্যক্তি জানালেন, এই আজব নিয়ম অবশ্য শুধু উৎসবরে দু’‌দিন। আসলে এই উৎসবে গ্রামবাসীরা সেসব কাজই করেন, সারাবছর যেগুলি তারা করতে পারেন না। শিশুদের ধূমপানের বিষয়টিও সেরকমই একটা কারণ। সব মিলিয়ে ওই গ্রামে শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকদের এমন অদ্ভুত খেয়ালে অনেকেই তাদের গাগল আখ্যা দিয়েছেন।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

যে গ্রামে শিশুদের মুখে চকলেটের বদলে ‘সিগারেট’ তুলে দেন তাদের অভিভাবক

আপডেট টাইম : ০৪:৫৩:৫০ অপরাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ধূমপান স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। এরকম সতর্কতার মূল্য যে একেবারেই নেই তা পর্তুগালের ছোট্ট এই গ্রামে এলেই বোঝা যায়। এখানে মা-বাবারা শিশুদের চকোলেট নয়, কিনে দেন সিগারেট। আর শিশুরাও পরমানন্দে সেই সিগারেট খায়। ভেল দে সুলগেইরো গ্রামের এটাই নাকি প্রচলিত রীতি। শিশুর পাঁচ বছর বয়স হয়ে গেলেই মা-বাবা তাকে সিগারেট খাওয়ার জন্য উৎসাহ দিতে থাকেন। নিজেরা দোকান থেকে তাদের সিগারেট কিনেও দেন। অনেকটা চকোলেট, ক্যাডবেরি কিনে দেওয়ার মতো।

যিশুর আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে এখানে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান হয়, যার নাম কিং ফিস্ট। ক্রিসমাস এবং নিউ ইয়ারের পরেই হয় অনুষ্ঠানটি। ৫ জানুয়ারি শুরু হয় অনুষ্ঠানটি।

৬ জানুয়ারি প্রার্থনার মধ্য দিয়ে শেষ হয়। এই দু’‌দিন প্রচুর অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়ে থাকে। আগুন জ্বালিয়ে তার চারপাশে নাচেন গ্রামবাসীরা। তার সঙ্গে চলে গান বাজনা।

একজনকে রাজা সাজানো হয়। তিনি সকলকে ওয়াইন এবং খাবার পরিবেশন করেন। সেই অনুষ্ঠানেরই একটা অংশ শিশুদের সিগারেট খাওয়া। পর্তুগালে তামাক কিনতে হলে তাকে ১৮ বছর বয়স হতেই হয়। কিন্তু এই গ্রামে এই উৎসবের সময় সে নিয়ম মানা হয় না। এটাই ঐতিহ্য।

অনেক অভিভাবক জানিয়েছেন, এতে খারাপ কিছু হয় না। কারণ শিশুরা ধূপমান করতে পারে না তারা শুধু ধোঁয়া টানে ও ছেড়ে দেয়। গ্রামেরই এক প্রবীণ ব্যক্তি জানালেন, এই আজব নিয়ম অবশ্য শুধু উৎসবরে দু’‌দিন। আসলে এই উৎসবে গ্রামবাসীরা সেসব কাজই করেন, সারাবছর যেগুলি তারা করতে পারেন না। শিশুদের ধূমপানের বিষয়টিও সেরকমই একটা কারণ। সব মিলিয়ে ওই গ্রামে শিশুদের নিয়ে তাদের অভিভাবকদের এমন অদ্ভুত খেয়ালে অনেকেই তাদের গাগল আখ্যা দিয়েছেন।