ঢাকা ০৯:২০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ১২ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আমেরিকান মুসলিমদের রমজান পালন

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১০:৩৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮
  • ৩৮১ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রমজান মাসটিতে বিশ্বময় মোমিন মুত্তাকিরা উদ্যোগী হয়ে ওঠেন পূর্ণ আত্মশুদ্ধির চর্চায়। আমেরিকান মুসলিমরাও আত্মশুদ্ধি চর্চার পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে প্রতি বছর এই মাসের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আমেরিকার পঞ্চাশটি অঙ্গ রাষ্ট্রের পঁচিশ-ছাব্বিশটির বেশি স্টেটে মুসলিমরা মূলত বসবাস করলেও বিচ্ছিন্নভাবে আরও অনেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন বিভিন্ন জায়গায়। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা মুসলিমরা প্রায় সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে জীবনযাপন করেন।

রমজান মাসে তাদের সততা ও আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়। বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিশু ও কিশোর-কিশোরী ফরজ নামাজ, সিয়াম পালন করে কিয়ামুল লাইলে উপস্থিত থাকে। বৃদ্ধ বা কর্মজীবী সিয়াম পালনকারী লোকেরা দীর্ঘ ১৫-১৬ ঘণ্টা পানাহার থেকে দূরে থেকে ক্লান্তিহীন চিত্তে মসজিদে উপস্থিত হন। সংখ্যালঘু এবং প্রতিকূল পরিবেশ তাদের জন্য তেমন বাধা সৃষ্টি করে না।

আমেরিকায় আড়াই হাজারেরও অধিক সুপ্রতিষ্ঠিত মসজিদ রয়েছে যেগুলোতে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার নামাজ এবং খুতবা দেওয়া হয়। রমজান মাসে মুসলমানরা এসব মসজিদে ইবাদত-বন্দেগিসহ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে নানা রকম সেবামূলক কর্মে নিজেদের ব্যস্ত রাখেন। এশার সালাতের দশ-পনেরো মিনিট পর শুরু হয় তারাবির নামাজ। বেশিরভাগ মসজিদে শুদ্ধ তারতিলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় নিয়ে নামাজ সম্পন্ন হয়, হোক সেটা খতম তারাবি কিংবা সূরা তারাবি।

প্রত্যেক মসজিদেই এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে পড়া হয় এই নামাজ। নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা, নিউজার্সি, মিশিগান, টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়াসহ অন্যান্য স্টেটের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার মসজিদগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এক ইমামের পেছনে শান্তিপূর্ণভাবে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্যরে সঙ্গে তারাবি বা কিয়ামুল লাইল নামাজ আদায় করেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, বিশেষ করে জুমা এবং রমজান মাসে এ দৃশ্য খুবই দৃষ্টিনন্দন এবং শিক্ষণীয়।

পবিত্র রমজান মাসে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা প্রায় সব মুসলিম সিয়াম পালন করেন। এই মাসে বেশিরভাগ মসজিদে ইফতারির ব্যবস্থা থাকে। প্রায় প্রত্যেক মসজিদে পঞ্চাশ-ষাটজন থেকে ৫০০-৬০০ জন পর্যন্ত সিয়াম পালনকারী ইফতার করেন। যেসব মসজিদে অল্প সংখ্যক মুসল্লি, সেখানে ত্রিশ দিনে মুসল্লিদের মাঝেই প্রতিযোগিতা থাকে মসজিদে ইফতারি দেওয়ার। আর বড় বড় মসজিদগুলোতে আর্থিকভাবে সম্পন্ন মুসলিমরা মসজিদ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এসব ব্যয়ভার বহন করেন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে।

তেমনি দুটি মসজিদ ইসলামিক সেন্টার অব সাউথার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এবং কালভার সিটির কিং ফাহাদ মসজিদ। দুই হাজার মুসল্লির কালভার সিটির কিং ফাহাদ মসজিদটিতে রমজানের প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষের জন্য ইফতার এবং শেষ দশ দিন সাহরিরও আয়োজন করা হয়। অনেক জায়গায় যারা কাজ কমিয়ে আনতে পারেন তারা প্রায় সারারাত জাগেন; কিয়ামুল লাইল, তেলাওয়াত, জিকির এবং তওবা-ইস্তেগফারের মাঝে থেকে রাত পার করেন লাইলাতুল কদর পাওয়ার উদ্দেশ্যে।

এদেশের প্রায় সব মসজিদেই মহিলাদের জন্য আলাদা রুম বা পর্দার সঙ্গে সুন্দর ব্যবস্থা থাকে। অনেক মসজিদে দুটি করে ঈদের জামাত হয়। কেননা, একটি জামাতে জায়গা সংকুলান হয় না। নিউইয়র্কের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারের পক্ষ থেকে প্যারেড গ্রাউন্ডে তিন থেকে চার হাজার লোকের জন্য ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। বেশিরভাগ মসজিদে জাকাতুল মাল এবং সদকাতুল ফিতর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মুসলিমরা প্রায় সবাই দেশে পাঠিয়ে জাকাত আদায় করেন।

রমজানে কিছু কিছু অনুচিত কাজও অনেকে করে থাকে। এখানকার কিছু মানুষ প্রচুর খাবার নষ্ট করে থাকে। দেখে মনে হয়, এদের কাছে খাবার (রিজিক) বিষয়টা তুচ্ছ ব্যাপার। আর অনেক বাংলাদেশি পরিবার আছে যারা ইফতার এবং সাহরিতে বাহারি এবং মুখরোচক খাবার না হলে রোজা রাখাই বৃথা মনে করেন। কেউ কেউ ইফতার পার্টির আয়োজন করেন, যেখানে ইবাদতের পরিবেশ থেকে আড্ডা আর গল্প করার আনন্দ বেশি প্রাধান্য পায়।

ভৌগোলিক কারণে আমেরিকার গ্রীষ্মের দিনগুলো বাংলাদেশ থেকে দেড়-দুই ঘণ্টা দীর্ঘ। কিছু কিছু এলাকায় প্রচ- গরমে ক্লান্তি আসে। তারপরও মুসলিমরা স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশের কারণে ইফতার করেন বাসায় কিংবা মসজিদে। বেশিরভাগ মুসলমান খেজুর, বিভিন্ন ফল, শরবত বা দুধ দিয়ে ইফতার করেন এবং মাগরিবের নামাজ শেষে খিচুড়ি বা বিরিয়ানি খান। বাঙালি পরিবার ও মসজিদগুলোয় দেশীয় খাবার চোখে পড়ে বেশি। যাদের কাজের চাপ কম তারা রাত জাগরণ করেন, বিশেষ করে শেষ ১০ দিন।

সব মুসলিম পরিবার মসজিদে যেতে পছন্দ করে। বিশেষ করে জুমা নামাজে। রমজান মাসে মসজিদগুলো ভরা থাকে। আসর সময় থেকে মুসল্লিরা যেতে থাকেন ফেরেন রাত ১১/১২টার পর, যখন নামাজ শেষ হয়। রমজানের প্রতিটি রাতকেই মুসলমানরা উপভোগ করেন ইবাদত এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতায়।
লসঅ্যাঞ্জেলেসের কিং ফাহাদ মসজিদসহ অনেক বড় মসজিদের আঙিনায় চাঁদরাতে মেলা বসে মহিলাদের তত্ত্বাবধানে। সেখানে পোশাক, অলংকার, জুতা এবং খাবারসহ বিভিন্ন রকম জিনিস বিক্রি হয়। মহিলা এবং কিশোরদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণ থাকে মেহেদি দেওয়ায়।

পরিশেষে এই কথা বলা যায় যে, বিশ্বের অন্যান্য কিছু মুসলিম দেশের লোকদের থেকে আমেরিকার ধর্ম পালনকারী মুসলিমরাও কম পবিত্র আবহ এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে রমজান পালন করেন না। মহান আল্লাহ সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজকে কামিয়াব করুন সততায়, পবিত্রতায় এবং দুনিয়া-আখেরাতের সফলতায়। আমিন।

লেখক : লসঅ্যাঞ্জেলেস প্রবাসী লেখিকা

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

জনপ্রিয় সংবাদ

আমেরিকান মুসলিমদের রমজান পালন

আপডেট টাইম : ১০:৩৮:২২ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৯ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ রমজান মাসটিতে বিশ্বময় মোমিন মুত্তাকিরা উদ্যোগী হয়ে ওঠেন পূর্ণ আত্মশুদ্ধির চর্চায়। আমেরিকান মুসলিমরাও আত্মশুদ্ধি চর্চার পাশাপাশি আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনের লক্ষ্যে প্রতি বছর এই মাসের জন্য বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। আমেরিকার পঞ্চাশটি অঙ্গ রাষ্ট্রের পঁচিশ-ছাব্বিশটির বেশি স্টেটে মুসলিমরা মূলত বসবাস করলেও বিচ্ছিন্নভাবে আরও অনেকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন বিভিন্ন জায়গায়। ধর্মীয় অনুশাসন মেনে চলা মুসলিমরা প্রায় সম্পূর্ণ সততার সঙ্গে জীবনযাপন করেন।

রমজান মাসে তাদের সততা ও আত্মশুদ্ধির প্রচেষ্টা আরও জোরদার হয়। বিদ্যালয়গুলো খোলা থাকা সত্ত্বেও অনেক শিশু ও কিশোর-কিশোরী ফরজ নামাজ, সিয়াম পালন করে কিয়ামুল লাইলে উপস্থিত থাকে। বৃদ্ধ বা কর্মজীবী সিয়াম পালনকারী লোকেরা দীর্ঘ ১৫-১৬ ঘণ্টা পানাহার থেকে দূরে থেকে ক্লান্তিহীন চিত্তে মসজিদে উপস্থিত হন। সংখ্যালঘু এবং প্রতিকূল পরিবেশ তাদের জন্য তেমন বাধা সৃষ্টি করে না।

আমেরিকায় আড়াই হাজারেরও অধিক সুপ্রতিষ্ঠিত মসজিদ রয়েছে যেগুলোতে নিয়মিত পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, জুমার নামাজ এবং খুতবা দেওয়া হয়। রমজান মাসে মুসলমানরা এসব মসজিদে ইবাদত-বন্দেগিসহ আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশে নানা রকম সেবামূলক কর্মে নিজেদের ব্যস্ত রাখেন। এশার সালাতের দশ-পনেরো মিনিট পর শুরু হয় তারাবির নামাজ। বেশিরভাগ মসজিদে শুদ্ধ তারতিলের সঙ্গে দীর্ঘ সময় নিয়ে নামাজ সম্পন্ন হয়, হোক সেটা খতম তারাবি কিংবা সূরা তারাবি।

প্রত্যেক মসজিদেই এক থেকে দুই ঘণ্টা সময় নিয়ে পড়া হয় এই নামাজ। নিউইয়র্ক, ফ্লোরিডা, নিউজার্সি, মিশিগান, টেক্সাস এবং ক্যালিফোর্নিয়াসহ অন্যান্য স্টেটের মুসলিম অধ্যুষিত এলাকার মসজিদগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মুসলিমরা পাশাপাশি দাঁড়িয়ে এক ইমামের পেছনে শান্তিপূর্ণভাবে ভক্তি, শ্রদ্ধা ও সৌহার্দ্যরে সঙ্গে তারাবি বা কিয়ামুল লাইল নামাজ আদায় করেন। পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ, বিশেষ করে জুমা এবং রমজান মাসে এ দৃশ্য খুবই দৃষ্টিনন্দন এবং শিক্ষণীয়।

পবিত্র রমজান মাসে ইসলামের অনুশাসন মেনে চলা প্রায় সব মুসলিম সিয়াম পালন করেন। এই মাসে বেশিরভাগ মসজিদে ইফতারির ব্যবস্থা থাকে। প্রায় প্রত্যেক মসজিদে পঞ্চাশ-ষাটজন থেকে ৫০০-৬০০ জন পর্যন্ত সিয়াম পালনকারী ইফতার করেন। যেসব মসজিদে অল্প সংখ্যক মুসল্লি, সেখানে ত্রিশ দিনে মুসল্লিদের মাঝেই প্রতিযোগিতা থাকে মসজিদে ইফতারি দেওয়ার। আর বড় বড় মসজিদগুলোতে আর্থিকভাবে সম্পন্ন মুসলিমরা মসজিদ কর্তৃপক্ষের মাধ্যমে এসব ব্যয়ভার বহন করেন আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে।

তেমনি দুটি মসজিদ ইসলামিক সেন্টার অব সাউথার্ন ক্যালিফোর্নিয়া এবং কালভার সিটির কিং ফাহাদ মসজিদ। দুই হাজার মুসল্লির কালভার সিটির কিং ফাহাদ মসজিদটিতে রমজানের প্রতিদিন ৫০০ থেকে ৬০০ মানুষের জন্য ইফতার এবং শেষ দশ দিন সাহরিরও আয়োজন করা হয়। অনেক জায়গায় যারা কাজ কমিয়ে আনতে পারেন তারা প্রায় সারারাত জাগেন; কিয়ামুল লাইল, তেলাওয়াত, জিকির এবং তওবা-ইস্তেগফারের মাঝে থেকে রাত পার করেন লাইলাতুল কদর পাওয়ার উদ্দেশ্যে।

এদেশের প্রায় সব মসজিদেই মহিলাদের জন্য আলাদা রুম বা পর্দার সঙ্গে সুন্দর ব্যবস্থা থাকে। অনেক মসজিদে দুটি করে ঈদের জামাত হয়। কেননা, একটি জামাতে জায়গা সংকুলান হয় না। নিউইয়র্কের বাংলাদেশ মুসলিম সেন্টারের পক্ষ থেকে প্যারেড গ্রাউন্ডে তিন থেকে চার হাজার লোকের জন্য ঈদের নামাজের ব্যবস্থা করা হয়। বেশিরভাগ মসজিদে জাকাতুল মাল এবং সদকাতুল ফিতর দেওয়ার ব্যবস্থা থাকে। তবে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মুসলিমরা প্রায় সবাই দেশে পাঠিয়ে জাকাত আদায় করেন।

রমজানে কিছু কিছু অনুচিত কাজও অনেকে করে থাকে। এখানকার কিছু মানুষ প্রচুর খাবার নষ্ট করে থাকে। দেখে মনে হয়, এদের কাছে খাবার (রিজিক) বিষয়টা তুচ্ছ ব্যাপার। আর অনেক বাংলাদেশি পরিবার আছে যারা ইফতার এবং সাহরিতে বাহারি এবং মুখরোচক খাবার না হলে রোজা রাখাই বৃথা মনে করেন। কেউ কেউ ইফতার পার্টির আয়োজন করেন, যেখানে ইবাদতের পরিবেশ থেকে আড্ডা আর গল্প করার আনন্দ বেশি প্রাধান্য পায়।

ভৌগোলিক কারণে আমেরিকার গ্রীষ্মের দিনগুলো বাংলাদেশ থেকে দেড়-দুই ঘণ্টা দীর্ঘ। কিছু কিছু এলাকায় প্রচ- গরমে ক্লান্তি আসে। তারপরও মুসলিমরা স্বাচ্ছন্দ্যময় পরিবেশের কারণে ইফতার করেন বাসায় কিংবা মসজিদে। বেশিরভাগ মুসলমান খেজুর, বিভিন্ন ফল, শরবত বা দুধ দিয়ে ইফতার করেন এবং মাগরিবের নামাজ শেষে খিচুড়ি বা বিরিয়ানি খান। বাঙালি পরিবার ও মসজিদগুলোয় দেশীয় খাবার চোখে পড়ে বেশি। যাদের কাজের চাপ কম তারা রাত জাগরণ করেন, বিশেষ করে শেষ ১০ দিন।

সব মুসলিম পরিবার মসজিদে যেতে পছন্দ করে। বিশেষ করে জুমা নামাজে। রমজান মাসে মসজিদগুলো ভরা থাকে। আসর সময় থেকে মুসল্লিরা যেতে থাকেন ফেরেন রাত ১১/১২টার পর, যখন নামাজ শেষ হয়। রমজানের প্রতিটি রাতকেই মুসলমানরা উপভোগ করেন ইবাদত এবং একে অপরের প্রতি শ্রদ্ধা ও আন্তরিকতায়।
লসঅ্যাঞ্জেলেসের কিং ফাহাদ মসজিদসহ অনেক বড় মসজিদের আঙিনায় চাঁদরাতে মেলা বসে মহিলাদের তত্ত্বাবধানে। সেখানে পোশাক, অলংকার, জুতা এবং খাবারসহ বিভিন্ন রকম জিনিস বিক্রি হয়। মহিলা এবং কিশোরদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণ থাকে মেহেদি দেওয়ায়।

পরিশেষে এই কথা বলা যায় যে, বিশ্বের অন্যান্য কিছু মুসলিম দেশের লোকদের থেকে আমেরিকার ধর্ম পালনকারী মুসলিমরাও কম পবিত্র আবহ এবং ভাবগাম্ভীর্যের সঙ্গে রমজান পালন করেন না। মহান আল্লাহ সারা বিশ্বের মুসলিম সমাজকে কামিয়াব করুন সততায়, পবিত্রতায় এবং দুনিয়া-আখেরাতের সফলতায়। আমিন।

লেখক : লসঅ্যাঞ্জেলেস প্রবাসী লেখিকা