গাইবান্ধায় তৃতীয় দফা বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকরা তাদের ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার জন্য আবারো ঘুরে দাড়িয়েছেন। জমি তৈরী করে নাবী জাতের গানজা ও চিকনা ধান রোপা আমন লাগিয়ে ক্ষতি পুষিয়ে নেয়ার চেষ্টা করছেন তারা। কিন্তু মিলছেনা চারা বীজ ও সরকারী বেসরকারী সহযোগিতা। তারপরও থেমে নেই চারা রোপনের কাজ।
এদিকে অনেকেই গরু ছাগল বিক্রী করে অতি মূল্যে পাশ্ববর্তী জেলা থেকে সংগ্রহ করছেন নাবী জাতের রোপা আমন বীজ। কৃষি বিভাগ বলছে সরকারী সাহায্য পাওয়া গেলে কৃষকদের সহযোগীতা করা হবে।
উজান থেকে নেমে আসা ঢল, অবিরাম বর্ষনে গাইবান্ধার সব গুলো নদ-নদীর পানি বেড়ে যাওয়ায় ও বিভিন্ন স্থানে বাঁধ ভেঙ্গে জেলার ৭টি উপজেলার ৬২টি ইউনিয়ন প্লাবিত হয়। এতে প্রায় ৬০ হাজার হেক্টর জমির রোপা আমনসহ সবজি ক্ষেত তলিয়ে যায়। বন্যার পানি দীর্ঘস্থায়ী হওয়ায় ধ্বংসস্থুপে পরিনত হয় উঠতি আমন ধান সহ অন্যান্য ফসল। বন্যা ও ফসলের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে আবার নতুন করে ঘুরে দাড়ানোর চেষ্টায় গাইবান্ধার কৃষকরা।
পানি নেমে যাওয়ার সাথে সাথে চাষাবাদ শুরু করেন তারা কিন্তু সময় অতিবাহিত হওয়া ও বীজতলা নষ্ট হওয়ায় নতুন করে তীব্র চারা বীজ সংকটে পড়েছে চাষীরা। বাধ্য হয়ে অনেকেই গবাদী পশু বিক্রী করে অতি মুল্যে চারা বীজ ক্রয় করছেন।
কৃষকরা জানান, গানজা ্ও চিকনা ধান চারা অভাবে আমন রোপন করতে পারছেন না তারা। অতি খরায় সেচ দিয়ে আবাদ করে, সেই আবাদ বন্যায় নষ্ট হয়েছে। বন্যার পর কৃষি বিভাগের পরামর্শ ও সহযোগিতা আশা করলেও তারা তা পায়নি। তাই নিজেদের খাবার চাল ও গবাদী পশুর খড় যোগান দিতে চড়া দামে পাশ্ববর্তী জেলা থেকে গানজা ্ও চিকনা ধানের চারা সংগ্রহ করছেন এসব কৃষক।
গাইবান্ধা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক আ.কা.মো রুহুল আমিন জানান, কৃষকদের মাঝে পরামর্শ ও সামান্য কিছু চারা বিতরণ করা হয়েছে। ক্ষতি পুষিয়ে নিতে কৃষকদের রোপা আমন চারা সংগ্রহ ও আগাম রবি শষ্য রোপনের পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে। সরকারী সাহায্য পাওয়া গেলে কৃষকদের মাঝে তা বিতরণ করা হবে বলেও জানান তিনি।