ঈদুল আযহা মানেই পশু কেনার ধুম। আর এ কথা মাথায় রেখেই আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে সারাদেশে বসেছে কোরবানির পশু হাট। কোরবানির ঈদে আনন্দের পাশাপাশি থাকে কিছু বাড়তি দায়িত্ব। যেমন- পশু কেনা, কোরবানি দেয়া, ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করাসহ নানা ঝামেলা। কিছু বিষয় আগে থেকে জানা থাকলে এসব ঝামেলা অনেকটাই এড়ানো যায় সহজেই। তবে সবার আগে কাঙ্খিত কোরবানির পশুটি কিনুন অত্যন্ত সতর্কতার সাথে। পশু কেনার সময় জরুরি ভিত্তিতে ৩টি জিনিসের প্রতি খেয়ার রাখুন।
কোরবানির পশু কিনতে জরুরি সতর্কতা
১. বাহ্যিকভাবে দেখতে সুস্থ-সবল, নিরোগ পশু কিনুন। রোগ-বালাই আছে কি-না দেখে নিন। সেই সাথে চামড়ার ক্ষত আছে কিনা সেটা লক্ষ্য করুন।
২. পশুর মুখের সামনে খাবার ধরলে যদি জিহ্বা দিয়ে টেনে নেয় এবং নাকের ওপরটা ভেজা ভেজা থাকে, তাহলে বুঝতে হবে গরু সুস্থ। অসুস্থ গরু খাবার খেতে চায় না।
৩. গরুর কুঁজ মোটা টানটান হলে গরু সুস্থ হয়।
কোরবানির হাটে পশু কিনতে গেলে কিছু সতর্কতা অবলম্বন করতে হয় যদিও, সেখানে জোরদার নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়। মনে রাখা ভালো এখানে চাঁদাবাজদের আনাগোনা আছে। তাই একা কোরবানির হাটে না যাওয়াই শ্রেয়।
এছাড়া পশু কেনার সময় অন্যান্য যে বিষয়গুলির প্রতি খেয়াল রাখা উচিত সেগুলো হলো:
১. কোরবানির পশু কিনতে যাওয়ার সময় পশু বিষয়ে অভিজ্ঞ এমন কাউকে সঙ্গে নিতে পারলে ভালো। তিনি পশু চিনে কিনতে পারেন।
২. হাট থেকে পশু বাড়িতে আনার জন্য একজন শক্ত-সামর্থ্য লোক সঙ্গে নিন। যিনি পশু বাড়িতে আনতে সাহায্য করতে পারবেন।
৩. হাটে যাওয়ার সময় টাকা সাবধানে রাখবেন।
৪. পশু কিনতে যাওয়ার সময় ভালো পোশাক না পরাই উত্তম। তাতে দাগ বা ময়লা লাগার আশঙ্কা থাকে।
৫. হাতে সময় নিয়ে পশুর হাটে যাওয়া উচিত। এতে ধীরে-সুস্থে দেখেশুনে পশু কিনতে পারবেন।
৬. খাজনার হাত থেকে রেহাই পেতে হাটের বাইরে থেকে পশু কিনবেন না। এতে লাভবান হওয়ার চেয়ে চোরাই পশু কেনার আশঙ্কা থাকে।
৭. হাটের খাজনা ঠিকমতো পরিশোধ করুন।
৮. গাভী বা বকনা বাছুর না কেনাই ভালো।
৯. পশু কিনেই হাট থেকে পশুর খড় কিনে ফেলুন।
১০. হাট থেকে পশু আনার সময় পাটের দড়ি দিয়ে পশুকে ভালোভাবে বেঁধে আনুন।
১১. কোরবানির আগেই কসাই ঠিক করে রাখুন।১২. মাংস কেটে রাখার জন্য পরিষ্কার চাটাই সংগ্রহে রাখুন।