ঢাকা ০৯:৩১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৫ নভেম্বর ২০২৪, ১ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ

আশি বছরেও একখান বয়স্ক ভাতা কার্ড পানুনি

  • Reporter Name
  • আপডেট টাইম : ১১:২২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মে ২০১৮
  • ২৮৯ বার

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘মি (আমি) আর ক’দিন বাঁচিম, মি (আমার) আশি বছরেও একখান বয়স্ক ভাতার কার্ড পানুনি। বয়স্ক ভাতার কার্ডকি কবরত লেজাম’-আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন আশি বছর-ঊর্ধ্ব অসুস্থ বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দীন। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে তার নাম বয়স্ক ভাতার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকলেও রহস্যজনক কারণে বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর জংগলবাড়ী গ্রামের মৃত হসরত আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দীন ওরফে নুনু। তার ৭ ছেলে ২ মেয়ে। বড় ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। বাকি ৬ ছেলে দিনমজুর। মেয়েদের অনেক আগে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে-মেয়েরা নিজ সংসারে ব্যস্ত। স্বামী-স্ত্রী খুব কষ্ট করে চলে। বয়সের ভারে শরীরে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে দু’জনের। ১০ বছর যাবত শ্বাসকষ্টে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না গিয়াস উদ্দীন।

গ্রামে ছোট একটি দোকান এটিই স্বামী-স্ত্রীর একমাত্র চলার পথ। এ দোকানের উপর খাওয়া খরচ ও ওষুধ ক্রয় করা কঠিন হয়ে পড়ছে তার। বয়স্ক ভাতা পাবার আশাই গত বছর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপি’র সুপারিশ নিয়ে সমাজসেবা অফিসে জমা করেও তেমন কোন ফল হয়নি। দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রাসেদুজ্জামান জানিয়েছেন, বয়সের কারণেই তার নাম আমাদের বয়স্ক ভাতার তালিকায় রাখা হয়েছে।

দুওসুও চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, আমি ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিব। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মোজাহারুল ইসলাম জানান, গিয়াস উদ্দীন বয়স অনুযায়ী তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। কিছুদিন আগে এমপির সুপারিশসহ আমার দপ্তরে একটি আবেদন পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলে আমি ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।

Tag :

Write Your Comment

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Save Your Email and Others Information

About Author Information

Haor Barta24

জনপ্রিয় সংবাদ

আশি বছরেও একখান বয়স্ক ভাতা কার্ড পানুনি

আপডেট টাইম : ১১:২২:৪৯ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২০ মে ২০১৮

হাওর বার্তা ডেস্কঃ ‘মি (আমি) আর ক’দিন বাঁচিম, মি (আমার) আশি বছরেও একখান বয়স্ক ভাতার কার্ড পানুনি। বয়স্ক ভাতার কার্ডকি কবরত লেজাম’-আঞ্চলিক ভাষায় কথাগুলো বলছিলেন আশি বছর-ঊর্ধ্ব অসুস্থ বৃদ্ধ গিয়াস উদ্দীন। গত ২০১৬-২০১৭ অর্থবছরে তার নাম বয়স্ক ভাতার অপেক্ষমাণ তালিকায় থাকলেও রহস্যজনক কারণে বাদ পড়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।

তিনি ঠাকুরগাঁওয়ের বালিয়াডাঙ্গী উপজেলার দুওসুও ইউনিয়নের লালাপুর জংগলবাড়ী গ্রামের মৃত হসরত আলীর ছেলে গিয়াস উদ্দীন ওরফে নুনু। তার ৭ ছেলে ২ মেয়ে। বড় ছেলে সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছে। বাকি ৬ ছেলে দিনমজুর। মেয়েদের অনেক আগে বিয়ে দিয়েছেন। ছেলে-মেয়েরা নিজ সংসারে ব্যস্ত। স্বামী-স্ত্রী খুব কষ্ট করে চলে। বয়সের ভারে শরীরে নানা রোগ বাসা বেঁধেছে দু’জনের। ১০ বছর যাবত শ্বাসকষ্টে হাঁটাহাঁটি করতে পারেন না গিয়াস উদ্দীন।

গ্রামে ছোট একটি দোকান এটিই স্বামী-স্ত্রীর একমাত্র চলার পথ। এ দোকানের উপর খাওয়া খরচ ও ওষুধ ক্রয় করা কঠিন হয়ে পড়ছে তার। বয়স্ক ভাতা পাবার আশাই গত বছর গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি আলহাজ মোঃ দবিরুল ইসলাম এমপি’র সুপারিশ নিয়ে সমাজসেবা অফিসে জমা করেও তেমন কোন ফল হয়নি। দুওসুও ইউনিয়ন পরিষদ সদস্য রাসেদুজ্জামান জানিয়েছেন, বয়সের কারণেই তার নাম আমাদের বয়স্ক ভাতার তালিকায় রাখা হয়েছে।

দুওসুও চেয়ারম্যান আবদুস সালাম জানান, আমি ইউপি সদস্যের সঙ্গে কথা বলে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে বয়স্ক ভাতার কার্ড করে দেয়ার ব্যবস্থা করে দিব। উপজেলা সমাজসেবা অফিসার মোঃ মোজাহারুল ইসলাম জানান, গিয়াস উদ্দীন বয়স অনুযায়ী তিনি বয়স্ক ভাতার কার্ড পাওয়ার যোগ্য বলে আমি মনে করি। কিছুদিন আগে এমপির সুপারিশসহ আমার দপ্তরে একটি আবেদন পেয়েছি। সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে বলে আমি ব্যবস্থা করার চেষ্টা করবো।